অথ অনশন আখ্যান
হাঙ্গার স্ট্রাইক। ভুখ হরতাল। অনশন আন্দোলন। যে নামেই ডাকুন না কেন এটিকে, এই একটি বিশেষ পদ্ধতি বরাবরই ‘সরকার’, ‘শাসক’, ‘রাজা’ র জন্য সবিশেষ অস্বস্তির কারণ।
হাঙ্গার স্ট্রাইক। ভুখ হরতাল। অনশন আন্দোলন। যে নামেই ডাকুন না কেন এটিকে, এই একটি বিশেষ পদ্ধতি বরাবরই ‘সরকার’, ‘শাসক’, ‘রাজা’ র জন্য সবিশেষ অস্বস্তির কারণ।
নীচের ছবিটি দেখুন। শিল্পী অসিত সাঁই নির্মিত ভাস্কর্যর একটি স্টিল ফটোগ্রাফ এটি। কী দেখতে পাচ্ছেন? কী মনে হচ্ছে? আপনাদের? মনে হচ্ছে না যে, এটা ঠিক-ঠিক
বিষয়টি খুবই সুস্পষ্ট। পরিস্থিতিটিও যাকে বলে–এক্কেবারে জলবৎ তরলং। অর্থাৎ ধরা যাক আপনার নিকটাত্মীয় মা/রা গেছে বীভৎস নৃশংসতার হতবাক সাক্ষী হয়ে; অকালে। অথবা, অথবা…বাদ দিন, …ধরে
আজ সারাদিনে হোক কিংবা সুগভীর রাতে, বাংলা সংবাদ মাধম্যে খুব একটা দেখানো হয়নি ওদের ছবি। ফলত, ঘরে ঘরে ধ্বনিত হয়নি ওদের প্রত্যয়ী শ্লোগান। তুফান তোলেনি
দেখুন, আন্দোলন ফান্দোলন যাই করুন না কেন, অথবা… দু-দশটাকে ফাটকে ঢুকিয়ে দিয়ে তৃপ্ত আর মারাত্মক গর্বিত অনুভব করতে শুরু করুন না কেন, যা সর্বনাশ হওয়ার
জ্ঞানচক্ষু জেগেছে আমার যে কমবখত লহমায়, সেই মুহূর্ত থেকে আজ এই বেয়াল্লিশ বছর বয়স অবধি আমি ইউটোপিয়াতে বসবাস করতাম। করে যাচ্ছিলাম। করেই…যাচ্ছিলাম। নাগাড়ে। ইউটোপিয়াতে, অর্থাৎ–
রূপেণ বাবু, আমার ইংরেজির স্যার, বলেছিলেন এক আশ্চর্য বাক্য, আলেক্সান্ডার দ্যুমা-কে ধার করে – Nothing succeeds like success. এসব কথা আমি শুনিনি যদিও। স্বকর্ণে। কারণ,
ঘটনাটা চেনা পরিচিত। এসব সব্বার প্রথমে আলোচিত হবে জটলায়। তর্কাতর্কি হবে চায়ের আড্ডাতে, হোস্টেল রুমের সস্তা মদের গেলাসে, কলেজ ক্যান্টিনের ডিমের চপে, কিংবা নাইট শো
এগারো দিনে একটিবারও এস.টি.ডি ফোনকল না পেয়ে উৎকন্ঠিত পিতা আমার, তিনশ তেইশ কিলোমিটার ডিঙিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আমার বয়স তখন একুশ।
প্রথমে ছিলেন মাত্র তিনজন। তিনটি গোবেচারী ধরণের মানুষ-প্রাণী। হাত কচলিয়ে। সফেদ কুর্তা পায়জামা সমেত। আর বিরক্তিকর উগ্র আতর গন্ধী। বিড়বিড় করে বলে যাচ্ছিলেন– হাজী মানুষ
খুস্খুসে কাশি ঘুষ্ঘুষে জ্বর, ফুস্ফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর্।
নাইট ইমারজেন্সি ডিউটি সেরে ফিরে এসেছি এই একটু খানিক আগেই। এই গত কয়েক ঘন্টার কাতর-ক্রন্দন-ধ্বনি আর সেবা-স্যালাইন-শুশ্রূষার মাঝেমধ্যে ফাঁকফোঁকর মিলছিল যখনই তখনই অভ্যাসবশত খুটখাট করে
হাঙ্গার স্ট্রাইক। ভুখ হরতাল। অনশন আন্দোলন। যে নামেই ডাকুন না কেন এটিকে, এই একটি বিশেষ পদ্ধতি বরাবরই ‘সরকার’, ‘শাসক’, ‘রাজা’ র জন্য সবিশেষ অস্বস্তির কারণ।
নীচের ছবিটি দেখুন। শিল্পী অসিত সাঁই নির্মিত ভাস্কর্যর একটি স্টিল ফটোগ্রাফ এটি। কী দেখতে পাচ্ছেন? কী মনে হচ্ছে? আপনাদের? মনে হচ্ছে না যে, এটা ঠিক-ঠিক
বিষয়টি খুবই সুস্পষ্ট। পরিস্থিতিটিও যাকে বলে–এক্কেবারে জলবৎ তরলং। অর্থাৎ ধরা যাক আপনার নিকটাত্মীয় মা/রা গেছে বীভৎস নৃশংসতার হতবাক সাক্ষী হয়ে; অকালে। অথবা, অথবা…বাদ দিন, …ধরে
আজ সারাদিনে হোক কিংবা সুগভীর রাতে, বাংলা সংবাদ মাধম্যে খুব একটা দেখানো হয়নি ওদের ছবি। ফলত, ঘরে ঘরে ধ্বনিত হয়নি ওদের প্রত্যয়ী শ্লোগান। তুফান তোলেনি
দেখুন, আন্দোলন ফান্দোলন যাই করুন না কেন, অথবা… দু-দশটাকে ফাটকে ঢুকিয়ে দিয়ে তৃপ্ত আর মারাত্মক গর্বিত অনুভব করতে শুরু করুন না কেন, যা সর্বনাশ হওয়ার
জ্ঞানচক্ষু জেগেছে আমার যে কমবখত লহমায়, সেই মুহূর্ত থেকে আজ এই বেয়াল্লিশ বছর বয়স অবধি আমি ইউটোপিয়াতে বসবাস করতাম। করে যাচ্ছিলাম। করেই…যাচ্ছিলাম। নাগাড়ে। ইউটোপিয়াতে, অর্থাৎ–
রূপেণ বাবু, আমার ইংরেজির স্যার, বলেছিলেন এক আশ্চর্য বাক্য, আলেক্সান্ডার দ্যুমা-কে ধার করে – Nothing succeeds like success. এসব কথা আমি শুনিনি যদিও। স্বকর্ণে। কারণ,
ঘটনাটা চেনা পরিচিত। এসব সব্বার প্রথমে আলোচিত হবে জটলায়। তর্কাতর্কি হবে চায়ের আড্ডাতে, হোস্টেল রুমের সস্তা মদের গেলাসে, কলেজ ক্যান্টিনের ডিমের চপে, কিংবা নাইট শো
এগারো দিনে একটিবারও এস.টি.ডি ফোনকল না পেয়ে উৎকন্ঠিত পিতা আমার, তিনশ তেইশ কিলোমিটার ডিঙিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আমার বয়স তখন একুশ।
প্রথমে ছিলেন মাত্র তিনজন। তিনটি গোবেচারী ধরণের মানুষ-প্রাণী। হাত কচলিয়ে। সফেদ কুর্তা পায়জামা সমেত। আর বিরক্তিকর উগ্র আতর গন্ধী। বিড়বিড় করে বলে যাচ্ছিলেন– হাজী মানুষ
খুস্খুসে কাশি ঘুষ্ঘুষে জ্বর, ফুস্ফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর্।
নাইট ইমারজেন্সি ডিউটি সেরে ফিরে এসেছি এই একটু খানিক আগেই। এই গত কয়েক ঘন্টার কাতর-ক্রন্দন-ধ্বনি আর সেবা-স্যালাইন-শুশ্রূষার মাঝেমধ্যে ফাঁকফোঁকর মিলছিল যখনই তখনই অভ্যাসবশত খুটখাট করে
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে