বর্ডারে জওয়ান মরছে আর…..কিন্তু যুদ্ধকে কখনো আমরা প্রশ্ন করব না। শহীদ হওয়ার গৌরবে মুছিয়ে দেব সব চোখের জল।
তেমনই আজ এই মিথ্যা গৌরবের আড়ালে ঢেকে যাবে অনেকগুলো প্রশ্ন। উদ্বাহু নেত্য করার মাঝেও সেই প্রশ্ন গুলোরই রেখে যাওয়া।
টানা এতোক্ষণ কাজ করার পর একজন মানুষ আদৌ দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজ করতে পারে? একজন পেশেন্টের পিছনে ঠিক কতটা টাইম দেওয়া সম্ভব হয়? দূর দূর থেকে খুবই সাধারণ রোগ নিয়ে একজন পেশেন্টকে কেন Tertiary centre এ আসতে হবে? এটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি না চরম অবনতির নিদর্শন? চাটুকারেরা জানিয়ে যাবেন একটু।
ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার হার্ট ত্রিস্তরীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেন এতোটা অবহেলিত? একজন পেশেন্টকে তিনবার একবার টিকিটের লাইনে, একবার ডাক্তার দেখানোর লাইনে আর একবার ওষুধের লাইনে; টেস্টের কথা ছেড়েই দিলাম) ঠিক কতক্ষণ করে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল তার হিসাব কে দেবে? একদিকে এক ক্লান্ত মাথা-নষ্ট ডাক্তার আর অন্যদিকে এক ক্লান্ত মাথা-নষ্ট পেশেন্ট…… কোলাপ্সিবল গেট দিয়ে আর কতদিন ডাক্তারের গায়ে হাত তোলা বন্ধ করার চেষ্টা হবে? আর কবেই বা স্বাস্থ্যব্যবস্থার এই জঘন্য অবস্থার জন্য ডাক্তারদের দায়ী করা বন্ধ হবে?
ডাক্তার-পেশেন্ট রিলেশনশিপের তলানিতে যাওয়ার অবস্থার দায় কবে নেবে এই সরকার? ভগ্ন এই স্বাস্থ্যব্যবস্থার দায় কবে নেবে এই সরকার?
গৌরবে ভেসে যাবেন না। প্রশ্ন করুন। SSKM-এর যে সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা এই অসম্ভব চাপ সামলালেন, তাঁদের অভিনন্দন। কিন্তু প্রশ্ন করতে ভুলে যাবেন না। এমনই গৌরবের বোঝা মেডিকেল কলেজের কাঁধেও একদিন চাপিয়ে তার সবকিছু ঘেঁটে দেওয়া হয়েছিল। তার ফল এখনো ভুগছে সে।