কোইনসিডেন্স নিয়ে অনেকেই অনেক কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে যেমন মনস্তাত্বিক, সমাজবিজ্ঞানী, বায়োলজিস্ট আছেন তেমনই আছেন কিছু মূল ধারার বিজ্ঞানীরাও। তাঁরা প্রায় সকলেই প্রথাগত বিজ্ঞানীদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন সিউডোসায়েন্সের চর্চা করার জন্য। এঁদের মধ্যে অন্তত একজন আছেন যিনি তাঁর পান্ডিত্যের জোরে এঁদের সবার সাথে মোকাবিলা করেছিলেন, তিনি কার্ল ইয়ুং। ব্যক্তিগতভাবে আমার ওনার প্রতি দুর্বলতা আছে। কেন আছে আমি ঠিক জানি না। ওনার বিপুল লেখালেখির খুব সামান্য অংশই আমার পড়া। ওনার বক্তব্যের যে বিষয়টা আমাকে আকর্ষণ করে তা হল বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ মানুষকে অনেক কিছুই দিয়েছে, সুখ-স্বাচ্ছন্দ-বিলাস-নিরাপত্তা কিন্তু মানুষের হৃদয়ের অন্তর্নিহিত শান্তি ও পরিপূর্ণতা বিজ্ঞান কখনও দিতে পারে নি। কোনোদিন পারবেও না। সেই কারণেই এক বস্তুবাদী জগতের সিংহাসনে বসে থেকে সে নিজেকে কখনই সর্বশক্তিমান ভাবতে পারে না।
আমাদের প্রত্যেকের অন্তর্গত মনোজগতে প্রতিনিয়ত যে চেতনার আলোড়ন ও বিনিময় চলে তা অজ্ঞেয়। তা শুধুমাত্র সংবেদনশীল মানুষের উপলব্ধির জগত। তা প্রামাণ্য নাই হতে পারে কিন্তু তা মিথ্যে নয়। কোইনসিডেন্স নিয়ে ইয়ুং খুব আগ্রহী ছিলেন। তিনি নিজে জার্মান দার্শনিক সোপেনহাওয়ারের দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত ছিলেন। সোপেনহাওয়ারের মতই প্রাচ্য দর্শনের ঔপনীষদীয় ধারণা ও মায়াবাদ তাঁকেও খুব প্রভাবিত করেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন জনজাতিগুলো পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও কেমনভাবে প্রায় একই ধরনের মিথোলজির জন্ম দিয়েছিল এটা ছিল তাঁর প্রধান আলোচনার বিষয়।
এ থেকেই তিনি আর্কিটাইপ, শ্যাডো, অ্যানিমাস ইত্যাদি ধারণার জন্ম দ্যান। এখানে আমাদের সেসব আলোচনার জায়গা নেই কিন্তু এর সূত্র ধরে তিনি কোইনসিডেন্স-এর ক্ষেত্রে যে নতুন ধারনার জন্ম দ্যান তা ছিল ‘সিনক্রোনিসিটি’। এক কথায় বলতে গেলে ‘অর্থপূর্ণ কোইনসিডেন্স’। ইয়ুং মনে করতেন কোইনসিডেন্স কখনই কোনো কারণ ছাড়া ঘটে না। তার অবশ্যই কিছু উদ্দেশ্য থাকে। তবে যেমনভাবে স্বপ্নের মধ্যেকার অচেতনের প্রকাশভঙ্গিমা বা আর্কিটাইপ আমরা অধিকাংশ সময়ই বুঝতে পারি না, কোইনসিডেন্স-এর উদ্দেশ্যও তাই আমাদের কাছে অজানা রয়ে যায়।
সিনক্রোনিসিটি প্রসঙ্গে ইয়ুং উল্লিখিত যে উদাহরণটা সর্বত্র উল্লেখ করা হয়েছে সেটাই আমি বলছি। ইয়ুং একবার একজন যুবতীর চিকিৎসা করছিলেন। সে ছিল খুবই বুদ্ধিমতী ও সচেতন। তার বুদ্ধিমত্তা ও সকল কিছুকে দুরূহ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দ্যাখা তার চিকিৎসার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এমনই বারবার ব্যর্থ সিটিং-এর পরে একদিন মেয়েটি তার গত রাতের স্বপ্নের কথা বলতে শুরু করে। সে সেদিন রাতে একটি ‘গোল্ডেন স্ক্যারাব’ বলে একরকম গয়নার স্বপ্ন দেখেছিল। যখনই এই কথা হচ্ছিল তখনই জানলায় শব্দ হয়। ইয়ুং লক্ষ্য করেন একটি স্ক্যারাব বা গুবরে পোকা কাচের জানলা দিয়ে ঘরের ভেতরে আসার চেষ্টা করছে।। ইয়ুং জানলাটি খুলে দিলে সেটি ভেতরে আসে এবং তিনি মেয়েটিকে বলেন, এই হল তোমার স্ক্যারাব।
এই কোইনসিডেন্সটির আকস্মিকতায় মেয়েটি এত প্রভাবিত হয় যে এরপর সে চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করে এবং সুস্থ হয়ে ওঠে। ইয়ুং এই ঘটনাটিকে শুধু ‘কোইনসিডেন্স’ বলেই থেমে থাকেন নি। তার কাছে এই অর্থপূর্ণ ঘটনাটি হয়ে ওঠে ‘সিনক্রোনিসিটি’। মিশরীয়দের কাছে এই গুবরে পোকা ছিল পুনর্জন্মের প্রতীক। পিরামিডের ভেতরে মমির সাথেই তারা প্রচুর গুবরে পোকা ছেড়ে দিত। ইয়ুং বলেন এই কোইনসিডেন্স-এর ব্যাখ্যা করতে গেলে আমাদের সেই মিশরীয় মিথোলজিকেও ভুলে গেলে চলবে না।
১৯৩০ সাল। একদিন হঠাতই ইয়ুং-এর ঘরের দরজায় কড়া নাড়লেন তখনকার এক প্রথিতযশা কোয়ান্টাম বিজ্ঞানী উলফগ্যাং পাউলি। কয়েক বছর আগে তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন। বউয়ের সাথে প্রচন্ড মনোমালিন্য চলছে। বেড়ে গেছে মদ খাওয়ার মাত্রা। ইয়ুং-এর সাহায্য চাইলেন তিনি। এরপর কয়েক বছর এই দুজন মানুষ তাঁদের পারস্পরিক পাণ্ডিত্যের মাধ্যমে পারস্পরিক নিবিড় সখ্যতা গড়ে তোলেন। ইয়ুং এর আগে আইনস্টাইনের সাথে অনেক আলোচনা করেছেন।
আপেক্ষিকতাবাদের অলৌকিকতা তাঁকে শুধু প্রভাবিত করে নি একই সাথে তাঁর মনস্তাত্বিক থিওরির প্রমাণ হিসেবেও তিনি এর উল্লেখ করেন।
আর পাউলি ছিলেন কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা। তাঁর ‘এক্সক্লুশন প্রিন্সিপল’ যাতে কিনা তিনি বলেছিলেন একটি কোয়ান্টাম স্টেটের মধ্যে দুটি ইলেকট্রন কখনই এক অবস্থানে থাকতে পারে না। এর জন্য কয়েক বছর বাদে তিনি নোবেল পুরস্কারও লাভ করবেন। কোয়ান্টাম তত্ত্বের এই পরাবাস্তবতা ইয়ুংকে আরো তীব্রভাবে তাঁর ‘সিনক্রোনিসিটি’ তত্ত্বকে মজবুত করতে সাহায্য করল। পাউলি ও ইয়ুং দুজনে মিলে একই সাথে লিখে ফেললেন একটি বই। পরে পাউলি নিজেও ইয়ুং-এর তত্ত্বের সাথে কোয়ান্টাম তত্ত্বকে সংযুক্ত করে লিখে ফেললেন অন্য একটি বই-‘অ্যাটম অ্যান্ড আর্কিটাইপ’। এইরকম বিপরীত দুই মেরুর মানুষের চিন্তার যৌথ মিলনের উদাহরণ ইতিহাসে খুব বেশি নেই।
তাঁরা দুজনে বললেন এই সিনক্রোনিসিটির মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের অন্য একটি মন যেন আমাদের সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। এই মহাবিশ্বের একটি নিজস্ব চেতনা আছে। আছে একটি সচেতন প্রবাহ বা ‘কনশাস ফ্লো’। তাঁরা তাকে বলেন ‘উনাস মুন্ডুস’ ‘unus mundus’ । কথাটি ল্যাটিন। এই অন্তর্নিহিত মন কারো কারো কাছে ঈশ্বর। আমাদের ঔপনীষদীয় চেতনায় তা ব্রহ্ম। আমরা যখন কোনো বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি সমগ্র ব্রহ্মান্ড যেন সেই উদ্দেশ্যকে সার্থক করার জন্য আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দ্যায়। তবে তার সাহায্য ইঙ্গিতবাহী। সেই ইঙ্গিতকে আমাদের অনুভব করতে হয়। এই অনুভব কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি মানুষটির একান্ত নিজস্ব- আরেকজনের কাছে সেটি হয়ত নিছকই সংস্কার। অবৈজ্ঞানিক তো বটেই।
যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞান তত বেশি করে রহস্যময় কথা বলছে। মহাবিশ্বের এক পর্দা খুলে যাচ্ছে তো দেখা যাচ্ছে সামনের অন্য পর্দাকে। আইনস্টাইন প্রথম বললেন শক্তি আর পদার্থ আলাদা কিছু নয়। একটি অন্যটিতে পরিবর্তিত হতে পারে। সৃষ্টির প্রথমে যে কেবল শক্তি ছিল তা উপযুক্ত পরিবেশে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ভরহীন ও ভরযুক্ত কণার জন্ম দিয়েছে। মাধ্যাকার্ষণে তারা কাছাকাছি এসেই গড়ে তুলেছে বস্তুসমন্বিত এই মহাবিশ্ব। কোয়ান্টাম তত্ত্ব বলছে আলো একই সাথে কণা এবং তরঙ্গ দুটোই হতে পারে। একটি ইলেকট্রন কোয়ান্টাম অবস্থার মধ্যে একই সাথে অন্তত দশটা জায়গায় থাকতে পারে। কোয়ান্টাম সুপারপজিশন। দুটো ফোটনকে যদি সংশ্লিষ্ট করা যায় তবে একটি আরেকটির দ্বারা প্রভাবিত হয়। একেই বলে কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট। এই নিয়ে গবেষণা করার জন্য এ বছর নোবেল প্রাপ্তি ঘটেছে।
তার মানে এই দাঁড়ায় দুটো সংশ্লিষ্ট ফোটনকে আপনি যদি দুটো আলাদা গ্যালাক্সিতেও রাখেন তাহলেও তারা একই আচরণ করবে। অর্থাৎ যেন তাদের মধ্যে ইনফর্মেশন চালাচালি হচ্ছে। এর গতি এতটাই যে তা যেন আলোর গতিকেও তুচ্ছ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ এই সাঙ্কেতিক বিনিময় আইনস্টাইনের তত্ত্বকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে, যার ভিত্তি এই মহাবিশ্বে আলোর চেয়ে দ্রুতগামী কিছু হতে পারে না। শুধু তাই নয় দুটি ফোটন কণা যদি তাদের মধ্যে তথ্য চালাচালি করতে পারে তা এটাও প্রমাণ করে যে ফোটনেরও চেতনা আছে। তারাও প্রাণশীল! পাউলি প্রথম নিউট্রিনোর অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। ভরবিহীন এক কণিকা যা কিনা অন্য কণিকাদের জন্ম দিয়ে চলেছে। নক্ষত্রের সৃষ্টির সময় তৈরি হওয়া এই কণিকার ঝড় প্রতিমুহূর্তে আমাদের অতিক্রম করে চলেছে অথচ তারা অদৃশ্য।
এই সকল তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ কি আমাদের অসম্ভব সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করে না? এই মহাবিশ্বের অন্তর্নিহিত মন বা ‘উনাস মুন্ডুস’ তা ঈশ্বরই হোন বা এলিয়েন তারা কি আমাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন না? নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি তাঁর বইয়ে বলেছেন, দেবতারাও মানুষ। তবে তারা উন্নততর মানুষ। তাদের বাস ছিল সম্ভবত হিমালয় পর্বতের একটি বিশেষ অঞ্চলে। তিনি বিভিন্ন পুরাণ ও মহাকাব্য ঘেঁটে তা বের করলেও আমার মনে হয় দেবতারা আমাদের মনোজগতের মানুষ। উনাস মুন্ডুস। মহাবিশ্বের অন্তর্গত মন যা কিনা দুটো সামান্য ফোটন কণার মধ্যেও আছে, সেই সামগ্রিক চেতনা প্রতিনিহিত স্বপ্নের মাধ্যমে, কোইনসিডেন্সের মাধ্যমে আরো নানা উপলব্ধিতে ক্রমান্বয়ে আমাদের সাথে সংযোগের চেষ্টা করে চলেছে।
কখনও মনে হয় এই চেতনা হতেই পারে অন্য গ্রহের কোনো জীব। সম্প্রতি আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে যে বিরাট ব্ল্যাক হোল ‘স্যাজিট্যারিয়াস এ’ আছে সেখান থেকে আসা একধরণের মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ মনে করেন আমাদের পৃথিবীর থেকে বহুগুণ উন্নত কোনো সভ্যতার ‘মানুষ’ হয়ত সেই তরঙ্গ দিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এই ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’ দিয়ে তারা যে যোগাযোগের চেষ্টা করছে তা যেমন আমাদের অতি উন্নত টেলিস্কোপ ধরতে পারছে আমরা হয়ত তাদের বহুদিন ধরেই বহুযুগ ধরেই বুঝে চলেছি। তা যে ‘ভৌতিক চেতনা’ নয় তাই বা কিভাবে বলি।
‘ইন্টারস্টেলার’ ছবিটা যারা দেখেছেন তাঁরা জানেন কুপার যখন বহুমাত্রিক এক জগত থেকে তার মেয়ে মার্ফ-এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে তখন তাদের লাইব্রেরিতে বইয়ের তাকে যে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছিল তাকে তার শিশুকন্যার প্রথমে ‘ভূত’ বলে মনে হয়েছিল। পরে সে ভুল বুঝতে পারে এবং বাবার সাথে যোগাযোগ করে। এমনভাবেই অন্য গ্রহ বা নীহারিকা বা ছায়াপথ বা মহাবিশ্ব থেকে আমাদেরই কোনো দ্বিতীয় সত্তা হয়ত আমাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছে। কখনও আমাদের সংবেদনশীল মনে তার প্রভাব পড়লে আমরা অনুভব করি কেউ যেন আমাদের সাথে কথা বলছে। কেউ যেন আমাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। কোনো জায়গায় হঠাৎ করে গেলে মনে হয় আগে যেন কবে এসেছি। এই ‘দেজাভু’ এত সাধারণ যে কেউ বলেন স্ট্রিং থিওরির মতো এমন বিভিন্ন মহাবিশ্বে আমাদের একেকটি করে ‘জোড়’ আছে। মনোজাইগোটিক যমজেরা যেমন অন্যের মনের হদিশ পায় আমাদেরও এই দুই মনের তরঙ্গ কাছাকাছি এলে তাতে বিচলন হয়। আ গ্লিচ ইন দ্য ইটারনিটি।
হতে পারে এসবই অনুমান। আবার হতেও পারে এর কোনো ব্যাখ্যা আছে যা আমরা এখনও জানি না। একদিন জানব। তখন হয়ত আমি থাকব না। আকাশে চাঁদ আর সূর্য একই আকারের। এটা একটা বহু প্রাচীন মহাজগতিক কোইনসিডেন্স। এই দুই বিপরীত প্রকৃতির বস্তুকে নিয়ে কত কাব্য, উপমা, দর্শন, নারী-পুরুষ। আজ আমরা জানি এটা একটা পার্স্পেক্টিভ। আমাদের থেকে চাঁদ যত দূরে সূর্য তার চারগুণ দূরে। সূর্য চাঁদের থেকে আকারে প্রায় চারগুন বড়। তাই তাদের আকাশে একই আকারের লাগে। হতে পারে আমাদের প্রশ্নের উত্তরও হয়ত ভবিষ্যৎ এত সহজভাবেই দেবে। অথবা উপলব্ধির উত্তর হয়ত সে কোনোদিন দিতেই পারবে না কারণ এই প্রশ্নের বিশালতা। বিজ্ঞান হয়ত কোনোদিন আমাদের বলেই দেবে, হে নচিকেতা এই প্রশ্ন কোরো না। এর উত্তর আমার অজ্ঞেও।
আমার মত আপনিও যদি এই অজ্ঞেয়বাদে বিশ্বাসী হন, অলৌকিকতা নিয়ে প্রশ্নশীল হন এবং যদি বিশ্বাস করেন এই মহাবিশ্ব এতটাই ব্যপক ও বিধৃত যে শুধু কিছু বস্তুগত নিয়মের ফাঁদে তাকে কখনই ফেলা যায় না- তবে আপনি আমার দলে। আপাতত যতদিন না সঠিক কী তা জানতে পারছি ততদিন ভূতেও আমার অবিশ্বাস নেই, দেবতাকে অন্য গ্রহের বড়দা হিসেবে দেখতেও আমি একেবারেই লজ্জিত নই।
আমি লেখক। আমার রোমান্টিকতাকে এই অলৌকিকতা চাগিয়ে দ্যায়। গালগল্পরা আমার সামনে গোলগাপ্পা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমি তাদের অবজ্ঞা করতে পারি না।