মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
তবে পিজি হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েকটি কথা বলতেই হয়….
আমরা বলেছিলাম স্বাস্থ্য দপ্তর নয় সার্কাস দপ্তর চলছে। আমরা বলেছিলাম পচে গেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিস্থিতি এমনই যে কয়েকদিন আগে প্রাক্তন মন্ত্রীকে গভীর রাতে দৌড়ে আসতে হয়েছিল, গুরুতর অসুস্থ একজন স্বাস্থ্যকর্মীর জন্যে একটা বেডের ব্যবস্থা করতে। এর থেকেই অনুমান করা যায় স্বাস্থ্যের অবস্থা। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেও কার্যত একই কথা শোনা যাচ্ছে। পিজি হাসপাতাল রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অন্যতম উৎকর্ষ কেন্দ্র। গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষের গুরুতর অসুস্থতায় অন্যতম গন্তব্য। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীই যদি সেই হাসপাতাল সম্বন্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন, তাহলে গরিব সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? আমাদের মনে হয়েছে বক্তব্য বিপজ্জনক। মানুষ বিভ্রান্ত হবেন, দিশেহারা হবেন এবং সরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা হারিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হবেন। ঘটি বাটি বেচে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। স্বাস্থ্য ব্যবসা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুষ্কৃতী, দালালদের দাপাদাপি আরও বাড়বে। সব মিলিয়ে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আমাদের ধারণা।
এ এইচ এস ডি, পশ্চিমবঙ্গ