
আমি নর্মাল ডেলিভারি চাই
সদ্য শীতের রাত। কল্যাণীর বাতাস ঝুপঝুপে কুয়াশায় ঢাকা। একটা ভাঙাচোরা বাতিল হওয়া সরকারি ছোট্ট কোয়ার্টারে একটা ক্লাবপার্টি চলে। বকফুলের গাছ তার দুয়ারে। ম–স্ত লম্বাটে কম্পাউন্ড।

সদ্য শীতের রাত। কল্যাণীর বাতাস ঝুপঝুপে কুয়াশায় ঢাকা। একটা ভাঙাচোরা বাতিল হওয়া সরকারি ছোট্ট কোয়ার্টারে একটা ক্লাবপার্টি চলে। বকফুলের গাছ তার দুয়ারে। ম–স্ত লম্বাটে কম্পাউন্ড।

শীতের ভোর। অল্প কুয়াশার আস্তরণ পৃথিবীর ওপর ছড়িয়ে আছে। আধবুড়ো মানুষটা একটা গ্যারেজের শেডের নীচে ঘুমিয়ে ছিলো। উঠে বসে। ঠান্ডার কামড়টা ভোর বেলায় বেশী থাকে।

সন দু হাজার ষোলো। ইশকুল সার্ভিস কমিশন তখন প্রায় পঁচিশ হাজার শিক্ষক অশিক্ষকের চাকরি হলো।দেখা গেল এমন অনেকেই চাকরি পেয়েছেন তালিকায় যাঁদের আদৌ নাম নেই

আমাদের তপ্পন বৈদ্য স্থানীয় ডাক্তার। একটা সময় জমজমাটি পশার ছিলো। এখন ভাগ্যের দুর্বিপাকে খালের ধারে একটা দেড় তলা দেড়কামরার ভাড়া বাড়িতে একা একা থাকেন। রোগীপত্রও

ভয় দেখাবি,জেলে ভরবি, ভয় পাবো না রুখে দাঁড়াবো। ব্যারিকেড দিলে, লাঠি তুললে চোখে তাকাবো- রক্তচোখে। হাজার পুলিশ-তোমার লেঠেল গর্তে ঢোকে, প্রবল ভয়ে। পথ বেঁধেছিস,আলো কেটেছিস,

ক’দিন ধরে কাগজপত্রে লিখছে অনশনকারীদের ইউরিনে কিটোন বডি পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাপারটা ঠিক বোঝানোর চেষ্টা করি। আমাদের শরীরে সব সময় কিছু কিছু অঙ্গ কাজ করছে।হার্ট, ফুসফুস,

{প্রয়োজনে তৃতীয় বন্ধনীভুক্ত লেখাগুলো বাদ দিয়ে যেতে পারেন। ওগুলো অকেজো বুড়োর জ্ঞান ফলানো} তিলোত্তমা এবং তিলোত্তমা বলে একটা মেয়ে মরে গিয়ে হঠাৎ আমাদের বুঝিয়ে দিল

এখন শরতের রোদ বড়ো কোমল। মায়ের স্পর্শের মতো মৃদু। বয়ে চলছে সময়, পাখি,আকাশ নদী আর মানুষ এক মন্ডপ থেকে অন্য এক মন্ডপে। তবুও ভালো তো

আমার তিলোত্তমা। আমাদের তিলোত্তমা। মরা ব্যাঙের মতো নির্জীব ছাত্র সমাজে প্রাণ এনেছে। তার ছিন্নভিন্ন দেহ- চোখে জল আর হৃদয়ে চেতনা এনেছে। তিলোত্তমা বুঝিয়েছে একবারই মৃত্যু

ঠিক যেন রাস্তার ধারে ফুটপাথবাসীদের আস্তানা। নানা রংয়ের পলিথিনের ছাউনি। আশ্বিনের আঙ্গিনায় ঝাপটে পড়া ক্ষ্যাপা শ্রাবণের দাপটে উথালপাতাল সব ছাউনি। রাস্তায় বয়ে চলা বৃষ্টিধারার স্রোতস্বিনী।

একটা দশতলা উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে একটা ছোট্ট পাথর ফেলে দিন।সেটা ক্রমশ ভরবেগ বাড়িয়ে যখন নিচে পৌঁছবে তখন সেটা একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

একবার বলো, শুধু একবার উচ্চারণ করো তিলোত্তমা- সারবাঁধা পেঙ্গুইন দাঁড়িয়ে পড়বে ফুরিয়ে আসা বরফের প্রান্তরে। একবার মৃদুস্বরে বলো তিলোত্তমা হারিয়ে আসা কালোহরিণ হরিণচোখে এসে দাঁড়াবে

সদ্য শীতের রাত। কল্যাণীর বাতাস ঝুপঝুপে কুয়াশায় ঢাকা। একটা ভাঙাচোরা বাতিল হওয়া সরকারি ছোট্ট কোয়ার্টারে একটা ক্লাবপার্টি চলে। বকফুলের গাছ তার দুয়ারে। ম–স্ত লম্বাটে কম্পাউন্ড।

শীতের ভোর। অল্প কুয়াশার আস্তরণ পৃথিবীর ওপর ছড়িয়ে আছে। আধবুড়ো মানুষটা একটা গ্যারেজের শেডের নীচে ঘুমিয়ে ছিলো। উঠে বসে। ঠান্ডার কামড়টা ভোর বেলায় বেশী থাকে।

সন দু হাজার ষোলো। ইশকুল সার্ভিস কমিশন তখন প্রায় পঁচিশ হাজার শিক্ষক অশিক্ষকের চাকরি হলো।দেখা গেল এমন অনেকেই চাকরি পেয়েছেন তালিকায় যাঁদের আদৌ নাম নেই

আমাদের তপ্পন বৈদ্য স্থানীয় ডাক্তার। একটা সময় জমজমাটি পশার ছিলো। এখন ভাগ্যের দুর্বিপাকে খালের ধারে একটা দেড় তলা দেড়কামরার ভাড়া বাড়িতে একা একা থাকেন। রোগীপত্রও

ভয় দেখাবি,জেলে ভরবি, ভয় পাবো না রুখে দাঁড়াবো। ব্যারিকেড দিলে, লাঠি তুললে চোখে তাকাবো- রক্তচোখে। হাজার পুলিশ-তোমার লেঠেল গর্তে ঢোকে, প্রবল ভয়ে। পথ বেঁধেছিস,আলো কেটেছিস,

ক’দিন ধরে কাগজপত্রে লিখছে অনশনকারীদের ইউরিনে কিটোন বডি পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাপারটা ঠিক বোঝানোর চেষ্টা করি। আমাদের শরীরে সব সময় কিছু কিছু অঙ্গ কাজ করছে।হার্ট, ফুসফুস,

{প্রয়োজনে তৃতীয় বন্ধনীভুক্ত লেখাগুলো বাদ দিয়ে যেতে পারেন। ওগুলো অকেজো বুড়োর জ্ঞান ফলানো} তিলোত্তমা এবং তিলোত্তমা বলে একটা মেয়ে মরে গিয়ে হঠাৎ আমাদের বুঝিয়ে দিল

এখন শরতের রোদ বড়ো কোমল। মায়ের স্পর্শের মতো মৃদু। বয়ে চলছে সময়, পাখি,আকাশ নদী আর মানুষ এক মন্ডপ থেকে অন্য এক মন্ডপে। তবুও ভালো তো

আমার তিলোত্তমা। আমাদের তিলোত্তমা। মরা ব্যাঙের মতো নির্জীব ছাত্র সমাজে প্রাণ এনেছে। তার ছিন্নভিন্ন দেহ- চোখে জল আর হৃদয়ে চেতনা এনেছে। তিলোত্তমা বুঝিয়েছে একবারই মৃত্যু

ঠিক যেন রাস্তার ধারে ফুটপাথবাসীদের আস্তানা। নানা রংয়ের পলিথিনের ছাউনি। আশ্বিনের আঙ্গিনায় ঝাপটে পড়া ক্ষ্যাপা শ্রাবণের দাপটে উথালপাতাল সব ছাউনি। রাস্তায় বয়ে চলা বৃষ্টিধারার স্রোতস্বিনী।

একটা দশতলা উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে একটা ছোট্ট পাথর ফেলে দিন।সেটা ক্রমশ ভরবেগ বাড়িয়ে যখন নিচে পৌঁছবে তখন সেটা একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

একবার বলো, শুধু একবার উচ্চারণ করো তিলোত্তমা- সারবাঁধা পেঙ্গুইন দাঁড়িয়ে পড়বে ফুরিয়ে আসা বরফের প্রান্তরে। একবার মৃদুস্বরে বলো তিলোত্তমা হারিয়ে আসা কালোহরিণ হরিণচোখে এসে দাঁড়াবে







আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে