বহুজাতিক সংস্থার বহুল প্রচলিত বেবি পাউডারে ক্ষতিকর অ্যাসবেসটস পাওয়ার খবরে অনেকেই নড়েচড়ে বসেছেন। অ্যাসবেসটসের প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার হ’তে পারে। উন্নত দেশে এই পাউডার ব্যবহার নিয়ে অনেক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে এসব খবর গড়িয়ে আসতে বহু দেরি হয়ে যায়। সারা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর ডাস্টবিন হিসেবে এত বড় বাজার পাওয়া কি মুখের কথা? একইভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হয় হরেক কোম্পানির হেলথ ড্রিংকস।
তাহলে উপায়? বাচ্চাকে কোন পাউডার মাখাবো?
সোজাসাপটা উত্তর হ’ল- সুস্থ, স্বাভাবিক বাচ্চার কোনও পাউডার প্রয়োজন নেই। এসব পাউডার শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, ক্ষতিকরও বটে। সে তাতে অ্যাসবেসটস থাক বা না থাক। পাউডার লোমকূপগুলো বন্ধ করে দেয়। বাইরে থেকে চামড়া শুকনো লাগে। ঘাম কম হচ্ছে দেখে সবাই দারুণ খুশি!
তাছাড়া পাউডার লাগানোর সময় গুঁড়ো উড়ে ফুসফুসে ঢোকে। তা থেকে ফুসফুসের ক্ষতি, শ্বাসকষ্ট।
বাজারচলতি আর একধরনের পাউডার *ন্ডিড, **জর্ব ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। যার মধ্যে ছত্রাকনাশক ওষুধ বা সোজা করে বললে দাদের ওষুধ থাকে। কাজেই সুস্থ বাচ্চার ওসব লাগে না। বাচ্চা জন্মের সময় প্রকৃতি থেকে যথেষ্ট সুরক্ষা নিয়েই জন্মায়। বাড়তি রাসায়নিক দিয়ে তার সংবেদনশীল ত্বককে নষ্ট করবেন না।![](data:image/svg+xml,%3Csvg%20xmlns='http://www.w3.org/2000/svg'%20viewBox='0%200%20234%20300'%3E%3C/svg%3E)
তাহলে ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবো?
ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। ক্ষারবিহীন বা অল্প ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত। ঠান্ডা লাগার ভয়ে বাচ্চার স্নান বন্ধ করবেন না। তাবিজ-মাদুলি খুলে রাখুন। বাচ্চাকে সরষের তেল মাখাবেন না। ‘সরষের তেল মাখিয়ে ঠান্ডা কম লাগে’- এটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা। কাজল পরাবেন না। আপনার হাতের পরিচ্ছন্নতা পরোক্ষভাবে বাচ্চার সুরক্ষা। বাচ্চার যাঁরা যত্ন নিচ্ছেন তাঁরা হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখুন। বাচ্চাকে যতটা সম্ভব আরামদায়ক তাপমাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন। ঠান্ডা লাগবে ভেবে ফ্যান না চালানো অযৌক্তিক।
সুস্থ বাচ্চাকে পাউডার না দেওয়ার কথা বলতে বলতে হাঁফিয়ে যাই। দেখা যাক, এবার পাউডারে অ্যাসবেসটস পাওয়ার খবরে টনক নড়ে কিনা…