ডাক্তারির কথকতা: ৮ একুশে আইন
ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় চিকিৎসক ও বিজ্ঞান সাধক। তিনি অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ, জ্ঞানী অথচ কাঠখোট্টা মানুষ। শোনা যায়, তিনি এমনকি যুগপুরুষ
ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় চিকিৎসক ও বিজ্ঞান সাধক। তিনি অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ, জ্ঞানী অথচ কাঠখোট্টা মানুষ। শোনা যায়, তিনি এমনকি যুগপুরুষ
দখিনা হাওয়া জবুথবু শীতের শরীরকে দেয় দোলা। শুকনো পাতা ঘূর্ণি বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যায়। দিন বাড়ে। বয়সও। ধরে রাখা যায় কি তাকে? যায় না।
চেম্বারে বসে আছি। মাথা তোলার সময় পাচ্ছি না। আগামীকাল দোল। চেম্বার বন্ধ থাকবে। তাই আগাম ভীড়। তাছাড়া দু-দুটো অপারেশন আছে আজ। সিসিটিভিতে দেখছি বাইরে অনেক
সল্টলেক ————– সল্টলেক উপনগরী এক সময় চোরদের মুক্তাঞ্চল ছিল। সেখানে তখন খুবই কম লোকজন। ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা, দূরে দূরে বাড়ি। সন্ধ্যে নামলে সে তো তেপান্তরের
‘এই ই সি জি-টা দেখে একটু বলবেন প্লিজ – ঠিক আছে কি না।’ ‘ই সি জি তে কোনো গন্ডগোল নেই তো ডাক্তার বাবু?’ ইসিজি-র লম্বা
আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা
মামা নিজে একটা ওষুধের দোকান কেন দেয় না কে জানে! অবশ্য চেম্বারের বাইরে ছোট একটা ঘরে ডিস্পেন্সারি এখনো আছে। তবে সেটা নামেই। পুরনো কিছু শিশি-বোতল,
ড্রাইভার জগুর সাজগোজ আজ অন্যরকম। সাদা ধবধপে প্যান্ট শার্ট। কপালে তিলকের ফোঁটা। চাবি ঘুরিয়ে ষ্টার্ট দিতেই গাড়ীটা গরগর করে উঠল। ভাবলাম, যাক্ আজকের দিনটা গাড়ির
‘আমার লুঙ্গিটা আবার কোথায় গেল?’ উপরের ঘর থেকে গর্জন করছে মণিমামা। নীচে রান্নাঘর থেকে শান্তিমাসী পাল্টা গর্জে উঠল। “জানলা দিয়ে উড়ে গেছে। খুঁজে নাও।” আমি
‘মাতৃভাষায় ডাক্তারি’ পড়ার আড়ালে অহিন্দী ভাষীদের উপর সুচতুর কৌশলে হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে- সে বিষয়ে এখন এখানে কিছু লিখছি না। শুধু কয়েকটা
‘ডাক্তারবাবু রোগীকে একটু বাইরে এসে দেখতে হবে।’ ঘর থেকে বেরিয়ে চেম্বারের চপ্পলটা ছেড়ে বাইরের জুতোটা পায়ে গলিয়ে নিলাম। উল্টোদিকে একটা মারুতি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। তথাকথিত
বছর পঁয়তাল্লিশের ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকেই বললেন, ‘ওষুধপত্র বেশী লিখবেন না। কোভিডের পরে আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। কোনো টেষ্ট করতে দেবেন না। পারব না। ওষুধ আর
ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় চিকিৎসক ও বিজ্ঞান সাধক। তিনি অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ, জ্ঞানী অথচ কাঠখোট্টা মানুষ। শোনা যায়, তিনি এমনকি যুগপুরুষ
দখিনা হাওয়া জবুথবু শীতের শরীরকে দেয় দোলা। শুকনো পাতা ঘূর্ণি বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যায়। দিন বাড়ে। বয়সও। ধরে রাখা যায় কি তাকে? যায় না।
চেম্বারে বসে আছি। মাথা তোলার সময় পাচ্ছি না। আগামীকাল দোল। চেম্বার বন্ধ থাকবে। তাই আগাম ভীড়। তাছাড়া দু-দুটো অপারেশন আছে আজ। সিসিটিভিতে দেখছি বাইরে অনেক
সল্টলেক ————– সল্টলেক উপনগরী এক সময় চোরদের মুক্তাঞ্চল ছিল। সেখানে তখন খুবই কম লোকজন। ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা, দূরে দূরে বাড়ি। সন্ধ্যে নামলে সে তো তেপান্তরের
‘এই ই সি জি-টা দেখে একটু বলবেন প্লিজ – ঠিক আছে কি না।’ ‘ই সি জি তে কোনো গন্ডগোল নেই তো ডাক্তার বাবু?’ ইসিজি-র লম্বা
আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা
মামা নিজে একটা ওষুধের দোকান কেন দেয় না কে জানে! অবশ্য চেম্বারের বাইরে ছোট একটা ঘরে ডিস্পেন্সারি এখনো আছে। তবে সেটা নামেই। পুরনো কিছু শিশি-বোতল,
ড্রাইভার জগুর সাজগোজ আজ অন্যরকম। সাদা ধবধপে প্যান্ট শার্ট। কপালে তিলকের ফোঁটা। চাবি ঘুরিয়ে ষ্টার্ট দিতেই গাড়ীটা গরগর করে উঠল। ভাবলাম, যাক্ আজকের দিনটা গাড়ির
‘আমার লুঙ্গিটা আবার কোথায় গেল?’ উপরের ঘর থেকে গর্জন করছে মণিমামা। নীচে রান্নাঘর থেকে শান্তিমাসী পাল্টা গর্জে উঠল। “জানলা দিয়ে উড়ে গেছে। খুঁজে নাও।” আমি
‘মাতৃভাষায় ডাক্তারি’ পড়ার আড়ালে অহিন্দী ভাষীদের উপর সুচতুর কৌশলে হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে- সে বিষয়ে এখন এখানে কিছু লিখছি না। শুধু কয়েকটা
‘ডাক্তারবাবু রোগীকে একটু বাইরে এসে দেখতে হবে।’ ঘর থেকে বেরিয়ে চেম্বারের চপ্পলটা ছেড়ে বাইরের জুতোটা পায়ে গলিয়ে নিলাম। উল্টোদিকে একটা মারুতি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। তথাকথিত
বছর পঁয়তাল্লিশের ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকেই বললেন, ‘ওষুধপত্র বেশী লিখবেন না। কোভিডের পরে আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। কোনো টেষ্ট করতে দেবেন না। পারব না। ওষুধ আর
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে