ধরা যাক বাড়িতে এক জন একটু মানুষ একটু অসুস্থ বোধ করছেন। অথচ সংক্রমনের ভয়ে হাসপাতালে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। অগত্যা তিনি হেল্প লাইনে ফোন করলেন এবং ওদিক থেকে সম্পূর্ণ সহায়ক মনুষ্য কন্ঠে ‘চ্যাটবট’ নামে এক অত্যাধুনিক কম্পিউটার ফোনটি তুললো। যাবতীয় তথ্য নিয়ে একজন পোক্ত চিকিৎসকের মতোই সে রোগীর কি কি টেস্ট করা উচিত,কি ওষুধ খাওয়া উচিত বা হাসপাতালে ভর্তি হবার দরকার আছে কি না তাও বলে দিলো। কোনো কল্প বিজ্ঞানের গল্প বলছি না। শোনাতে চাইছি আগামী দিনে কৃত্রিম মেধা বা সংক্ষেপে এ-আই এর যুগে সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতির কথা। এদের যদি সুপার কম্পিউটার বলা হয় তবে তাদের নিজস্ব মেধা মানুষের মতোই বা তার চেয়েও উন্নত। রোবটের মতো এরা প্রভুর আজ্ঞার তোয়াক্কা করে না। বহু জটিল গাণিতিক পরিভাষা (Algorithm) এরা নিজেরাই তৈরী করে বা শিখে নিতে পারে। এদের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য এবং তা করে ফেলে মানুষের চেয়েও ঢের বেশি দ্রুততায়।
নব্বইয়ের দশকে দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল প্রশ্নাতীত। ১৯৯৭ সালে IBM এর “ডিপ ব্লু” কম্পিউটার যখন এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হেলায় হারিয়ে দেয়, বিশ্বব্যাপী মানুষ বনাম মেশিনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রকট হতে শুরু করে। এ-আই নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে। তবে ধারাবাহিক সাফল্য এসেছে গত দুই দশকে। আমরা দেখেছি চালকবিহীন মোটরগাড়ি, নিখুঁত ছবি সনাক্তকরণ, অ্যালেক্সা বা সিরির মতো বার্তাবহ যন্ত্রদাস এবং আরো অনেক বিস্ময়কর আবিষ্কার। প্রযুক্তি জগতে কৃত্রিম মেধার যে প্রভুত প্রয়োগ আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে সে তুলনায় এখনো পর্যন্ত এর ব্যবহার অনেক সীমিত। প্রযুক্তির মূল মন্ত্র যদি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা (move fast break things) হয় তাহলে চিকিৎসার আদিতে রোগী সুরক্ষা (first do no harm)। তাছাড়া ডাক্তারি সিদ্ধান্তগুলি সবসময় সরলরৈখিক বা একমাত্রিক নয়। তবু গত কয়েক বছরে চিকিৎসা পরিসরেও এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান প্রবেশ চোখে পড়ার মত।
কয়েকটা উদাহরণ। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বিশেষত যে সমস্ত ক্ষেত্রে যেখানে ছবি বা প্যাটার্ন চেনাই রোগনির্ধারণের মূল ভিত্তি। যেমন রেডিওলজি, প্যাথোলজি, চর্মরোগ ইত্যাদি। এক্স-রেই হোক বা এম আর আই, সবক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞের চোখকে তৈরী করতে হয় নর্ম্যাল এবং অ্যাবনর্ম্যাল প্যাটার্ন চেনার জন্য। একজন ব্যস্ত রেডিওলজিস্ট সারাদিনে হয়তো দুশো খানা ছবি দেখেন। কিন্তু কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন মেশিন আরো অনেক ছবি বেশি দেখবে এবং তার মূল্যায়নে অনেক বেশি ধারাবাহিকতা থাকবে। সে এমন গভীরে ছবি বিশ্লেষণ করবে যা মানুষের চোখে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এছাড়া তার প্রশিক্ষণের সময়ও লাগবে অনেক কম। কখনই সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে না। কোনো সিদ্ধান্তই আবেগ প্রভাবিত হবে না কারণ আবেগ নামক এই বিশেষ অনুভূতিটির তার মধ্যে কোনো অস্তিত্ব নেই। রেডিওলজির মতোই প্যাথলজি ও চর্ম রোগের ক্ষেত্রেও প্যাটার্ন চেনার প্রয়োজন প্রশ্নাতীত। এই সব বিভাগেও ধুরন্ধর মেশিন যে মানুষকে ছবি চেনার ব্যাপারে টেক্কা দেবে তা বলাই বাহুল্য। ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ চোখের ক্ষতি করতে পারে আমরা জানি। পৃথিবী জুড়ে দৃষ্টিহীনতার সবচেয়ে বড় কারণও এটাই। অক্ষিপট বা রেটিনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করে গুরুতর সমস্যা ঘটে যাবার অনেক আগেই মধুমেহজনিত চোখের গুরুতর সমস্যার পূর্বাভাস দিতে পারে এ-আই।
মুখ চিনতে পারার অসামান্য দক্ষতায় আমরা যখন আধুনিক স্মার্ট ফোনের চাবি খুলি বা বিমানবন্দরে কেরাণীবিহীন অভিবাসন দপ্তরের যন্ত্রচালিত দরজা খুলি আমরা হয়তো ভুলে যাই তার নেপথ্যে ক্রিয়ারত বিজ্ঞানের কথা। উচ্চ মানের এই কেরামতি কাজে লাগিয়েই মুখের ছবি দেখে Face2Gene App জেনেটিক রোগের ডায়াগনোসিসও বাতলে দেয়। রোগজনিত ব্যাথার মূল্যায়ন বর্তমানে করা হয় মূলত রোগীপ্রদত্ত বর্ণনার উপর। কিন্তু সামান্য বদলে যাওয়া মুখের অভিব্যক্তি দেখেই আরো নিখুঁত ভাবে ব্যাথা নির্ণয় করতে পারে এ-আই। মানসিক অবসাদের ক্ষেত্রেও উপসর্গ আসার অনেক আগেই মস্তিষ্কের ছবি থেকে আগাম অনুমান করা সম্ভব হতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। ২০১৬ সালে ফেসবুক লাইভ চালু হবার পর থেকে বেশ কিছু মানুষ লাইভ ক্যামেরার সামনে আত্মহত্যা করেছেন। ফেসবুকের দাবি এই সমস্ত ভিডিও এবং তাঁদের মৃত্যুপূর্ব লেখালিখি বা কথোপকথন যাচাই করে তারা এমন অ্যালগরিদম বের করেছে যা প্রয়োগ করে একশোরও বেশি সম্ভাব্য আত্মহত্যা রুখে দেওয়া গেছে। ভালো কাজ নি:সন্দেহে। কিন্তু মানুষের মনকেও ডিজিটাইজ করে ফেললে মেশিনের তো আমাদের সম্পর্কে জানতে আর বাকি কিছু থাকবে না। আবার ক্যানসার রোগীদের জন্যও বেশ কিছু যুগান্তকারী সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মরণাপন্ন রোগী কত দিন বাঁচবেন তার আরো অভ্রান্ত অনুমান আমরা হয়তো পেতে চলেছি। জন্মের সময়ের ওপর কর্তৃত্ব অনেকদিন আগেই ফলিয়েছি। এবার মৃত্যুর সময়ের উপরও দখল নিতে চলেছি। বিবাহের কথায় একটু পরে আসছি।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার এখন সবে উন্মেষকাল। অদূর ভবিষ্যতে এর বহুল প্রয়োগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। রোগ নির্ধারণের মান যত উন্নত হবে সামগ্রিক চিকিৎসার মানও তত উন্নত হবে। আর এর হাত ধরেই প্যাটার্ন নির্ভর নয় এমন শাখাগুলিও উপকৃত হবে। হয়তো আগামী বিশ পঁচিশ বছরের মধ্যেই আমরা বর্তমান পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন দেখতে পাবো। সে পরিবর্তন কতটা ভালো বা কতটা মন্দ হবে তা সময় বলবে। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতি তো আর থেমে থাকে না, আপন খেয়ালে চলতে থাকে। মাত্র পাঁচ বছর আগেও যিনি গাড়ির কাঁচ নামিয়ে পথনির্দেশ চাইতেন তিনিই এখন গুগল ম্যাপে বলীয়ান। মুঠোফোনের হেল্থ অ্যাপ এখন হয়তো শুধু আপনার স্টেপস কাউন্ট করে বা হৃদস্পন্দনের হার গননা করে। পরে সে আপনার পুরো হেল্থ ডেটা ধরে রাখবে। হাসপাতালে বা আপনার বাড়ি থেকেই একজন ডিজিটাল করণিক রোগের ইতিহাস ঘেঁটে বাতলে দেবে আপনার কি করণীয়। আখেরে আপনার নিজস্ব অ্যাপই হয়ে উঠবে আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
সব প্রশ্নের উত্তর মেলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয় তবে মূল বিচার্য হওয়া উচিত উৎকর্ষ এবং রোগী সুরক্ষা। একদিকে মেশিনের অতুলনীয় ধারাবাহিকতা অন্যদিকে ব্যক্তি মানুষের সূক্ষ্ম ভাবাবেগের আদানপ্রদান। দুইয়ের মেল বন্ধনই হয়তো আদর্শ মডেল। মনে ধন্দ আসে সম্ভাব্য দ্বিস্তরীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার নিয়ে যেখানে একদল মানুষ শুধু যান্ত্রিক চিকিৎসা পাবেন আর অন্যরা হিউম্যান টাচ্। রক্ত মাংসের মানুষ-চিকিৎসক কি যন্ত্রের আজ্ঞাবহ দাস হবেন, না কি তার অবস্থান হবে ডিজিটাল টুলসের উপরে। ভবিষ্যত স্বাস্থ্যব্যবস্থা কি আরও বৈষম্যমূলক হতে চলেছে? এর উত্তর হয়তো নিহিত থাকছে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর। চাইলে পরে সামাজিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ভেদাভেদ নির্বিশেষে এর বৈষম্যহীন ব্যবহার সম্ভব। আর সমবন্টন না হলে উন্নত প্রযুক্তির প্রসাদ পাবেন শুধু ধনী ও ক্ষমতাবান।
বহু আলোচিত রোগী চিকিৎসক সম্পর্কের ভবিষ্যত রূপ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সাবেকি চিকিৎসক রোগীকে ‘অর্ডার’ পাস করতেন। অধুনা সে সম্পর্কে রোগীর মতামত অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভবিষ্যতের যে রোগী হাতে ডায়াগনোসিস নিয়েই আসবেন তার চিকিৎসার দায়িত্ব কার। চিকিৎসায় কোনো অনভিপ্রেত ফল হলে রোগী কার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন, ডাক্তার না কি অ্যাপ ডিজাইনার এর বিরুদ্ধে। ডাক্তার পেটানো যারা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তাঁরাই বা হাতের সুখ করবেন কি করে? মুঠোফোনের স্বয়ংক্রিয় অ্যাপেই যদি মুশকিল আসান হয়ে যায় তাহলে কি আদৌ কোনো সম্পর্ক তৈরী হবে? নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকের আর শুধুমাত্র স্বাস্হ্যবিদ্যায় পারদর্শী হলে হয়তো চলবে না। তাকে বুঝতে হবে ডেটা সায়েন্স, বায়োইনফরমেটিক্স, বায়োকম্পিউটিং ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
গোপনীয়তার প্রশ্ন তো আরও জটিল। অ্যাপ সংস্হার হাতে নিজেদের বায়োমেট্রিক তথ্য কতখানি সুরক্ষিত তা ভাবতে হবে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কথা মনে আছে? ইজরায়েলি চিন্তাবিদ য়ুভাল হারারি যেমন হিউম্যান হ্যাকিং এর সিন্দুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন তা কি নিতান্তই অমূলক। মানুষের অভিমান, ব্যাথা, রাগ, দু:খ এসবই নাকি অত্যন্ত জটিল কিছু বায়োকেমিক্যাল রিঅ্যাকশন বৈ আর কিছু নয়। আর এ-আই এর পক্ষে এগুলো ডি-কোড করাও অসম্ভব নয়। কিন্তু একজন মানুষের নিজস্ব পছন্দ বা সিদ্ধান্ত নেবার পদ্ধতিকে যদি গাণিতিক ফর্মুলায় পর্যবসিত করা যায় তাহলে তো তাঁর সিদ্ধান্তকে তো প্রভাবিতও করা যায়। কে জানে একদিন হয়তো জীবনসঙ্গী বাছাতেও নাক গলাবে। বিবাহ হবে অ্যালগরিদম নির্ভর।
বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে বেকার সমস্যা বাড়াতেই পারে। সেই পরিবর্তিত বাজারের মতো করে নিজেকে গড়ে তোলার উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সে বাজারও নাকি হবে আরও দ্রুত পরিবর্তনশীল। উন্নত দেশ বা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা মানুষজন নাহয় খানিকটা খাপ খাইয়ে নিলেন। কিন্তু তারা তো পিরামিডের ওপরের দশ শতাংশ মাত্র। বাকি নব্বইয়ের কি হবে। তাদের কাছে অ্যাপ নির্ভর চিকিৎসা বা বেডবিহীন ভার্চুয়াল হাসপাতালের আষাঢ়ে গপ্পো শুনিয়ে কি হবে। তাদের জীবনে সমস্যা শৈশবে টীকাকরণ নিয়ে, জল বা মশাবাহিত রোগ নিয়ে, সাপের কামড় নিয়ে। নিরাপদ প্রসব এখনও তাদের কাছে বিলাসিতা। জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে হলে কৃত্রিম মেধাকে অবশ্যই প্রাথমিক স্বাস্হ্যের প্রভুত উন্নতিতে কাজে লাগাতে হবে। অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য এই মুহূর্তে সেরকম প্রতিশ্রুতি এখনই দেখা যাচ্ছে না।
কোভিডে কি এ-আই কুপোকাত? কৃত্রিম মেধার কাজের মূল রসদই হলো শত সহস্র ডেটা বা তথ্য। ইনপুটে যত বেশি বিশুদ্ধ ডেটা দেওয়া হবে আউটপুটও হবে তত উন্নত। নভেল করোনার মতো নতুন ভাইরাসের মোকাবিলা করার মত উপযুক্ত তথ্য তার মগজে ছিল না। অতএব অতিমারীর পূর্বাভাস বা সংক্রমনের গতিবিধি অনুমান করতে এখনও সে কার্যকরী হয়নি। তবে বিশ্বব্যাপী যে বিপুল গবেষণা চলছে তার সমস্ত তথ্য একত্রিত করে দ্রুত বিশ্লেষণ করা, প্রতিষেধক আবিষ্কার এবং উপযুক্ত ওষুধ তৈরীতে সহায়তা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তার অবদান থাকছে।
চিকিৎসকের কাজে কৃত্রিম মেধার গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহন নিশ্চয় আরো বাড়বে। ভারতের মতো দেশে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসার দিন হয়তো এখনো অনেক দূরে। অটোপাইলট আসার পর বিমান দুর্ঘটনা যেমন বাড়েনি, এখানেও আমাদের আস্থা ধীরে ধীরে বাড়বে। সম্ভাব্য কর্মসংকোচন নিয়ে একটা বড় চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। সেটা শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়। শিক্ষা, বিপনন, বিনোদন, ক্রীড়া, পরিবহন সব শিল্পেই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু শত আশঙ্কা সত্ত্বেও বিজ্ঞানের অগ্রগতি তো আর থেমে থাকে না। গবেষণায় বিপুল বিনিয়োগের যাথার্থ্য প্রমাণের জন্য কি না জানা নেই তবে গুগল কর্ণধার সুন্দর পিচাই যাকে মানবসভ্যতায় আগুন বা বিদ্যুৎ আবিষ্কার এর চেয়েও শক্তিশালী উদ্ভাবনী বলে মনে করছেন তাকে সাথে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। মানুষ তার সহযোগী না প্রতিযোগী হতে চলেছে সে বিতর্কে গিয়ে লাভ নেই। আশির দশকে দেশে কম্পিউটারের প্রয়োগ নিয়ে সঙ্গত কারণেই আমরা চিন্তিত ছিলাম। এখন কম্পিউটার ছাড়া আমরা জীবন ভাবতে পারি না। আবার এক যুগপরিবর্তনের সময় আসন্ন।