আতসবাজিরা আকাশপানে ধায়। হঠাৎই মুখর হয় শহর। চাঞ্চল্য জাগে নাগরিক মনে। মধ্যযামের জনপদ ব্যস্ত নবীনবরণে। প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনীত আমি কেন জানি না তাকাই পিছনপানে। যত দূরে দেখি দৃষ্টি তত ঝাপসা হয়। ওই তো ছোট্ট ছেলেটা বাবার হাত ধরে যাচ্ছে ‘মেথডিস্ট চার্চ স্কুল’ এ ভর্তি হতে। যীশুর উপাসনাগৃহের পাশে ল্যাভেণ্ডার আর বোগেনভিলিয়ায় ছাওয়া গেট। ক্যালেণ্ডারের ছবির মতো। মন ভালো করা মাঠ দিল মন ছুঁয়ে যাওয়া খেলার সাথী…..আজও যারা খবর নেয় মুঠোফোনে ‘ভালো আছিস তো, কবে আসছিস?’ হারকিউলিস সাইকেলের প্যাডেলে চাপ বাড়ে….. মাইথন, বরাকর কী বার্ণপুরের দূরত্ব দিনে দিনে কমতে থাকে। ১৯৭১। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ইংল্যাণ্ডের মাটিতে ক্রিকেট সিরিজ জয়। স্বাধীন বাংলাদেশ। ডিবেট….. বইমেলা…..প্লাস টু। ১৯৭৮। ৮৮, কলেজ স্ট্রিট এবং একটা আর্কিটাইপ্যাল সিঁড়ি। সিঁড়ি মানেই তো ওঠা এবং নামা….. নামা এবং ওঠা। একদিন সেই সিঁড়ি মিশে গেল জীবনের পথে। সেই পথ কখনও বক্র, কখনও সরল। পিছনের পথ ক্রমবর্ধমান। ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। অবুঝ ছায়া প্রশ্ন করে ‘আরও কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে?’ তাকে বোঝাতে পারি না ‘আমি তো মূলেই ফিরতে চাই, একবার…..শুধু একবার, ভুলগুলো শুধরে নেব’। ছায়া হেসে বলে ‘হয়না তা হয়না। সব লেখা হয়ে গেছে জমাখরচের খাতায়’। আমি বলি ‘একটা সুযোগ…..ওই তো রাসডাঙার ছ’কোণা খেলার মাঠ, আবার একবার শুরু করি ওই সবুজ ঘাসের চাতাল থেকে’। ছায়া বিষণ্ণ হয়, চুপিচুপি বলে ‘ফেলে আসা ভূমি যদি বা পাও খুঁজে, কোথা পাবে হারানো সময়’?
ওষুধ-ব্যবসার এই রোগ সারবে কোন উপায়ে?
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তুমুল হইচইয়ের মধ্যে একটা কথা অনেকেরই নজর এড়িয়ে যেতে পারে — রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে টাকা ঢালা শিল্প সংস্থাগুলোর মধ্যে একাধিক ঔষধি নির্মাতা