Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

এর্নেস্তো ‘চে’ গেভারা- ক্লান্তিহীন বিপ্লব ও তার পটভূমি

IMG_20211011_195807
Dr. Dipankar Ghosh

Dr. Dipankar Ghosh

General Physician
My Other Posts
  • October 12, 2021
  • 7:14 am
  • 11 Comments

(আমার সন্তান যখন ক্লাস সেভেনে পড়ে, তখন হঠাৎ জিজ্ঞেস করে “বাবা,এই চে গেভারা কে? কেন সবাইকার জামায় চে গেভারার ছবি আঁকা?”

সেদিন গুছিয়ে বলতে পারিনি, চে গেভারা শুধু জামায় নেই- সব কিশোরকিশোরীর হৃদয়ে স্বপ্ন হয়ে আঁকা আছে।সেদিন কেবলমাত্র কয়েকটা ব‌ই এনে দিয়েছিলাম। আজ প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে সেই অসমাপ্ত গল্পটা শেষ করছি।)

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ার্স থেকে তিনশো কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে-সান্তা ফে প্রদেশে রোজারিও নামে একটা শহর আছে। তার পূব দিক দিয়ে বয়ে চলেছে পারানা নদী। পৃথিবীর সপ্তম দীর্ঘ নদী। প্রায় চার হাজার আটশো আশি কিলোমিটার লম্বা। পিরানহা মাছে ভরা সেই নদী। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল আর প‍্যারাগুয়ের বুক চিরে চলেছে এই উত্তাল নদী। সেই নদীর পশ্চিম পাড়ে একটি শিশু জন্ম নিলো- এর্নেস্তো গেভারা লে সের্না।

চোদ্দোই জুন, ঊনিশশো আঠাশ- একটা দলছুট এলোমেলো তারা নেমে এলো রোজারিও শহরের এক ধনীর প্রাসাদে। এই নদীর মতোই এলোমেলো বয়ে চলেছে সেই পথহারা, আপন খেয়ালী, বিশ্বমানুষ সেই একলা তারার জীবন- একদেশ থেকে অন‍্যদেশে। উত্তাল পারানা নদীর মতোই বিপদসঙ্কুল তার জীবন।

তখন লাতিন আমেরিকার আপামর মানুষ স্প‍্যানিয়ার্ড আর পর্তুগিজ ঔপনিবেশিকদের তীব্র শোষণে ধুঁকছে।দারিদ্র্য কথাটার সঠিক অর্থ তখন তারা টের পাচ্ছে, মানুষের বাঁচার জন্য সামান্যতম প্রয়োজনটাও মেটাতে পারছে না, অর্থাৎ খাদ্য, মাথার ওপর ছাদ, পানীয় জল, চিকিৎসা, পরনের কাপড়, শিক্ষা-কিচ্ছু নেই (এটা পড়ে আপনার যদি বর্তমান ভারতের গরীব গেঁয়ো চাষীদের কথা মনে আসে তাহলে লেখক নাচার। গত বছর, ২০২০ সালের মৃত্যু খতিয়ান বলছে মোট গড় মৃত্যুর পরেও আরও একচল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষ অজানা জ্বর আর শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। এদের করোনা পরীক্ষা কেন, লক ডাউনের মধ্যে কোনও পরীক্ষাই হয়নি। গণচিতা আর নদীতে ভেসে গেছে প্রিয়জনের মৃতশরীর)।

লাতিন আমেরিকার মানুষ আবার দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতম। কলম্বিয়া, পেরু, ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার বাষঠঠি শতাংশ মানুষ থাকে অনাহারে। ওদেশের গ্রামাঞ্চলে চাষীদের অবস্থা তখন আরও খারাপ। বোধহয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বাংলার মন্বন্তরের বর্ণনার সঙ্গে এই অশেষ মন্বন্তরের কিছু মিল পাওয়া যায়।ওখানেও তখন সম্পদের অসমবন্টনে ধনী আরও ধনী আর গরীব মানুষ আরও গরীব হয়ে চলেছে। টাকার লোভে তৈরি হচ্ছে বেআইনি মাদক ব‍্যবসায়ী আর মাফিয়ার দল।

পড়ে র‌ইলো শুধু মৃতদেহ বিরহিত দগ্ধ বিস্তার,
মৃত আগুনের
এক কালো টুকরো দিয়ে
নামমাত্র ভাঙা নিরবচ্ছিন্ন শূন‍্যতা।
(পাবলো নেরুদা)

এই অপরিমিত শূন‍্যতার মধ্যে বড়ো হতে লাগলো এর্নেস্তো গেভারা লীঞ্চ আর সেলিয়া ডি লা সের্নার সন্তান ‘এর্নেস্তো গেভারা লে সের্না’ (লক্ষ্য করবেন-মায়ের নামের একটা টুকরো ওনার নামে জুড়ে গেছে)। রয়েছে ধনী পিতার প্রচুর সম্পদ। পিতামহ প‍্যাট্রিক লীঞ্চ ইংল্যান্ড থেকে স্পেনে গেছিলেন, সেখান থেকে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য আর্জেন্টিনা এসে স্থিতু হ’ন। মা সেলিয়া ডি লা সার্না ছিলেন আর্জেন্টিনার এক অভিজাত পরিবারের কন‍্যা- অঢেল তাঁদের সম্পদ। একপাশে এই বৈভব আর অন‍্যপাশে দৃশ্যমান নিঃসীম দারিদ্র্য এর্নেস্তো গেভারার দৃষ্টিভঙ্গি আমূল বদলে দিয়েছিলো।

ইতিমধ্যে ১৯৩২ সালে গেভারা পরিবার বুয়েন্স এয়ার্স থেকে কর্ডোবায় চলে এসেছে। ১৯৪৮ সালে এই কিশোর বুয়েন্স এয়ার্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তি হয়ে যান।

১৯৫৪ সালে এর্নেস্তো শুরু করেন তাঁর দক্ষিণ আমেরিকা সফর। যেটা লেখা আছে দ‍্য মোটরসাইকেল ডায়ারিজ নামক একটা ব‌ইয়ে। জীবনে প্রথম প্রত‍্যক্ষ করেন বলিভিয়ার সশস্ত্র বিপ্লবী সংগ্রাম। এর্নেস্তো এই বিপ্লবী লড়াই দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিবর্তিত হন এক সংগ্রামী মানুষে।

একজন মানুষ। ডাক্তার নয়,ধনীর দুলাল নয় কেবলমাত্র মানুষ। স্প‍্যানিশ আর্জেন্টাইন ভাষায় স্থানীয় মানুষ চে বলতে একজন মানুষকে (বন্ধু/মানুষ) বোঝায়। এর্নেস্তো হয়ে গেলেন ‘চে’ গেভারা- মানুষ গেভারা। অঢেল সম্পদ আর বিলাস ছেড়ে, চলে এলেন লড়াইয়ের ময়দানে। গোটা পৃথিবী হয়ে উঠলো তাঁর দেশ। কিউবা থেকে বলিভিয়া-সব জায়গায় অসাম‍্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার এক পৃথিবীবাসী।

চে গেভারার পরিক্রমা
ডাক্তারি পড়া শেষ হতেই এর্নেস্তো আর অ্যালবার্তো গ্র‍্যানাডো নামে এক বন্ধু মোটরসাইকেলে চেপে গোটা উত্তর আমেরিকা দেখতে বেরোলেন (দ্বিতীয় অভিযান)।পৌঁছে গেলেন সদা বিক্ষুব্ধ বলিভিয়ায়। সেখানে তখন সশস্ত্র বিপ্লব চলছে। ভোটে নির্বাচিত এম‌এন‌আর (মুভমেন্তো ন‍্যাশনাল রিভোলিউশারি)-কে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আমেরিকার মদতপুষ্ট স্বেচ্ছাচারী শাসক গদি ছাড়ে নি। সুতরাং চলছে এক গেরিলা যুদ্ধ (দুঃখিত, গোটা লেখাটায় বারবার আমেরিকার নাম আসবে)।

এরপর এর্নেস্তো গেলেন গুয়াতেমালা। সেখানেও আমেরিকার মদতপুষ্ট একজন মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত জোকাবো এরবেঞ্জকে তাড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। এবার এর্নেস্তো বুঝতে পারেন পুঁজিবাজার নিজের ব‍্যবসা বাড়ানোর জন্য কিভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। এদের তৈরি অবৈজ্ঞানিক পুষ্টিদ্রবণ (আমেরিকার ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি) আর অন্য ব‍্যবসায়ীরা কিভাবে নিপুণ কৌশলে গুয়াতেমালায় (পড়ুন পৃথিবীতে) অর্থনৈতিক একাধিপত্য কায়েম করতে চলেছে। (লেখকের টীকা:-গ‍্যাট বা ডব্লিউ টি ও চুক্তি গ্লোবালাইজেশেনের নামে আমেরিকার এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের চেষ্টা আজ‌ও চলছে) বিশ্বমানুষ এর্নেস্তো হয়ে উঠলেন আক্ষরিক অর্থে একজন কম‍্যুনিষ্ট, গোটা পৃথিবী হয়ে উঠলো ওঁর কমিউন।

মেক্সিকো
গুয়াতেমালা থেকে এর্নেস্তো এলেন মেক্সিকো। এখানে তৈরি হলো এক চূড়ান্ত যোগাযোগ। একদিকে দেখা হলো কিউবার বিপ্লবী আন্তোনিও লোপেজের সঙ্গে। একই সঙ্গে অর্থনীতিবিদ এবং আজন্ম কম‍্যুনিষ্ট হিল্ডা গেড‍্যা আকোস্টা’র সঙ্গে উনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হ’ন। হিল্ডা ছিলেন গুয়াতেমালা বিপ্লবী দলের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং একজন সাম‍্যবাদী মানুষ । দুজনের দেখা হয় গুয়াতেমালায়। মেক্সিকোতে দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। সন্তানের নাম হিল্ডা গেভারা। গুয়াতেমালায় যে প্রেম তৈরি হয়েছিলো সেটা পূর্ণতা পেলো মেক্সিকোতে।

সেখান থেকে এলেন কিউবা, হিল্ডা থেকে গেলেন মেক্সিকোতে। বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে যোগাযোগ হলো এর্নেস্তোর। দুজন জন্ম বিপ্লবীর দেখা হলো।

তখন কিউবায় সশস্ত্র বিপ্লব চলছে। ফিদেল এর্নেস্তোকে গেরিলা বাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পাঠালেন। আগে ছিলেন ডাক্তার ও লেখক, এখন এর্নেস্তো হয়ে উঠলেন কম‍্যুনিষ্ট, সমরনীতি এবং গেরিলা যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লব জয়ী হলো।কিউবায় এর্নেস্তোর হিল্ডার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলো।হিল্ডার বিশ্বাস ছিলো চে গেভারার আদর্শে, চে’র দেখানো পথ থেকে উনি কক্ষণোই সরেন নি, লিখলেন ‘মাই লাইফ উইথ চে’ নামে একটা ব‌ই।

বে অফ পিগসের লড়াই
(এটা না হলে আমেরিকার অর্থনৈতিক আগ্রাসনের স্বরূপ বোঝা যাবে না। সুতরাং ছোট্ট করে’ একটু ইতিহাস)

ঊনিশশো বাহান্ন সালে আমেরিকার প্রত‍্যক্ষ মদতে ফাল্গেন্সিও বাতিস্তা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কার্লোস প্রিওকে দেশ থেকে বার করে’ মিয়ামিতে (ফ্লোরিডা) পাঠিয়ে নিজে আয়েশ করে’ কুর্সিতে বসেন। তখনই দেশের ভেতরে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিদ্রোহ আরম্ভ হয়। ঊনিশশো আটান্নো সালের ডিসেম্বরে ফিদেল কাস্ত্রো কিউবার আমেরিকান ব‍্যাঙ্ক, তৈল শোধনাগার, চিনি আর কফির বাগান, সব কিছু জাতীয়করণ করেন।

আমেরিকার একচেটিয়া বাজার বন্ধ হয়ে গেলো। কী মুশকিল! আমেরিকার আয়ের উৎস গেলো বন্ধ হয়ে।আমেরিকায় তখন প্রেসিডেন্ট এইসেনহাওয়ার সিআইএকে তেরো দশমিক এক মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিউবার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিলেন (১৯৬০)। সেই টাকায় কিউবার বিক্রি হয়ে যাওয়া মানুষরা একটা প্রতিবিপ্লব শুরু করলো। কি মনে হচ্ছে? যেন কোনও বিশেষ একটা দলের মুখপত্র লেখা হচ্ছে? আসলে তারপর থেকেই ইন্দিরা গান্ধী এবং সোভিয়েতপন্থীরা, বামপন্থীরা, সবাই সব কিছুতে সিআইএ’র ভূত দেখতে শুরু করে। নিজেদের অপকীর্তি ঢাকতে সিআইএ’কে ঢাল হিসেবে ব‍্যবহার করা শুরু করে।

যাগগে আসল কথায় আসি। আমেরিকা চোদ্দোশো আমেরিকান প‍্যারাট্রুপার নামিয়ে দ‍্যায় বে অফ পিগসের প্লায়া গারিওনে। ব‍্যবসাপাতি বন্ধ হ‌ওয়ায়, এইসেনহাওয়ার নৌবাহিনী আর বিমানবাহিনীর সাহায্য নিয়ে আবার কিউবা দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কিউবার হতদরিদ্র মানুষরা জোস রামন ফার্নান্দেজের নেতৃত্বে ব‍্যাপক লড়াই করে। কাস্ত্রো ছিলেন এই যুদ্ধে সর্বাধিনায়ক। এ্যাতো টাকার উৎস বন্ধ হয়ে গেছে, আমেরিকার মতো শান্তিপ্রিয় দেশের গায়ে তো জ্বালা হবেই। কিন্তু বে অফ পিগসের গোপন ব‍্যাপারটা পুরো খুল্লাম খুল্লা হয়ে পড়ায় নতুন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি বিমানবাহিনী প্রত‍্যাহার করে’ নিতে বাধ্য হন। ফলতঃ বাকি সৈন্যরা কাস্ত্রোর বাহিনীর কাছে হেরে বিদায় নেয়।

কাস্ত্রো তখন সোভিয়েতের কাছে সাহায্য চাইলেন।আমেরিকা মহাক্রুদ্ধ হয়ে ইতালি আর তুর্কিতে ব‍্যালিস্টিক মিসাইল বসায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন আমেরিকাকে তাক করে’ কিউবায় একই রকম ব‍্যালিস্টিক মিসাইল বসায়। কেনেডি আর রাশিয়ান নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের মধ্যে মহা ঝগড়া হয় (কোল্ড ওয়ার নামে বিশ্বখ‍্যাত)।ক্রুশ্চেভ সোজা বলে দ‍্যান- কোনও অবস্থাতেই কিউবা থেকে সোভিয়েত মিসাইল সরবে না। শেষমেশ আবার পরমাণু যুদ্ধ হতে চলেছে দেখে আমেরিকা তখন ব্যাপারখানা হজম করে নেয়।

ডাক্তার চে গেভারা হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্য কেউ হলে গল্পের নটেগাছটা এখানেই মুড়িয়ে যেতো, সবাই সুখে শান্তিতে সংসার করতো। কিন্তু এবার চে চললেন বলিভিয়ায়, সেখানে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে।

বলিভিয়া

আমাজনের অববাহিকায়, তিনদিক তিনটে দেশ দিয়ে ঘেরা দেশ বলিভিয়া তখন অশান্ত। চে’র কাছে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ওদের দরকার ছিল (বলিভিয়ার দিনলিপি-চে গেভারা)। চে গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিলেন। পৃথিবীর শেষ কোণা থেকে শেষ রক্তবিন্দু ঝরিয়েও লড়াই করে’ দারিদ্র্য আর অসাম‍্য দূর করা ছিলো চে’র স্বপ্ন। শোষিত মানুষকে মুক্ত করা চে গেভারার জীবনের লক্ষ্য ছিলো। অসম গেরিলা যুদ্ধে, সিআইএ আর বলিভিয়ার শাসকের সৈন্যরা চে’কে বন্দী করলো।

সিআইএ চে’কে প্রকাশ‍্য রাস্তায় হত্যা করতে চেয়েছিলো।বলিভিয়ার শাসক তাতে রাজি হলেন না- যদি প্রকাশ্যে হত‍্যা করলে বলিভিয়ার সাধারণ মানুষ বিদ্রোহ করে?কখনও মৃতদেহ‌ও শাসকের কাছে জীবিত মানুষের থেকে বেশী ভীতিকর হয়ে ওঠে। চে’কে গোপনে অত‍্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়- যেভাবে আমাদের মাস্টারদা সূর্য সেনকে মারা হয়েছিলো। তাছাড়া জীবিত অবস্থায় মানুষ ‘চে’ গেভারার দুটো হাত কেটে ফেলা হয়। শেষে বাকি গেরিলাদের সঙ্গে অত‍্যাচারে মৃত চে গণকবরে সমাধিস্থ হন।

একজন মানুষের মতো মানুষের গল্প শেষ হয়েও শেষ হলোনা। অসংখ্য রূপকথায়, উদ্দাম যৌবনের জামায়, হৃদয়ে চে বেঁচে র‌ইলেন। এখনও যে কোনও দেশের প্রতিবাদমিছিলে থাকেন চে গেভারা। শুধু জামায় আঁকা ছবিতে নয়, প্রত‍্যেক প্রতিবাদী মানুষের জামার অনেক গভীরে। বিশ্বমানুষ,পথভোলা তারা- এর্নেস্তো ‘চে’ গেভারা লে সের্না আমাদের স্বপ্নে আর রূপকথায় আছেন।

PrevPreviousআর জি কর মেডিকাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী আন্দোলন
Nextকরোনা অতিমারীর সময় উৎসবে কি কি করবেন?Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
11 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
অনিরুদ্ধ কীর্তনীয়া
অনিরুদ্ধ কীর্তনীয়া
1 year ago

অসাধারণ!

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
Reply to  অনিরুদ্ধ কীর্তনীয়া
1 year ago

ধন্যবাদ দাদা।অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো।পুণ‍্যদা পূরণ করলেন।

0
Reply
Kanchan Mukherjee
Kanchan Mukherjee
1 year ago

এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো একটি অনবদ্য লেখা। নমস্কার নেবেন দীপঙ্করদা। ?

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
Reply to  Kanchan Mukherjee
1 year ago

ভালবাসা নেবো।আর কিছুই চাই না।

0
Reply
Mitra Sen Mazumder
Mitra Sen Mazumder
1 year ago

Bahudin bade eto sundar lekha porlam bodh hoy chhotobelay pora Akher swad nonta er por.Ei lekha natun projonmor pora uchit.Arao anek erokom lekhar abedan roilo.Pronam.Bhalo thakben. Amar Baba o ekjon biplobi chhilen— Comrade Niranjan Sen.Onar diary khub taratari publish korbo-” untold stories of IPTA & Niranjan Sen.”

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
1 year ago

আমি আপ্লুত।তবে লিখে বড়ো তৃপ্তি পেয়েছি।

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
1 year ago

ভালবাসা নেবো।আর কিছুই চাই না।

0
Reply
Abhijit sarbadhikary
Abhijit sarbadhikary
1 year ago

অসাধারণ, স্ফটিক স্বচ্ছ লেখা।

0
Reply
দীপঙ্কর ঘোষ
দীপঙ্কর ঘোষ
Reply to  Abhijit sarbadhikary
1 year ago

চেষ্টা করেছি।সংক্ষেপে ঐ দীর্ঘ জীবনের একটা আভাস দেওয়ার।

0
Reply
জ্যোতির্ময় পান্ডা
জ্যোতির্ময় পান্ডা
1 year ago

ভালোবাসার মানুষটি কে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ।। বুকভরা ভালোবাসা।।

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
Reply to  জ্যোতির্ময় পান্ডা
1 year ago

ভালো থাকুন

Last edited 1 year ago by Dr. Dipankar Ghosh
0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

March 20, 2023 No Comments

৪/৩/১৯৯০ শৈবাল–আমাকে প্রথমে নির্বাচনের খবর। আমরা একটাও জিততে পারিনি। জনকও হেরেছে। ভেড়িয়া ৭০০০ ভোটে জিতেছে। আমরা গ্রামে ১২ হাজার ভোট পেয়েছি। বি. জে. পি. ২১

গ্রামের বাড়ি

March 19, 2023 No Comments

১৪ দিন দশেক পরে দেবাঙ্কন এসে হাজির। বলল, “তোদের কফি ধ্বংস করতে এলাম। বাপরে বাপ, যা গেল! যাক, চার্জশিট হয়ে গেছে। সাংঘাতিক কনস্পিরেসি। সোমেশ্বর নাথ

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

March 18, 2023 No Comments

খবরের কাগজে কত খবরই তো আসে। বড় একটা অবাক হই না। কিন্তু একখানা খবর পড়ে একেবারে চমকে গেলাম। কলকাতার একটি নামকরা কর্পোরেট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে

রম্য: হোলিকা দহন

March 17, 2023 No Comments

দখিনা হাওয়া জবুথবু শীতের শরীরকে দেয় দোলা। শুকনো পাতা ঘূর্ণি বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যায়। দিন বাড়ে। বয়সও। ধরে রাখা যায় কি তাকে? যায় না।

ব্যক্তিগত সখ আর অভ্যাস

March 16, 2023 No Comments

কয়েকজনকে আমার সানুনয় অনুরোধ করা আছে, ফেসবুকে নতুন লেখা দিলেই আমাকে জানাতে। তেমনই একজন কাছের লেখক সোমা ব্যানার্জি দিদি। তাঁর শেষের তাঁর নিজেরই কিছু ব্যক্তিগত

সাম্প্রতিক পোস্ট

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

Dr. Asish Kumar Kundu March 20, 2023

গ্রামের বাড়ি

Dr. Aniruddha Deb March 19, 2023

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

Dr. Bishan Basu March 18, 2023

রম্য: হোলিকা দহন

Dr. Chinmay Nath March 17, 2023

ব্যক্তিগত সখ আর অভ্যাস

Dr. Arunachal Datta Choudhury March 16, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

428261
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]