একটা অন্যরকম সমস্যার কথা বলি। না সমাধানের কথা খুঁজছি না। সত্যি বলতে সমাধান খুঁজলেও পাব না। একটু আগের থেকে শুরু করি। আজ থেকে প্রায় সাতচল্লিশ বছর আগে মেডিকেল কলেজে আমার সঙ্গে একই ক্লাসে ভর্তি হয়েছিল এক সহায় সম্বলহীন ছেলে। তার দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা পরে কখনও বলা যাবে। অবশেষে রেডিওলজিস্ট হয়ে নিজের এক্সরে কাম প্যাথলজি ক্লিনিক অতি কষ্টে দাঁড় করিয়েছে সেই ছেলে। ও কিন্তু নিজেও সুস্থ নয় তত। স্পাইনা বাইফিডার কোনও জটিলতায় সুতীব্র ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে অপারেশন। তার পর অ্যারাকনয়ডাইটিস ইত্যাদি। ডিটেইলস বলতে পারব না, কী থেকে কী। মোটমাট এখন তাকে সেল্ফ ক্যাথেটারাইজেশন আর লোয়ার গাট প্রবলেম নিয়ে প্রায় অসহ এক জীবন কাটাতে হয়। তবু ইয়ার-মিটে তার হাসিমুখ ছাড়া দেখিনি।
খুব যে রোজগার করে উঠতে পারে তা নয়। মফস্বলের ক্লিনিক। খরচ খরচা, কর্মচারীদের মাইনে সব মিটিয়ে হয় তো খুব আহামরি কিছু না।
আজ ফোন করেছিল। এ কথা সে কথার পর কিঞ্চিৎ প্রচ্ছন্ন গর্ব করেই তাকে বলছিলাম, বাড়ির কাজের মেয়েকে সবেতন ছুটি দিয়েছি সেই কথা। তার পরও নানান কথা হল তার সঙ্গে।
একদম শেষে, এমনকি ওর শারীরিক কুশল জিজ্ঞাসাও হয়ে গেছে তখন, খুব ক্লান্ত গলায় আমার সেই বন্ধু জানাল, তার ক্লিনিক সম্পূর্ণ বন্ধ। তার কর্মচারীদেরও সে সবেতন ছুটি দিয়েছে সবার মতনই। কিন্তু কদ্দিন চালাতে পারবে, আর তার নিজেরই চলবে কি না সে জানে না। কর্মচারীদের মোট মাইনে মাসে প্রায় সোয়া এক লক্ষ টাকা। সঞ্চয় শেষ হলে লোন নিতে হবে।
একদম শেষ জিজ্ঞাসাটা কানে ভাসছে,
হ্যাঁ রে, লকডাউনের পর এক্সরে মেশিন সমেত ক্লিনিকটা বিক্রি করতে চাইলে কেউ কিনবে, অরুণাচল?
তার পর আমরা কেউ কোনও কথা বলিনি। আজকাল মোবাইল নেটওয়ার্ক খুব খারাপ। লাইনটা কেটে গিয়েছিল নিজে থেকেই।
বিশ্বাসঘাতক: পাঠ প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব বই দিবসে প্রিয় একটি বই নিয়ে দুচার কথা — ধ্রুপদী ঘরানার বাংলা সাহিত্যকর্মের লেখক ও পাঠকরা নারায়ণ সান্যালের সৃষ্টি গুলি সর্ম্পকে কিঞ্চিৎ নাক সিঁটকালেও
বা!