নিভৃতকথন পর্ব ১১
জীবনের নানা উতর-চড়াইয়ের মধ্যেই ধীর নিশ্চিত পায়ে এগিয়ে আসছিল ডাক্তারির শেষ পরীক্ষা, ফাইনাল এমবিবিএস। সতেরোশো নম্বরের উপর পরীক্ষার্থীদের চুলচেরা মূল্যায়ন — স্লাইডের উপর আণুবীক্ষণিক কোষকে
জীবনের নানা উতর-চড়াইয়ের মধ্যেই ধীর নিশ্চিত পায়ে এগিয়ে আসছিল ডাক্তারির শেষ পরীক্ষা, ফাইনাল এমবিবিএস। সতেরোশো নম্বরের উপর পরীক্ষার্থীদের চুলচেরা মূল্যায়ন — স্লাইডের উপর আণুবীক্ষণিক কোষকে
পুবের আকাশ ফরসা হবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই রঙচটা সাইনবোর্ডের উপর এলোচুল দানবীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল যুবতী গ্রীষ্মের রাঙা রোদ্দুর। ওই সাইনবোর্ডের নিচে, সিঁদুরকৌটোর মতো চিলতে ঘরের
“অ্যাই সুকন্যা, বারোটায় পিএসএম থিওরি ক্লাস শুরু—পৌনে বারোটা বাজে—এ মা, তোর তো ভাত খাওয়াও হয়নি—অ্যাঁ! পায়ে ক্রিম মাখছিস বসে বসে? চ’ চ’, আর রূপচর্চা করতে
আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে নারী-নাগরিকের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাস্তান বড়ই অর্বাচীন। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে সুইডেনের কিছু অংশে আর আরো পরে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কোনো
মা, সক্কাল সক্কাল একঝাঁক দেখা/অদেখা পরম শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের ফোনবাহিত শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু হয়েছিল তোমার আমার ৫৬তম নাইনথ এপ্রিল। তারপর পার্বতীদির যত্নে রেঁধে রাখা চিকেনের ঝোল-ভাত
ন্যাশানাল মেডিক্যাল থেকে শ্যামনগর যাতায়াত করা কিন্তু আমার পক্ষে উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে উঠছিল। ডাক্তারির পড়া আর হায়ার সেকেন্ডারির পড়া এক নয়। ক্লাস, ডিসেকশন, আইটেম—সব মিটিয়ে
আমার জন্য ক্রুশ জোটেনি, ঘাতক ছিল অন্ধ — মাড় দেওয়া শার্টের কলারে পারফিউমের গন্ধ। হাতের পাতায় সরস্বতী — মুঠোর ভিতর রক্ত। শুঁকছে কেমন অন্ধ ঘাতক,
যখন ঘটনার বাহুল্যবিহীন একঘেয়ে দিনগুলো ক্লান্তিকর পৌনপুনিকতার মধ্যে দিয়ে অসম্ভব দ্রুততায় পেরিয়ে যায়, তখন একটা দিনের থেকে অন্য দিনের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমার
প্রখ্যাত রসসাহিত্যিক হিমানীশ গোস্বামী কখনো বলেছিলেন — “ভাবী হাসির গল্প লিখিয়েদের কাছে আমার একটি বিশেষ ঘোষণা রয়েছে — তাঁরা প্রথমেই জেনে রাখুন যে শুধুমাত্র হাসির
ডানবার মিলে ভোর পৌনে ছ’টার সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে পড়তাম আমি। ছ’টা দশের শিয়ালদাগামী ট্রেন ধরতেই হতো আমায়। ওভারব্রিজ থেকে নেমে
‘সকালে কাগজ না পড়লে বাহ্যে হবে না ঠিকঠাক’ — কথাটা বলতেন আমার ন’জ্যাঠা। আজ কাগজওয়ালার দেরি দেখে স্মৃতিতল থেকে বহু বছর আগের সেই কথাটা ভুস
ডানবার মিলে শ্রমিকদের মধ্যে ‘লেবার সাব’-এর জনপ্রিয়তা ম্যানেজমেন্টের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মিল ম্যানেজমেন্টের মাথাদের বক্তব্য ছিল, বাবা মালিকের বেতনভুক কর্মচারী, অতএব মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখাই
জীবনের নানা উতর-চড়াইয়ের মধ্যেই ধীর নিশ্চিত পায়ে এগিয়ে আসছিল ডাক্তারির শেষ পরীক্ষা, ফাইনাল এমবিবিএস। সতেরোশো নম্বরের উপর পরীক্ষার্থীদের চুলচেরা মূল্যায়ন — স্লাইডের উপর আণুবীক্ষণিক কোষকে
পুবের আকাশ ফরসা হবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই রঙচটা সাইনবোর্ডের উপর এলোচুল দানবীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল যুবতী গ্রীষ্মের রাঙা রোদ্দুর। ওই সাইনবোর্ডের নিচে, সিঁদুরকৌটোর মতো চিলতে ঘরের
“অ্যাই সুকন্যা, বারোটায় পিএসএম থিওরি ক্লাস শুরু—পৌনে বারোটা বাজে—এ মা, তোর তো ভাত খাওয়াও হয়নি—অ্যাঁ! পায়ে ক্রিম মাখছিস বসে বসে? চ’ চ’, আর রূপচর্চা করতে
আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে নারী-নাগরিকের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাস্তান বড়ই অর্বাচীন। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে সুইডেনের কিছু অংশে আর আরো পরে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কোনো
মা, সক্কাল সক্কাল একঝাঁক দেখা/অদেখা পরম শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের ফোনবাহিত শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু হয়েছিল তোমার আমার ৫৬তম নাইনথ এপ্রিল। তারপর পার্বতীদির যত্নে রেঁধে রাখা চিকেনের ঝোল-ভাত
ন্যাশানাল মেডিক্যাল থেকে শ্যামনগর যাতায়াত করা কিন্তু আমার পক্ষে উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে উঠছিল। ডাক্তারির পড়া আর হায়ার সেকেন্ডারির পড়া এক নয়। ক্লাস, ডিসেকশন, আইটেম—সব মিটিয়ে
আমার জন্য ক্রুশ জোটেনি, ঘাতক ছিল অন্ধ — মাড় দেওয়া শার্টের কলারে পারফিউমের গন্ধ। হাতের পাতায় সরস্বতী — মুঠোর ভিতর রক্ত। শুঁকছে কেমন অন্ধ ঘাতক,
যখন ঘটনার বাহুল্যবিহীন একঘেয়ে দিনগুলো ক্লান্তিকর পৌনপুনিকতার মধ্যে দিয়ে অসম্ভব দ্রুততায় পেরিয়ে যায়, তখন একটা দিনের থেকে অন্য দিনের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমার
প্রখ্যাত রসসাহিত্যিক হিমানীশ গোস্বামী কখনো বলেছিলেন — “ভাবী হাসির গল্প লিখিয়েদের কাছে আমার একটি বিশেষ ঘোষণা রয়েছে — তাঁরা প্রথমেই জেনে রাখুন যে শুধুমাত্র হাসির
ডানবার মিলে ভোর পৌনে ছ’টার সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে পড়তাম আমি। ছ’টা দশের শিয়ালদাগামী ট্রেন ধরতেই হতো আমায়। ওভারব্রিজ থেকে নেমে
‘সকালে কাগজ না পড়লে বাহ্যে হবে না ঠিকঠাক’ — কথাটা বলতেন আমার ন’জ্যাঠা। আজ কাগজওয়ালার দেরি দেখে স্মৃতিতল থেকে বহু বছর আগের সেই কথাটা ভুস
ডানবার মিলে শ্রমিকদের মধ্যে ‘লেবার সাব’-এর জনপ্রিয়তা ম্যানেজমেন্টের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মিল ম্যানেজমেন্টের মাথাদের বক্তব্য ছিল, বাবা মালিকের বেতনভুক কর্মচারী, অতএব মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখাই
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে