মহিলা নির্যাতন বা বৃদ্ধ বৃদ্ধা নির্যাতন নিয়ে অনেক কথা খরচ হলেও শিশু নির্যাতন ব্যাপার টা আমরা গুরুত্ব দিই না। কারণ নির্যাতিত হলেও শিশুরা বলতে পারেনা।
আমি বিশেষজ্ঞ না তবে নিম্নলিখিত ব্যাপার গুলো শিশুর প্রতি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে বলে আমার মনে হয়।
১. মারধোর। এখনও এই একবিংশ শতকে এসেও বাচ্চাদের বেদম প্রহার চলে। অল্প মার খেয়ে যদি বাচ্চা না কাঁদে তবে তাকে কাঁদানোর জন্য যতটা প্রহার দরকার ততটা প্রহারও চলে।
২. বাচ্চার সাথে অশ্লীল যৌন ইয়ার্কিঃ এই তোর ওটা দেখা, পাখী কোথায় ইত্যাদি।
৩. বাচ্চাকে বিভিন্ন ভয় দেখানোঃ
- এই তোর প্রিয় অমুক মানুষ টা তোকে ভালবাসবে না।
- তোকে হস্টেলে দিয়ে দেবো।
- বেশী করলে অন্ধকার ঘরে ভরে রাখবো।
- গরম খুন্তি হাতে নিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার ভয়।
- কোন প্রিয় জিনিসটা নিয়ে নেবো বলে ইয়ার্কি। এগুলো ভয়ঙ্কর বলে মনে হয় আমার।
৪. বাচ্চাদের কোন যুক্তি বা তর্ক শুনলেই তাকে বকাবকি করা।
৫. বকাবকি করে বাচ্চাদের খাওয়ানো। না খেলে বাজে কথা বলা।
৬. পড়াশুনা নিয়ে মানসিক চাপ দেওয়া আলাদা করে লিখতে হবে।
৭. বাচ্চাকে মিলিটারী কায়দাতে নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর চেষ্টা। গানের, আঁকার ক্লাসের জন্যও চাপ দেওয়া।
বস্তুত বড়দের আরও সভ্য ভদ্র হয়ে ওঠা প্রয়োজন। বাচ্চারা ভাল হয়েই জন্মায়। ওদের ভাল করে গড়ে তোলার জন্য শুধু ওদের মানসিক স্পেসটা দেওয়া প্রয়োজন। আর কিছু না।