(পুরোটাই অনেক কষ্টেসৃষ্টে বানিয়ে লেখা। কেউ দয়া করে বাস্তবের সাথে মিল খুঁজবেন না।
)
‘হাসপাতালে মেয়ে দেখা কি উচিৎ হবে? মানে এথিক্যালি কারেক্ট?’
‘দাদা, পাত্রী সব সময় স্বাভাবিক পরিবেশে দেখা উচিৎ। বাড়িতে গুচ্ছের সাজুগুজু করা মেয়ে দেখার কোনো মানে হয়না। ওভাবে দেখা আর না দেখা প্রায় সমান। আর আমি তো শুধু খানিকক্ষণ দেখেই চলে যাব। রোগীর ভিড়ে মিশে থাকব। ওর সাথে কোনো কথা বলব না।‘
চঞ্চল কিছুক্ষণ মুখ নিচু করে ভাবল। সে মুর্শিদাবাদের একটি প্রান্তিক গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার। বছর খানেক আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছে। শহরের ছেলে চঞ্চল গ্রামে চাকরি করতে এসে অনেক বিচিত্র ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে মেয়ে দেখার প্রস্তাব আগে পায়নি।
মুশকিল হচ্ছে যে অনুরোধ করছে সেই সৌমিত্রকে সে সহজে নাও বলতে পারছে না। কারণ আপদে বিপদে সৌমিত্র তাকে বহুবার সাহায্য করেছে। সৌমিত্র একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। আদর্শবান চঞ্চল হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অন্য মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মতো সৌমিত্রকেও এড়িয়ে চলত। তার বক্তব্য ছিল হাসপাতালে সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য মোটামুটি ওষুধ পাওয়াই যায়, তাই বাইরের ওষুধ লেখার তেমন প্রয়োজন নেই। আর গ্রামীণ হাসপাতালে খুব জটিল রোগীর চিকিৎসাও হয়না। সেরকম রোগী সাধারণত বড় হাসপাতালে রেফার হয়।
কিন্তু সৌমিত্রকে সে বেশিদিন এড়িয়ে চলতে পারেনি। এই গণ্ডগ্রামে কারো সাহায্য ছাড়া একা একা বেশিদিন চালানো মুশকিল। হাসপাতালটা গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে একটা ধূধূ প্রান্তরের মধ্যে। কাছাকাছি ছোটো খাটো দোকানও নেই। কিছু কিনতে হলে অন্তত দু কিলোমিটার যেতে হবে। ফলে চঞ্চল কিছুটা নমনীয় হয়েছে। সমবয়সী সৌমিত্রের কাছ থেকে টুকটাক সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে সে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছে, যখন দেখেছে এর বিনিময়ে সৌমিত্র তাকে অনৈতিক ভাবে ওষুধ লেখার জন্য চাপ দেয়নি। ফলে গত এক বছরে তাঁদের সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুর মতোই হয়ে উঠেছে।
কিন্তু সৌমিত্রর এই প্রস্তাবটা মানতে তার একটু অস্বস্তি হচ্ছে। সৌমিত্রের দাদার সাথে হাসপাতালের এক নার্সিং স্টাফ পঞ্চমীর বিয়ের কথা বার্তা চলছে। গত রবিবার সৌমিত্রের দাদা সপরিবারে বহরমপুরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখে এসেছেন। মেয়ে দেখে তাঁদের অপছন্দ হয়নি। কিন্তু সৌমিত্রের দাদা মেয়ের সম্পর্কে আরো কিছু খুঁটিনাটি জানতে চান। তিনি পুলিশে চাকরি করেন। ফলে সরজমিনে তদন্ত না করে বিয়ের মতো বড়সড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ।
সৌমিত্র দাদার হয়ে প্রাইভেট ডিটেকটিভের কাজ করছে। এই হাসপাতালের ডা. চঞ্চল রায় তার বন্ধুর মতো। সেই সূত্রে হাসপাতালে তার অবাধ গতিবিধি। সে চঞ্চলকে ধরেছে, পঞ্চমীকে একবার হাসপাতালে এসে দেখবে এবং তার সম্পর্কে চঞ্চলের কাছ থেকে কিছু তথ্য নেবে।
চঞ্চল বেশ কিছুটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়েছে। অন্য কোনো সিস্টার হলে তার এতোটা অস্বস্তি হতো না, পঞ্চমী বলেই তার অস্বস্তিটা বেশি হচ্ছে।
সিস্টারটি সত্যিই ভালো। হাসপাতালে রোগীদের সাথে কখনো উঁচু গলায় কথা বলতে দেখেনি। ওয়ার্ডে সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছে। মুখে একটা মিষ্টি হাসি লেগেই আছে। যে হাসি দেখলে রোগীর যন্ত্রণা অনেকটা কমে যায়।
এইতো পরশুদিন এক ভিখারি ভর্তি হলো পায়ে বিচ্ছিরি ঘা নিয়ে। ঘায়ের মধ্যে ম্যাগট অর্থাৎ পোকা কিলবিল করছে। বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে। কোনো গ্রুপ ডি দাদা ড্রেসিং করতে রাজি হচ্ছিল না। চঞ্চল নিজেই ইথারের শিশি আর ফরসেপ নিয়ে ড্রেসিং করতে যাচ্ছিল। পঞ্চমী সেসব তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নিজেই যত্ন করে ড্রেসিং করে দিল। সারা ওয়ার্ডের রোগীরা ওয়াক ওয়াক করছে। অথচ পঞ্চমীর মুখের কোনো বিকার নেই। মিষ্টি হাসিটা মুখে লেগেই রয়েছে। চঞ্চল মুগ্ধ হয়ে প্রয়োজনের থেকে অনেকটা বেশি সময় তাকিয়ে ছিল। দৃশ্যটা তার অলৌকিক মনে হচ্ছিল। পঞ্চমী তার দিকে হঠাৎ করে তাকাতেই সে চোখ নামিয়ে নিয়েছিল। কয়েকটি এট্রিয়াল এক্টোপিক বিট এসে আচমকা তার হৃদপিণ্ডের ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছিল। ছন্দ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লেগেছিল।
অথচ পঞ্চমীর ডিউটি সেসময় শেষ হয়ে গেছিল। পরের শিফটের সিস্টার দিদিও চলে এসেছিল। পঞ্চমী দিব্যি তাকে হ্যান্ড ওভার দিয়ে নিজের কোয়ার্টারে চলে যেতে পারত।
আজ সেই মেয়ে দেখার দিন। চঞ্চল নার্সিং স্টাফদের ডিউটি রোস্টার দেখে রেখেছে। আজ পঞ্চমীর ইভনিং শিফট। অর্থাৎ বেলা দুটো থেকে আটটা। চঞ্চলের আউটডোর দুটো- আড়াইটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সৌমিত্র সেসময় হাসপাতালে চলে আসবে। আউটডোর শেষ করে চঞ্চল ভর্তি থাকা রোগীদের দেখতে যাবে। সেসময় সৌমিত্রও তাঁর সঙ্গে যাবে।
সে সৌমিত্রকে বলেছে, ‘পঞ্চমীদি তোমাকে চেনে নাতো?’
সৌমিত্র বলেছে, ‘হাসপাতালে এতবার এসেছি, চেনে নিশ্চয়ই। তবে হবু বরের ভাই হিসাবে চেনে না। আমি কখনো ওর বাড়িতে যাই নি।‘
‘দেখো, কোনো ঝামেলা পাকিও না। চুপচাপ দেখে চলে আসবে। একটানা তাকিয়ে থেকো না। সিস্টার দিদিরা বুঝে গেলে সমস্যা হবে।‘
সৌমিত্র হেসে বলল, ‘ওকে বস, তোমার কোনো চিন্তা নেই।‘
ওয়ার্ডে ঢুকে চঞ্চলের বারবার মনে হচ্ছিল সে অন্যায় করছে। সৌমিত্রকে সাহায্য করা তাঁর উচিৎ হয় নি। সৌমিত্র ওয়ার্ডে ঢুকেই সিস্টারদের টেবিলের উল্টোদিকে বসে পড়েছে এবং একদৃষ্টিতে পঞ্চমীর দিকে চেয়ে আছে। পঞ্চমী তার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কিছু বলবেন?’
সৌমিত্র বলল, ‘আমার খুব ঠাণ্ডা লেগে গেছে। সিস্টার, একটা টিকিট বানিয়ে দিন না। ডাক্তারবাবুকে দেখাই।‘
পঞ্চমী বলল, ‘এতক্ষণ তো আউটডোর চলল। ওখানেই দেখাতে পারতেন। ডাক্তারবাবু সেই সকাল থেকে রোগী দেখছেন। এখনও খাওয়া দাওয়া করেন নি। আপনারা যদি সর্দি কাশিও আউটডোরের পরে দেখান তাহলে উনি সামলাবেন কী করে?’
সৌমিত্র হাসল, ‘সে আমি ডাক্তারবাবুর সাথে বুঝে নেব। আপনি আমায় একটা টিকিট করে দিন।‘
পঞ্চমী টিকিট দিল না। তার বদলে দুটো ট্যাবলেট সৌমিত্রের হাতে দিয়ে বলল, ‘আজ এই ওষুধ খাওয়া দাওয়া করে খেয়ে নিন। কাল না কমলে আউটডোরে এসে দেখাবেন। আউটডোরের পর এমারজেন্সি কেস ছাড়া আমি টিকিট দেব না। এবার আপনি আসুন। ওয়ার্ড ফাঁকা করুন।‘
সৌমিত্র একটু হতভম্ব হয়ে উঠে দাঁড়াল। বলল, ‘ইয়ে… মানে… ডা চঞ্চল রায় আমাকে ভালোমতোই চেনেন। আপনি টিকিট করে দিলে উনি দেখে দেবেন।‘
চঞ্চল কী বলবে বুঝতে পারছিল না। সে বিপন্ন ভাবে একজন হাঁপানির রোগীর বুকে স্টেথো বসালো। কিন্তু সে রোগীর বুকের সপ্তসুর মোটেই শুনছিল না। তার কান পঞ্চমীর দিকে। পঞ্চমী বলছে, ‘ডাক্তারবাবুকে চেনেন যখন ওনাকে শুধু শুধু বিরক্ত করছেন কেন? যান যান, কাল আসবেন।‘
সৌমিত্র বাধ্য হয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেল। পঞ্চমী হাতে বোর্ড আর স্ফিগমোম্যানোমিটার নিয়ে চঞ্চলের পাশে এসে দাঁড়ালো। মৃদু কণ্ঠে বলল, ‘ডা. রায় আপনি খারাপ রোগীদের একবার দেখে স্নান খাওয়া করে নিন। লেবার রোগীদের এখন দেখতে হবে না। আমি দেখে নিয়েছি। এক্টিভ লেবারে কেউ নেই।‘
চঞ্চল নিজের কোয়ার্টারে ফিরে দেখল সৌমিত্র তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। চঞ্চল তালা খুলতে খুলতে বলল, ‘কেমন দেখলে?’
‘দেখলাম আর কই? তাঁর আগেই তো হবু বৌদি আমাকে ওয়ার্ড থেকে বার করে দিল।‘
‘তুমি আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গেলে কেন?’
‘বৌদিই তো প্রথম জিজ্ঞাসা করল কী দরকার?’
‘টিকিট চাইতে গেলে কেন। অন্য কিছু বলতে পারতে। বলতে পারতে আমার সাথে দরকার আছে। রোগী দেখা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছো?’
‘তখন যা মাথায় এসেছে তাই বলেছি। অতো ভেবে বলেছি নাকি। তা বলে আমার হাতে ট্যাবলেট ধরিয়ে বের করে দেওয়া মোটেই উচিৎ হয়নি। আমি ওর একমাত্র হবু দেওর।‘
খেতে খেতে সৌমিত্র জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা দাদা, আপনার মতে পাত্রী মানে পঞ্চমীদি কেমন?’
চঞ্চল বলল, ‘ভালো, বেশ ভালো। অত্যন্ত সিনসিয়ার। ওর মতো নবজাতকদের এক চান্সে ক্যানুলা কেউ পরাতে পারে না।‘
‘দাদা, আমি বিয়ের পাত্রী দেখতে এসেছি। নবজাতকদের ক্যানুলা করতে পারে কি না জেনে আমার কী লাভ? ইয়ে… মানে…পঞ্চমীদির স্বভাব চরিত্র কেমন? মানে নার্সদের নিয়ে অনেকরকম কথা শোনা যায় তো?’
চঞ্চল খাওয়া থামিয়ে বলল, ‘অত্যন্ত আপত্তিকর প্রশ্ন। এই প্রশ্নের কোনো জবাব তো আমি দেবই না, এবং এ ধরণের প্রশ্ন আর করলে তোমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কও থাকবে না।
সৌমিত্র বলল, ‘তবে যাই বলো দাদা, পঞ্চমীদিকে কিন্তু হাসলে মোটেই ভালো লাগে না। একেবারে মাড়ি বেরিয়ে যায়। দাদার কাছে শুনেছি বাড়িতে যেটুকু হেসেছে মুখ টিপে হেসেছে।‘
চঞ্চল কিছু বলল না। এ ব্যাপারে তাঁর যে ঘোরতর দ্বিমত রয়েছে সেটা সৌমিত্রকে জানাতে ইচ্ছে করল না।
সৌমিত্র বলল, ‘তাছাড়া নামটাও কেমন যেন। ওর নাম পঞ্চমী, আর ওর বোনের নাম সপ্তমী। বিয়ের পর বৌদিকে একটা আধুনিক নাম দিতে হবে।‘
চঞ্চল বলল, ‘তুমি খাওয়া দাওয়া করে কোয়ার্টারে বিশ্রাম নাও। আমি হাসপাতাল থেকে আরেকবার ঘুরে আসি। ‘
সৌমিত্র বলল, ‘আমি আর বসব না। কাজ আছে, বেরিয়ে যাব। দাদাকে যে কী বলব তাই বুঝতে পারছি না।‘
চঞ্চল সব রোগীকে ভালো করে দেখে সিস্টারদের টেবিলের উল্টোদিকে বসে বেড হেড টিকিটে এক এক করে ক্লিনিক্যাল নোট দিচ্ছিল আর পঞ্চমীদি সেগুলো এক এক করে ডিরেকশন খাতায় তুলছিল। কাজ শেষ করতেই এক লেবার রোগিণী এসে হাজির। পঞ্চমীদি হেসে বলল, ‘ডা. রায়, আপনি অনেক খেটেছেন। একটু বসুন। আমি দেখে আসছি। নিন, আপনি বসে বসে গান শুনুন।‘
পঞ্চমীদি হেডফোন সহ নিজের মোবাইল চঞ্চলের হাতে ধরিয়ে দিল। চঞ্চল খানিকক্ষণ হতবাক হয়ে বসে হেডফোন কানে লাগাল। তাঁর একটি মোবাইল আছে বটে, কিন্তু সেটায় শুধু ফোন আসে আর যায়। গান টান শোনা যায় না।
হেডফোনে ভেসে এলো এক সুরেলা কণ্ঠ ‘তুম কো দেখা তো ইয়ে খেয়াল আয়া/ জিন্দেগি ধুপ তুম ঘানা সায়া…’
পঞ্চমী লেবার রুম থেকে ফিরে এলো। রোগিণীর বাড়ির লোকের কাছ থেকে নাম ঠিকানা শুনে ভর্তি করল। তারপর চঞ্চলকে বলল, ‘শুনলেন?’
‘হ্যাঁ, গান শুনলাম।‘
পঞ্চমী মৃদুস্বরে বলল, ‘কিছু বুঝতে পারলেন?’
চঞ্চল বলল, ‘শুনেছি, কিন্তু কিছু বুঝিনি।‘
‘কিচ্ছু বুঝতে পারেননি?’
‘মানে… আমি হিন্দিটা একেবারেই বুঝিনা। ছোটবেলায় আমার বাবা-মা দুজনেই হিন্দি সিনেমা, হিন্দি গানকে অত্যন্ত খারাপ চোখে দেখতেন। তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল হিন্দি সিনেমা, হিন্দি গান- বখে যাওয়া ছেলে মেয়েরা দেখে। আগে তো দূরদর্শনে শনিবার সন্ধ্যায় হিন্দি ও রবিবার বাঙলা সিনেমা হতো। শনিবার সন্ধ্যেয় টিভি খোলা নিষিদ্ধ ছিল।‘
পঞ্চমী হেসে বলল, ‘ব্যাস ব্যাস আর বলতে হবে না। তবে আপনাদের একটা টিভি ছিল। আমাদের তাও ছিল না। আমি মাইনে পেয়ে কিনলাম।‘ একটু চুপ থেকে বলল, আমি কিন্তু বুঝেছি… সব কিছু বুঝেছি।
চঞ্চল বোকার মত জিজ্ঞাসা করল, ‘সব বুঝতে পেরে গেছেন? কী বুঝেছেন?’
গ্রুপ ডি মফিজুলদা ডাক দিল, ‘স্যার, শিগগিরি আইসেন। একখান মাইয়া কাঁচ বিষ খেয়ে আইচে।‘
রাতে চঞ্চল কোয়ার্টারে যাচ্ছিল। হাসপাতাল আর কোয়ার্টারের মধ্যে বিশাল এক দিঘী। দিঘীর জলে পূর্ণিমার চাঁদ। চাঁদের আলোয় তাল গাছের ছায়া। আলো আঁধারির খেলা। পঞ্চমী কী বুঝতে পেরেছে? সব কি বুঝতে পেরে গেছে? এতো সহজে সব কি বোঝা যায়? হাঁটতে হাঁটতে চঞ্চল বোকার মতো হাসছিল।