শুনলাম প্রগতি হবে?
হ্যাঁ তো, ঝাঁ চকচকে রাস্তা, ঝকঝকে বাড়িঘর,
মন কে ধাঁধিয়ে দেওয়া শপিং মল,
স্বপ্নের দৌড়ানো শুরু হলো সবে।
কদিন পরেই তো স্কোয়ারফুটের দাম বেড়ে ছোঁবে লাখ।
এলো বলে শয়ে শয়ে প্রোমোটার ঝাঁক।
আর ওই গাছগুলো?
চার পাঁচ শতকের যারা এই জমির মালিক?
আরে ধুর , উড়ে যাবে ঠিক,
উপায় থাকলে জানা, জঙ্গল জমি করা নয় তো দুরূহ,
কদিনেই উড়ে যাবে সব মহীরূহ।
বদলে সবুজায়ন .. ফনফন বেড়ে ওঠা হাইব্রিড গাছেদের সারি,
তিন চার বছরেই বাধ্য নিয়ন্ত্রিত বাড় তাড়াতাড়ি,
আইন ও প্রশাসন, সকলেই খুশ,
আহা সবুজ তো থাকছেই। বদলাবে তাকে শুধু একটু মানুষ।
কি ভাই , নেবে নাকি প্ল্যানটাকে দেখে,
বুক করে ফেলো , সস্তায় পেয়ে যাবে থ্রি বিএইচ কে।
অত ধনী নই যে এই ক্ষতি বই।
আমার হিসেব হলো কিঞ্চিৎ অন্য,
সময় খরচ করি ভিন্নতর প্রগতির জন্য।
কি বলছো বলো তো!
প্রগতি না হলে কি গাছ কাটা হতো?
সভ্যতা এগিয়েছে গাছেদের লাশের ওপরে ,
ভিন্ন প্রগতি কিছু কখনো তো আসেনি গোচরে।
আমার আপত্তি ওই এগোনো কথাটাতে।
মানুষ করেছে ছল গাছেদের সাথে,
ওই যে অরণ্য, সে কি গাছের স্থাপন করা সভ্যতা নয়?
মানুষ বানালে কিছু তাহলেই বুঝি সেটা সভ্যতা হয়?
বনজঙ্গল মানে গাছেদের সভ্যতা?
তাহলে ফসল-ক্ষেত ক্রীতদাসপ্রথা, কি বলো !
আর বাগানের ফুলফল গাছ,
তারা তবে বন্ডেড লেবরই তো হলো,
ঠিক কিনা?
এমন ব্যাখ্যা আমি স্বীকার করি না।
স্বীকার করতে হবে।
গাছেরা শিকার হতে চাইছে না আর,
হারিয়েছে যেই জমি,
অচিরে দখলে তার ফিরবে আবার।
ভুলভাল বলছো হে যাতা !
নির্ঘাত পেগলেছে মাথা!
ওকি , পোশাক খুলছো কেন তুমি?
বলছি যে আমাদের ভূমি ,
কানে যাচ্ছে না তা?
মানুষটা দেখলো, সামনে মানুষ নেই।
যে দাঁড়িয়ে আছে তার গা ভর্তি পাতা।