। অরুণাচল।
এই তো কেমন পেয়েই গেলেন সত্যি কথা বলার ফল,
সবার মুখে কুলুপ আঁটা , বলেন শুধু অরুণাচল।
সবাই জানে হচ্ছে যেটা, সত্যি তবু বলতে নেই,
প্রদীপগুলোর তেলের অভাব, জ্বলার মতন পলতে নেই।
যুগটা এখন অন্ধ সাজার, জিভের লালায় বশ্যতা
এমন সময় ও বেয়াদপ, এত সাহস পাস কোথা?
উপচে পড়ুক জ্বরের রোগী, তাই বলে লিখবে ছাই?
আপ্তবাক্য পড়েননি কি, শতংবদ , লিখতে নাই?
এই রাজ্যে জ্বরজ্বালা তো, বলতে পারো গুপ্তরোগ,
চোরের মতন চুপিচুপি , সইতে হবে সে দুর্ভোগ।
সাহসকে যাই বলিহারি! রাজার পরে ,রাজার খায়,
আপোষ নামক পাপোষ ছেড়ে, কলম তবু গর্জে যায়।
গর্দানটি আস্ত আছে, এটাই জেনো পূণ্যফল,
সত্যি কথার দাম দিতে হয়, জানেন সেটা অরুণাচল।
ভাবছি বসে সমস্যাটা, এতেই কি আর মিটবে সব?
অতই সহজ করা কলম জবুথবু, জরোদগব?
শব্দরা তাঁর ফুলকি হয়ে, আগুন ছড়ায় সব বুকে,
রাজার চরে আঁটবে কুলুপ, খুঁজে খুঁজে কয় মুখে?
উঠছে বাতাস, বইছে বাতাস, নড়বে এবার ধর্মকল,
ভালো করে দেখুন রাজা, তৈরী হাজার অরুণাচল।
আর্যতীর্থ
প্রথমেই ধন্যবাদ দেবো কবি আর্যতীর্থকে, তারপর অসম্ভব সাহসী কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য কৌশিক লাহিড়ীকে, পরিশেষে অথবা সবার আগে সেই মানুষটিকে, যাঁকে উদ্দেশ্য করে এই কবিতাটি রচিত হয়েছে।
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী, অরুণাচলদা আপনি ভালো থাকুন।