আউটডোরের শিউলিরা
রাজেশ আমাদের আউটডোরে নাম লেখে। লাইন যখন বারান্দা টপকে লম্বা লম্বা পাম গাছের শেষ অবধি গেছে প্রায়, তখনই তিনি এলেন। বেনু রানী মিস্ত্রি।মেজাজ তার প্রায়
রাজেশ আমাদের আউটডোরে নাম লেখে। লাইন যখন বারান্দা টপকে লম্বা লম্বা পাম গাছের শেষ অবধি গেছে প্রায়, তখনই তিনি এলেন। বেনু রানী মিস্ত্রি।মেজাজ তার প্রায়
লাল ইঁটের রাস্তাটার উপর পিচ পড়ছিল ধোঁয়া উড়িয়ে। ক্রমশই সরু সাপের মতন আঁকাবাঁকা মোরাম এগিয়ে যাচ্ছিল কালিনারায়ণপুর স্টেশন থেকে রাধানগর বাসস্ট্যান্ডের দিকে। হাফ প্যান্ট আর
ছেলেটা ছিল রোগা এবং লাজুক। এমনকি সেটা একধরনের হীনমন্যতাও হতে পারে। তাই সে একা একাই হাঁটতো। গ্রীষ্মের দগ্ধ দুপুর কিংবা বৃষ্টির উপুর ঝুপুর বিকেল। সে
ক্যারাম কাকুর ভালোনাম কিছু একটা ছিল| আমার মনে নেই| ক্যারাম কাকুই বলতাম আমরা| তখন ডাক্তারী পড়ছি| শনিবার বাড়ি এলে সোমবার খুব ভোরে কলকাতা ফিরতাম| সে
এ কোনও গল্প নয়। প্রতিদিনকার অসহায় রোজ নামচার কঠিন বাস্তব। আজ বিকেলের চেম্বারে তেত্রিশটি পেশেন্ট দেখেছি। একত্রিশটি জ্বরের রুগী। চব্বিশ জনের করোনার সব লক্ষণ আছে।
ভুঁড়ি বাড়ছিল|অন্তত মাসখানেক অ্যালার্ম বন্ধ করে আগামী কাল থেকে শিওর উঠবো’র পর মৃন্ময়ী আর আমি দুজনেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম যে এবার শুরু না করলে
স্কুল লাইফে এ রচনা লেখেনি এমন লোক পাওয়া মুস্কিল। অবধারিত ভাবে এ রচনা শুরু হত শরৎ কাল দিয়ে। আকাশে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। বর্ষার পর
হাসপাতাল থাকলে কিছু মিছু পুজোআচ্চাও হয়|হয় বৈকি|ইমার্জেন্সির হট্টগোলের আবডালে শালুক টানিয়ে বিশ্বকর্মাকি জয় হয়|ক্রমশই বিখ্যাত হয়ে উঠতে থাকা শনির থানটাতে বারবেলার সিন্নি চাপে|বজরংবলীর লাল শরীর
জটবুড়িকে আজ রেফার করেছি|হাসপাতালে|সত্যিই আর উপায় ছিল না|যদিও সে বারে বারে বলত: আমারে কিন্তু হাসপাতালে দিবি না ভাই|যা করার তুইই করবি বড়দা| করোনার লকডাউন ক্যাম্পে
ইদানিং দুমদারক্কা করোনা হচ্ছে লোকজনের। দিব্বি একদিনের জ্বরের পর হাসিমুখে থুতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে আউটডোরে গা চিপকে নিশ্চিন্ত সমস্যার এলোমেলো উপাখ্যান শোনায় তারা। গ্যায় প্যায় ব্যথা।
জিতেন কাকু আমার পেশেন্ট| ইনহেলারে তার ভয় ছিল| প্রথম দিনই সে প্রায় আঁতকে উঠে না করে ছিল| বাবু আমাকে ইনহেলার দেবেন না| খাবার ওষুধ দিন|
এক সে অনেকদিন আগেকার কথা| বাবার শ্রাদ্ধের কাজ মিটে যাবার পর বসে আছি বারান্দায়| রজনীগন্ধার স্তুপে ঢেকে যাওয়া ফটোটা ঘরে নিয়ে যাবো ভাবছি| তখনি সে
রাজেশ আমাদের আউটডোরে নাম লেখে। লাইন যখন বারান্দা টপকে লম্বা লম্বা পাম গাছের শেষ অবধি গেছে প্রায়, তখনই তিনি এলেন। বেনু রানী মিস্ত্রি।মেজাজ তার প্রায়
লাল ইঁটের রাস্তাটার উপর পিচ পড়ছিল ধোঁয়া উড়িয়ে। ক্রমশই সরু সাপের মতন আঁকাবাঁকা মোরাম এগিয়ে যাচ্ছিল কালিনারায়ণপুর স্টেশন থেকে রাধানগর বাসস্ট্যান্ডের দিকে। হাফ প্যান্ট আর
ছেলেটা ছিল রোগা এবং লাজুক। এমনকি সেটা একধরনের হীনমন্যতাও হতে পারে। তাই সে একা একাই হাঁটতো। গ্রীষ্মের দগ্ধ দুপুর কিংবা বৃষ্টির উপুর ঝুপুর বিকেল। সে
ক্যারাম কাকুর ভালোনাম কিছু একটা ছিল| আমার মনে নেই| ক্যারাম কাকুই বলতাম আমরা| তখন ডাক্তারী পড়ছি| শনিবার বাড়ি এলে সোমবার খুব ভোরে কলকাতা ফিরতাম| সে
এ কোনও গল্প নয়। প্রতিদিনকার অসহায় রোজ নামচার কঠিন বাস্তব। আজ বিকেলের চেম্বারে তেত্রিশটি পেশেন্ট দেখেছি। একত্রিশটি জ্বরের রুগী। চব্বিশ জনের করোনার সব লক্ষণ আছে।
ভুঁড়ি বাড়ছিল|অন্তত মাসখানেক অ্যালার্ম বন্ধ করে আগামী কাল থেকে শিওর উঠবো’র পর মৃন্ময়ী আর আমি দুজনেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম যে এবার শুরু না করলে
স্কুল লাইফে এ রচনা লেখেনি এমন লোক পাওয়া মুস্কিল। অবধারিত ভাবে এ রচনা শুরু হত শরৎ কাল দিয়ে। আকাশে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। বর্ষার পর
হাসপাতাল থাকলে কিছু মিছু পুজোআচ্চাও হয়|হয় বৈকি|ইমার্জেন্সির হট্টগোলের আবডালে শালুক টানিয়ে বিশ্বকর্মাকি জয় হয়|ক্রমশই বিখ্যাত হয়ে উঠতে থাকা শনির থানটাতে বারবেলার সিন্নি চাপে|বজরংবলীর লাল শরীর
জটবুড়িকে আজ রেফার করেছি|হাসপাতালে|সত্যিই আর উপায় ছিল না|যদিও সে বারে বারে বলত: আমারে কিন্তু হাসপাতালে দিবি না ভাই|যা করার তুইই করবি বড়দা| করোনার লকডাউন ক্যাম্পে
ইদানিং দুমদারক্কা করোনা হচ্ছে লোকজনের। দিব্বি একদিনের জ্বরের পর হাসিমুখে থুতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে আউটডোরে গা চিপকে নিশ্চিন্ত সমস্যার এলোমেলো উপাখ্যান শোনায় তারা। গ্যায় প্যায় ব্যথা।
জিতেন কাকু আমার পেশেন্ট| ইনহেলারে তার ভয় ছিল| প্রথম দিনই সে প্রায় আঁতকে উঠে না করে ছিল| বাবু আমাকে ইনহেলার দেবেন না| খাবার ওষুধ দিন|
এক সে অনেকদিন আগেকার কথা| বাবার শ্রাদ্ধের কাজ মিটে যাবার পর বসে আছি বারান্দায়| রজনীগন্ধার স্তুপে ঢেকে যাওয়া ফটোটা ঘরে নিয়ে যাবো ভাবছি| তখনি সে
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে