চিকিৎসকের স্বর্গে-১
অসিতবাবু চেম্বারে রোগী দেখিতে দেখিতে বুকের বামদিকে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করিলেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা হইতে বুঝিলেন, সময় আর বিশেষ নাই। ডাক আসিয়াছে। এই মুহূর্তে
অসিতবাবু চেম্বারে রোগী দেখিতে দেখিতে বুকের বামদিকে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করিলেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা হইতে বুঝিলেন, সময় আর বিশেষ নাই। ডাক আসিয়াছে। এই মুহূর্তে
সেটা ১৯৯০ সালের শেষ দিক। ডিসেকশন, অষ্টিওলজি, এম্ব্রায়োলজি নিয়ে অ্যানাটমি সাবজেক্টে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা। অথচ ফার্স্ট এমবিবিএস পরীক্ষা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এমন সময় মেঘ
খেলায় জেতার আনন্দে ছেলেপিলেদের ডিগবাজি বা Somersault দিতে দেখা যায়। সে তো তাৎক্ষণিক ব্যপার- প্রবল আনন্দ ও উত্তেজনায় খেলোয়াড় বা সমর্থকরা যেটা হঠাৎ করে ফেলে।
এক দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পরিপ্রক্ষিতে র্যাগিং নিয়ে লিখেছিলাম কদিন আগে। তারপরের কয়েকদিনে দেখলাম ঘোলা জলে ল্যাঠা, শোল ইত্যাদি মাছ ধরা শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার
আপনার ফ্র্যাকচারের ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কড়া ব্যথার ওষুধ দিতে হল। সঙ্গে ভালো করে অ্যান্টাসিড দিলাম। খেতে ভুলবেন না।’ ‘অ্যান্টাসিড লাগবে না। ঘরে প্যান্টি আছে।
বিভিন্ন অঞ্চলে একই রোগের রোগীদের, আর্থিক- সামাজিক- সাংস্কৃতিক- ভাষাগত- পেশাগত চরিত্র আলাদা হয়। সাগরদিঘী-র এক গ্রাম্য বৃদ্ধার হাঁটু ব্যথা আর বালিগঞ্জের সুউচ্চ বহুতল বাসিনী মাঝবয়সী
শুধু ডাক্তারী করলেই হয় না, ডাক্তারী যে করছি সেটা সারা বিশ্ব-কে জানানো দরকার। আর শুধু ডাক্তারীই বা কেন? উচ্চশিক্ষার যে কোনো বিষয়ে, বিশেষতঃ যেখানে পঠন-পাঠন
প্রথমেই ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি। আমি স্কুলের পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (যার আসল নাম মেডিক্যাল কলেজ বেঙ্গল) পড়েছি। পশ্চিমবঙ্গের কোনো মেডিক্যাল কলেজেই প্রায় কোনো র্যাগিং তখন
‘গলব্লাডার আবার একটা অপারেশন নাকি? আমি সব জানি। আমার খুড়তুতো ননদের হয়েছে! অপারেশনের সাতদিন বাদে সে মন্দারমনি বেড়াতে চলে গেল।’ ‘আপনার দিদির সাথে চুড়ান্ত অন্যায় হয়েছে। ডাক্তারগুলো
গতকাল ছেলেটার সাত নম্বর অপারেশনের সেলাই কাটলাম। আঠেরো বছর। ছিপছিপে। চৌকো মুখ। উজ্জ্বল চোখ। যদিও পরপর অপারেশনের ধাক্কায় এবং তার আগে দুর্ঘটনার আতঙ্কে- চোখের উজ্জ্বলতা
জীবনের বিভিন্ন স্বাদ। জিভেরও। টক-ঝাল-মিষ্টি-তেতো। জিভের উপরতলে সব স্বাদেরই স্বাদকোরক থাকে। জীবনের দীর্ঘ পথেও সব স্বাদেরই অভিজ্ঞতা হয়। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। কখনো ধ্বংস, কখনো
যে কোনো ধরনের শল্যচিকিৎসার কথা উঠলেই মনে বিপদের আশঙ্কা জেগে ওঠে। বুকটা দুরুদুরু করতে থাকে। আর সেটা যদি কারো নিজের ক্ষেত্রে হয়- তাহলে তো কথাই
অসিতবাবু চেম্বারে রোগী দেখিতে দেখিতে বুকের বামদিকে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করিলেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা হইতে বুঝিলেন, সময় আর বিশেষ নাই। ডাক আসিয়াছে। এই মুহূর্তে
সেটা ১৯৯০ সালের শেষ দিক। ডিসেকশন, অষ্টিওলজি, এম্ব্রায়োলজি নিয়ে অ্যানাটমি সাবজেক্টে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা। অথচ ফার্স্ট এমবিবিএস পরীক্ষা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এমন সময় মেঘ
খেলায় জেতার আনন্দে ছেলেপিলেদের ডিগবাজি বা Somersault দিতে দেখা যায়। সে তো তাৎক্ষণিক ব্যপার- প্রবল আনন্দ ও উত্তেজনায় খেলোয়াড় বা সমর্থকরা যেটা হঠাৎ করে ফেলে।
এক দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পরিপ্রক্ষিতে র্যাগিং নিয়ে লিখেছিলাম কদিন আগে। তারপরের কয়েকদিনে দেখলাম ঘোলা জলে ল্যাঠা, শোল ইত্যাদি মাছ ধরা শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার
আপনার ফ্র্যাকচারের ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কড়া ব্যথার ওষুধ দিতে হল। সঙ্গে ভালো করে অ্যান্টাসিড দিলাম। খেতে ভুলবেন না।’ ‘অ্যান্টাসিড লাগবে না। ঘরে প্যান্টি আছে।
বিভিন্ন অঞ্চলে একই রোগের রোগীদের, আর্থিক- সামাজিক- সাংস্কৃতিক- ভাষাগত- পেশাগত চরিত্র আলাদা হয়। সাগরদিঘী-র এক গ্রাম্য বৃদ্ধার হাঁটু ব্যথা আর বালিগঞ্জের সুউচ্চ বহুতল বাসিনী মাঝবয়সী
শুধু ডাক্তারী করলেই হয় না, ডাক্তারী যে করছি সেটা সারা বিশ্ব-কে জানানো দরকার। আর শুধু ডাক্তারীই বা কেন? উচ্চশিক্ষার যে কোনো বিষয়ে, বিশেষতঃ যেখানে পঠন-পাঠন
প্রথমেই ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি। আমি স্কুলের পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (যার আসল নাম মেডিক্যাল কলেজ বেঙ্গল) পড়েছি। পশ্চিমবঙ্গের কোনো মেডিক্যাল কলেজেই প্রায় কোনো র্যাগিং তখন
‘গলব্লাডার আবার একটা অপারেশন নাকি? আমি সব জানি। আমার খুড়তুতো ননদের হয়েছে! অপারেশনের সাতদিন বাদে সে মন্দারমনি বেড়াতে চলে গেল।’ ‘আপনার দিদির সাথে চুড়ান্ত অন্যায় হয়েছে। ডাক্তারগুলো
গতকাল ছেলেটার সাত নম্বর অপারেশনের সেলাই কাটলাম। আঠেরো বছর। ছিপছিপে। চৌকো মুখ। উজ্জ্বল চোখ। যদিও পরপর অপারেশনের ধাক্কায় এবং তার আগে দুর্ঘটনার আতঙ্কে- চোখের উজ্জ্বলতা
জীবনের বিভিন্ন স্বাদ। জিভেরও। টক-ঝাল-মিষ্টি-তেতো। জিভের উপরতলে সব স্বাদেরই স্বাদকোরক থাকে। জীবনের দীর্ঘ পথেও সব স্বাদেরই অভিজ্ঞতা হয়। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। কখনো ধ্বংস, কখনো
যে কোনো ধরনের শল্যচিকিৎসার কথা উঠলেই মনে বিপদের আশঙ্কা জেগে ওঠে। বুকটা দুরুদুরু করতে থাকে। আর সেটা যদি কারো নিজের ক্ষেত্রে হয়- তাহলে তো কথাই
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে