পাঁচটা বছর ঝুলিয়ে রেখে,
ফাইল শুধু খুলিয়ে রেখে
হঠাৎ করেই জাগেন সেপাই প্রবল প্যান্ডেমিকে,
কার্ভটা যখন ঊর্ধ্বমুখী,
ভিড় বাড়ানো প্রবল ঝুঁকি,
ইচ্ছে হলো তখন ঘাঁটার প্রাচীন কাসুন্দিকে।
কেন যে এই আদিখ্যেতা,
পালাননি তো কোনো নেতা,
যাবেনই বা কোন চুলোতে লকডাউনের মাঝে,
ছয়ের মাঝে চারকে ধরে,
বাকি দুজন ঘুমান ঘরে
রাজপেয়াদার এমন কাজের ব্যাখ্যা মেলে না যে!
আদালতও এখন বলে ,
বন্দী ছেড়ে দাও প্যারোলে
শুনানি হয় ভারচ্যুয়ালেই যতটা সম্ভব,
চলতি রীতির বিপরীতে,
তামাশা হয় বঙ্গে ফ্রীতে,
তুচ্ছ এখন রাজনীতিতে কোভিড কলরব।
হিসেব জানা ছিলো আগে,
ফুটবে লোকে দারুণ রাগে,
সমর্থকের পিকেট হবে সেপাইশালা ঘিরে,
ধরলে তাদের প্রতিনিধি,
অনুগামী ভাঙবে বিধি,
এই কথাটা বুঝতে আবার জ্যোতিষ লাগে কি রে?
এক যাত্রায় ফল পৃথকে,
খেলা যেন লুডোর ছকে,
অন্য রঙের ঘুঁটি খেতে দান চেলে দেয় ছক্কা,
এমনতর পক্ষপাতে,
আইন ভোগে পক্ষাঘাতে,
সংবিধানের আব্রু তবে করবে কে আর রক্ষা?
দিনের শেষে সব জামিনে,
ফেরেন সেপাই বন্দী বিনে,
খেলা হবার রব পৌঁছায় উচ্চ আদালতে,
চলতে থাকে চাপানউতোর,
কতটা জোর কাদের গুঁতোর
দোষারোপের কম্পিটিশন একই বাঁধা গতে।
ভিড় বাড়িয়ে মাঝের থেকে ,
কে জানে আজ ফিরলো কে কে
করোনাকে শরীর জুড়ে লেপ্টে নিয়ে ঘরে,
বাঁচবে নেতা জানি সবাই,
কজন হবেন জ্বরের জবাই,
হাসপাতালের বেডরা সেটার হিসেব দেবে পরে।
প্রশ্ন তবু করবে না কেউ,
জেতেন কেন ভোটে আদৌ,
পয়সা যারা ভিডিওতে নিলেন হাতে করে।