লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মী লাভ! কিন্তু কার?
— বাংলার নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের… স্ট্রোকের পর পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী অক্ষম মানুষটার… বেঁচে থেকেও মানসিকভাবে মৃত শরীরটার… একমাত্র রোজগেরের কাজ চলে যাওয়ায় ভেসে যাওয়া সংসারটার… ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শিশুশ্রমিক হওয়া স্কুলছুট ছেলেটার… বিছানাগত বাবার ওষুধের জন্য বাসে-ট্রেনে ভিক্ষা করা মেয়েটার…
সেই সাথে নিচের তথাকথিত বক্তব্য গুলোকে মুছে ফেলুন…
🚫 “সরকারী হাসপাতালের বাইরে Comprehensive Rehabilitation সম্ভব নয়”।
🚫 “সরকারী হাসপাতালের বাইরে Comprehensive Rehabilitation শুধু উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্তদের জন্য”।
🚫 “রিহ্যাবিলিটেশন মানে তো ফিজিওথেরাপি”।
হাতে গোনা দু একটা সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও স্বল্প কিছু প্রাইভেট রিহ্যাব সেন্টার ছাড়া ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞর অধীনে রিহ্যাব টিমের সকল সদস্যদের নিয়ে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর চিকিৎসা (যাকে Comprehensive Rehabilitation বলা হয়) বাংলার বুকে বিরল। সরকারী মেডিক্যাল কলেজের লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, কিম্বা দৈনিক মোটা টাকা খরচ করে প্রাইভেটে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব না। আর তাই এই অপরিহার্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত থেকে গেছেন এক বৃহত্তম শ্রেণীর মানুষ, যাদের জন্য এটা সত্যিই খুব দরকারী। আর এদের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ ও বারাসাত সিটিজেন ফোরাম।
কোনো প্রচেষ্টা যখন সমাজের বৃহত্তম স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন সত্যিই তা পূর্ণতা লাভ করে। ধন্যবাদ জানাই এই কর্মকাণ্ডের কুশীলবদের যাঁরা আমার সচেতনতামূলক লেখাগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আমার সাথে দীর্ঘ আলোচনায় উঠে আসা নতুন একটা ‘মডেল’ কে বাস্তবায়িত করেছেন। সারাদিন যত কাজই করি আর যতই বকি না কেন, দিনের শেষে এক বুক তৃপ্তির শ্বাস নিয়ে শুতে যওয়াটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি। আশা রাখি এনাদের মত আরো অনেক NGO এগিয়ে আসবেন, হাত বাড়িয়ে দেবেন এক মহৎ কাজে যাতে বাংলার বৃহত্তম অংশ উপকৃত হবে।