ভালোপাহাড়ের স্কুল। এক থেকে আট। একশ কুড়ি জন ছাত্র ও ছাত্রী। আগে আবাসিক ছিল। কোভিডের পরে ডে-স্কুল। বাংলা- ঝাড়খন্ড সীমান্তে জঙ্গল পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের বাচ্চা সব। স্কুলেই সকালের খাবার-পড়াশোনা- খেলাধূলো -নাচ- গান- দুপুরের খাবার। তারপর স্কুলের বাসে বাড়ি। পারিবরিক কারণে বেশ কয়েক বছর অনুপস্থিতির পরে জয়তীদি আবার হাল ধরেছে। সুতরাং ভালোপাহাড় আবার স্বমহিমায়।
বছরের শেষ দুদিনে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ কমল চক্রবর্তীর জন্মদিন ও স্পোর্টস। ঘরোয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পাঁচবছর ধরে ‘ফিরে দেখা’-র হয়ে ভালোপাহাড় স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকান্ডে যুক্ত। ইদানিং নানান কারণে ‘ফিরে দেখা’ র দৃষ্টি স্তিমিত হয়েছে। কিন্তু আমরা আছি। অমিত আর মামা (Santosh Kumar Chanda) প্রতিবছর এখানে বাৎসরিক স্পোর্টস-এর আয়োজন করে।
খেলা শেষে নাচ, গান, নাটিকা। স্কুল শেষ করে ছেড়ে যাওয়া বালিকা আর শিক্ষিকা দের কান্না। ‘যেতে নাহি দিব’। পুরস্কার বিতরণ। সব শেষে গরম ভাত। মাংস,চাটনি, পায়েস- দল বেঁধে। এক পংক্তিতে।
একসময় এই স্কুলে পড়ে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরের কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছে আদিবাসী ছেলেমেয়েরা।
পরদিন দুয়ারসিনি, সাতগুরুং নদী, টটকো বাঁধ, বুরুডি লেক। ভোরবেলার শিশিরে পা ভিজিয়ে ধানকাটা জমির আলের উপর দিয়ে হাঁটা। গরম জিলিপি, খেজুর গুড়। বছরের শেষে হৈ হৈ করে এক অন্যরকম বেড়ানো।