এনআরএস ও হাওড়া জেলা হাসপাতালের পর ফের আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসকসহ 45 জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্যভবন।
এনআরএসের ঘটনার মতই আরজিকরেও করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর আরজিকর হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে তারা যে করোনা আক্রান্ত সেই রিপোর্ট আসে শুক্রবার। ওইদিনই হাসপাতালে একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পরেই কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি মেলওয়ার্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার আরজিকর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল শুদ্ধোধন বটব্যাল জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের রোগীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে এবং ওয়ার্ড টিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান,করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন 45 জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরে হয়তো এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
চিকিৎসক সহ 45 জন স্বাস্থ্য কর্মীকে বাদ দিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা কি উপায়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রসঙ্গত, এর আগেই এনআরএস হাসপাতালের 8১ জন ও হাওড়া জেলা হাসপাতালে 68 জন,স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বহু বেসরকারি হাসপাতালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে মৃত দেবি পাল চিকিৎসার জন্য হাওড়ায় আইএলএস, জয়সোওয়াল , সত্য বালা ইত্যাদি হাসপাতাল ঘুরে ছিলেন। সেখানে প্রায় 200 স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সংস্পর্শে এসেছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। শুক্রবারেই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার জন্য চিকিৎসক সহ 27 জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জটিল সময়ে যখন স্বাস্থ্যকর্মীরাই আমাদের মূল সেনাপতি, তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রতিরোধকারী পোশাক দিয়ে তবেই করোনা রোগীর চিকিৎসায় পাঠানো উচিত। এর পাশাপাশি করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডের বন্দোবস্ত থাকা প্রয়োজন।