Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

চেম্বার কড়চা

279275089_2551765484956432_5368423782709625827_n
Dr. Sarmistha Das

Dr. Sarmistha Das

Dermatologist
My Other Posts
  • May 3, 2022
  • 9:54 am
  • No Comments
সাদা খোলে সবুজ লতা শাড়ি। জবজবে তেলে চুবোনো চুল টেনে বাঁধা খোঁপা। কানে ছোট মাকড়ি। পেশেন্টনি ঢুকেই একগাল পান সুপুরি হাসি দিলেন। দু এক ছিটে পিক ছিটিয়েই বললেন –হেই গো ডাক্তারদিদি ঝন্টু আমায় পাঠাইলেক, বললেক উ দিদির কাছে যাও, আমার নাম বললেই হবেক।
রোজ রোজ কত রুগী আসে যায়। সেই মুহূর্তে ঝন্টু নামে কাউকে মনে করতে পারলাম না।
একটু চুপ করে থেকে বললাম-আচ্ছা, আপনার কি সমস্যা?
আরো প্রশস্ত পানসুপুরি হাসি–আমি ঝন্টুর মা গো, আমায় কি আর কিছু বইলতে হবেক!
আপনার কষ্টটা কি, রোগজ্বালা কোথায়?
গালে হাত দিয়ে চোখ মাথায় তুলে হাহাকার করে উঠলেন –হা ভগবান। আমি ঝন্টুর মা গো –ঝন্টুকে চিনতে লারছ? ঝন্টু বলল, আর কিচ্ছুটি বলতে হবে না শুধু দিদিকে আমার নাম বললেই হবে।
আলমারী দেরাজ কোণা ঘুপচি খুঁজেও মনে করতে পারছি না ঝন্টুকে, তার চেয়েও সমস্যা পেশেন্টনিকে দেখে চামড়ার রোগ কিছু খুঁজে পাচ্ছি না আর উনি যেহেতু ঝন্টুর মা তাই প্রতিজ্ঞেবদ্ধ আমাকে আর কিছু বলবেন না। ঝন্টু তো আমাকে বড় দায়ে ফেলল। কবজি ধরে দেখি জ্বর বালাই কিছু নেই। যত বার জিজ্ঞাসা করি– কি হয়েছে? সেই এক উত্তর –আমি তো ঝন্টুর মা গো।
ধুত্তোরি ছাই!
এবার একটু উঁচু তারে গলা উঠিয়ে বলি– বলি হয়েছেটা কি?
তিনি ততধিক উঁচু তারে হেসে বলেন– সেই জানতেই তো আসা–হয়েছেটা কি?
বলি–আপনার হাতে পায়ে মাথায় পেটে কোথায় কি সমস্যা?
সেই জানতেই তো আসা মা গো, আমি ঝন্টুর মা। ঝন্টু আমায় বলল কিচ্ছুটি বলতে হবে না, দিদি দেখেই রোগ ধরে ফেলবে। আমাকে দেখেই বলে দিলেন বেটনোভেট মলম মাখো তাই মুখের এ দশা। আমি মেখেছি ঘরে দিদি জানলে কেমনে!
ও হরি! এই কথা! স্টেরয়েড মলম লাগালে মুখের এমন একখান বেয়াড়া চেহারা হয় যে সদ্যপাশ করা ডাক্তারও বোঝে। আমারতো প্রায় চল্লিশ বছর ডাক্তারি হতে চলল। আসল রোগের চাইতে এই ‘ম্যানমেড’ রোগের বড় ভীড় আমাদের কাছে। কিন্তু ঝন্টুকে যে আমার এখনো মনে পড়ল না। ঝন্টুকে মনে না পড়লে যে তার মা কিছুতেই আমাকে বলবেন না তাঁর কি হয়েছে। কি যে করি?
একটা কিছু ক্লু বের করার জন্য জিজ্ঞেস করি– তা ঝন্টু ভালো আছে তো এখন?
হ্যাঁ, ভালো মানে খুব ভালো। সেই জন্যেই তো আমাকে বললে —
ওরে বাবা! আবার সেই রিপিট টেলিকাস্ট শুরু হবে। ঝন্টু ছেলে না মেয়ে সেটাও যে মনে করতে পারছি না, নামটাও বাইজেন্ডার ফ্রেন্ডলি -ছেলে মেয়ে উভয়েরই চলিতে পারে।
ক্লু হাতড়াতে বলি– তা ঝন্টু কাজ কম্ম পড়াশুনো এখন করছে তো ঠিকমতো?
পানসুপুরি হাসি–হ্যাঁ গো। ওর কাজকম্মের জোরেই তো বেঁচেবত্তে আছি। দশ কেলাসের পর আর পড়াতে পারিনি সে তো জানো। তুমার সঙ্গে তো সব কথা হয়েছে। তুমি যে ছানকিন দিয়েছিলে তাই মেখে এখন দিব্যি কাজ করছে। প্লাস্টিকের থলে থেকে পাতা সুদ্ধ একটা এঁচোড় বার করে বললেন– এই যে ঝন্টু একটা কাঁঠাল পাঠিইছে তুমার লেগে।
ইউরেকা ইউরেকা! পেয়ে গেছি ক্লু। এবার কিন্তু আমি আপারহ্যান্ড নেব পানসুপুরি দিদি।
দাঁত বার করে বলি– আরে ঝন্টু তো আপনার খুব বাহাদুর মেয়ে। তাই বলুন -আপনি হলেন গিয়ে ঝন্টুর মা। তা আপনার তো সেই গেঁটে বাত -পা কমজোরি, কেমন আছেন এখন ? আপনার কষ্ট কি আর বলতে হবে না, ঝন্টু আমাকে সব বলেছে–পায়ে খুব হাজা। এই বাতে পায়ের আঙুল বাঁকা বলে ফাঁকে জল জমে থাকে– হাজা একটু বেশি হয়। ও ঠিক হয়ে যাবে ওষুধ দিয়ে দেব ভাববেন না। একটু দেখান পা টা —
ঝন্টুর মাকে শনাক্ত করতে পেরে আমি তখন একটু বেশি প্রগলভ। তিনি এখন মুখ টিপে হেসে মাথা বাঁ দিকে হেলিয়ে পা নাচাতে নাচাতে আমার প্রগলভতা উপভোগ করছেন, কারণ তিনি যে সত্যিই ঝন্টুর মা তা এতক্ষণে আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন।
কিছুদিন আগে এসেছিল সেই রোগা কালো লম্বা মেয়েটি। রঙচটা চুড়িদার পরা। লম্বা বিনুনী। চোখে একটা অভাবী খেটেখাওয়া দেমাকের টুনি বাল্ব। দেখে কলেজ পড়ুয়া মনে হতেই পারে। বাবা মারা গেছে চার বছর। দাদা বিয়ে করে চলে গেছে। মা রুগ্ন– কাজ করতে পারে না। বাবার জমিতে সারাবছর ধরে একা হাতে তিন ফসলি চাষ চালায় মেয়ে। চাষের সব কাজ একা হাতে করে। বিয়ে করবে না প্রতিজ্ঞা করেছে। শীতের সবজির পর এখন চিনাবাদাম লাগিয়েছে। বন্ধুর কথায় ফর্সা হবার লোভে একটু ভুল করে ফেলেছিল–খুব বকেছি। আরে তুই হচ্ছিস গিয়ে দুনিয়াদারির রাণি– ঘাম ঝরিয়ে নিজের ভাত নিজে যোগাড় করিস। ভুঁই ফুঁড়ে যখন প্রথম বীজপত্র উঁকি মারে তখন কেমন আনন্দ হয় বল দেখি? তোকে আমি একটা সেরা লড়াকুর মেডেল দিলাম মনে মনে। ওসব নেকুপুষুদের ফর্সা হবার ভুয়ো ক্রীম তোর জন্য নয়, মাখবি না কক্ষনো। রোদে তোর চামড়াটা বড্ড পুড়ে গেছে –এই নে একটা সানস্ক্রীন। আরো কিছু দরকারি ওষুধ ফিসিশিয়ান স্যাম্পল থেকে বেছে দিলাম।
তা সেই ছানকিন মেখে মেয়ে ভালো আছে বলে মায়ের আসা। একটু গল্পগুজবের সৌজন্যে মেয়ের মনে হতে পারেই যে ডাক্তারদিদি তার নাম বললেই চিনতে পারবেন। প্রথমে মনে করতে যে পারিনি সে আমারই অপূর্ণতা, আমারই অক্ষমতা। আর এমন বাহাদুর মেহনতি মেয়ের মা যিনি, তিনি পি ভি সিন্ধু বা সাইনির মায়ের মতো “আমি তো ঝন্টুর মা” বলে কলার আপ করতেই পারেন।
এবার ঝন্টুর ভালোবাসার এঁচোড় নিয়ে কি করব? সব ভালোবাসারই তো সন্তান সন্ততি হয় –এঁচোড়েরও হবে। ক্রমশঃ প্রকাশ্য —
PrevPreviousসাঁতার
Nextপ্যাটার্নNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

সরকারি ব্যবস্থায় আমাদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা?

July 5, 2022 1 Comment

ডক্টরস ডায়ালগের ফেসবুক লাইভে ১লা জুলাই ২০২২ প্রচারিত।

আবার জিরোতে হিরো!

July 5, 2022 No Comments

গৌরচন্দ্রিকাঃ শিশিরদাকে খুব মিস করেছি এবার ট্রেকে গিয়ে। শিশিরদা আমাদের পঁয়ষট্টি বছরের তরতাজা যুবক। ট্রেকে অদম্য উৎসাহ। পারিবারিক কারণে যেতে পারেনি। নানা কারণে এ ট্রেক

তোমাতে করিব বাস

July 5, 2022 No Comments

প্রথম পর্ব। ডিসেম্বর ২০২১। ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে ধীরেসুস্থে একটা ফিল্টার উইলস্ ধরাল মনোজিৎ। তারপরে মুচকি হেসে বলল, “ডায়াবেটিসের জন্য লেডি ডক্টর দেখালে, ঠিক আছে। কিন্তু

ব্যঙ্গের নাম অগ্নিপথ (২)

July 4, 2022 No Comments

আগের দিন বয়সের কথা বলেছিলাম। এবার একটু অর্থনৈতিক বিষয়ের দিকে চোখ রাখা যাক। যা জানানো হয়েছে তাতে অগ্নিবীরেরা প্রথম বছরে পাবেন ৩০ হাজার টাকা প্রতি

ট্রাইকটিলোম্যানিয়া

July 4, 2022 No Comments

একটি সহজ বিষয় নিয়ে লিখবো। ধরা যাক- হঠাৎ রাস্তায় যেতে যেতে আপনি দেখলেন – একজন লোক প্রতিদিন বসে বসে নিজের চুল টেনে তুলছে! যখন যেখানে

সাম্প্রতিক পোস্ট

সরকারি ব্যবস্থায় আমাদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা?

Doctors' Dialogue July 5, 2022

আবার জিরোতে হিরো!

Dr. Sumit Das July 5, 2022

তোমাতে করিব বাস

Dr. Partha Bhattacharya July 5, 2022

ব্যঙ্গের নাম অগ্নিপথ (২)

Dr. Swastisobhan Choudhury July 4, 2022

ট্রাইকটিলোম্যানিয়া

Smaran Mazumder July 4, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

399862
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।