ক্রোধ জমেছে, ক্রোধ!
টগবগিয়ে ফোটায় লাভা মানুষ হবার বোধ।
স্বদেশ খালি দিচ্ছে গালি,
লাগছে কালি
সঁদেশ-খালির গা’য়,
রাজনীতি তার চাপান-উতোর অভ্যাসে আওড়ায়,
কিন্তু দাদা, আজ পেয়াদার ঊর্দি পরেন যারা,
বলেন হেঁকে বর্তমানের শাসকটিকে তাড়া,
তাঁরাও এলে ক্ষমতাতে, খুব কি পৃথক হন?
লংকাতে যে সিংহাসনে , সেই তো দশানন।
ক্রোধ জমেছে, ক্রোধ!
অগ্নিগিরির মতো এ দেশ চাইছে প্রতিশোধ!
শাহজাহানের কীর্তিকলাপ,
শিবুর করা পাপ,
উত্তমে কম নামছে না তো লোকের অভিশাপ,
কিন্তু বাবা রামরহিমের সাতখানা খুন মাফ,
এ উত্তাপে রুটি সেঁকে দিচ্ছে যারা চাপ,
তাদের মুখও একইরকম মূক ছিলো হাথরসে,
সেই যেখানে দলিত মেয়েকে খায় কারা প্রাতরাশে,
কী যেন নাম..নাম কী যেন,
মনীষা বাল্মীকি,
জাত-উঁচুদের হয় না সাজা, জেল খাটে সিদ্দিকি,
সঁদেশখালির মতোই আজও চলছে জ্বালাতন..
লংকাতে যে সিংহাসনে, সেই তো দশানন।
ক্রোধ জমেছে, ক্রোধ!
আসর তাতান রাজ্য এবং দেশের মাথা খোদ।
আমরা হেলি প্রতীক বেছে গরম হাওয়ার ঝাঁঝে,
গরীব মেয়েদের ভাগ্যে কোনো বদল তবু না যে,
নাম বদলায়,
গ্রাম বদলায়,
তারিখরা বদলায়,
শেয়াল তবু রাজাই থাকে নিজস্ব বন-গাঁয়,
সব শেয়ালের রা যে একই,
সবাই বদের ধাড়ি,
আজ যার নাম সঁদেশখালি,
কাল ছিলো সাঁইবাড়ি।
পক্ষবিহীন দাঁড়ায় না কেউ ধর্ষিতাদের পাশে,
যারই যখন হয় ক্ষমতা ,
নাম খুদে দেয় লাশে,
ভরসা এখন রাখতে যাবে কাদের কাছে শুনি,
নিত্য ঘটে নতুন নামে হাথরস কামদুনি,
রোজ খবরে ভর্তি এসব, কটায় দেবে মন?
লংকাতে যে সিংহাসনে, সেই তো দশানন।
ক্রোধ জমেছে, ক্রোধ!
লজ্জা ঢাকার কাপড় বনে ভোটের পরিচ্ছদ,
রক্তবীজের ঝাড় বেড়ে যায়,
আব্রু নারীর রোজ কেড়ে যায়,
প্রতীকবিহীন একজোটে তাও কই সে প্রতিরোধ?
কামড়ে কলম পদ্য লেখে তাও কিছু নির্বোধ।