ডামাডোল আর হইচইয়ের বাজারে অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে – গত মাসের ছাব্বিশ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – সংক্ষেপে হু – তাঁদের ভ্যাক্সিন-বিষয়ক কমিটি – স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন – সংক্ষেপে সেজ – তাঁরা জানালেন – এই মুহূর্তে প্রতিটি দেশের যাবতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম স্থগিত রাখা জরুরী। অর্থাৎ দেশজোড়া যে ভ্যাক্সিন প্রোগ্রাম, টীকাকরণ কর্মসূচী – আপাতত বন্ধ।
গণ-টীকাকরণ কর্মসূচী চালু রাখতে গেলে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা – অতএব, আপাতত ওসব বন্ধ রাখাই ভালো – মতামত এমনই। করোনা না হয় থামানো গেল – কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের চোটে টীকা দিয়ে আটকানো যায়, সে অসুখগুলোর পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে??
একটি একটি অসুখ ধরে বিশ্লেষণ করতে গেলে লেখা লম্বা হয়ে যাবে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক।
হাম, বা মিজলস।
শুনতে নিরীহ হলেও, আশির দশক নাগাদ এ অসুখে মারা যেতেন পঁচিশ-তিরিশ লাখ মানুষ – প্রতি বছর – বেশীর ভাগই শিশু – এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই অপুষ্টিতে ভোগা। ভ্যাক্সিন আসার পর মৃত্যুহার অনেকখানিই কমে যায় – এবং সার্বিক টীকাকরণ কর্মসূচীর আওতায় হামের টীকাকে আনা গেলে – বিশ্বের পঁচাশি শতাংশ শিশুকেই টীকার আওতায় আনা সম্ভব হয় – বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যাকে পঁচিশ লক্ষ থেকে সত্তর হাজারের ঘরে নামিয়ে আনা গিয়েছিল।
কিন্তু, যা হয় আর কি, মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলে টীকার ব্যাপারেও ঢিলেঢালা শুরু হয় – এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বয়ং জানাচ্ছেন, দুহাজার আঠারো সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যান হাম বা তার থেকে উদ্ভূত বিবিধ জটিলতায়।
হ্যাঁ, আপনারা যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন করোনার জন্যে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের – সেই ভ্যাক্সিন কবে আবিষ্কার হবে, তার কার্যকারিতা কেমন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী, দাম কী দাঁড়াবে, কজনের কাছে পৌঁছানো যাবে – সবই অজানা – যাকে বলা যায় এনিবডিজ গেস – সেই সময়েই একটি কার্যকরী ও প্রমাণিত ভ্যাক্সিন, যে ভ্যাক্সিন সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত, এত বছর ধরে তা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে দেড় লাখ মানুষ মারা যান সেই রোগে এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিক টীকাকরণ বিষয়ে এহেন পরামর্শ পাওয়ামাত্র বিশ্বের চব্বিশটি দেশ টীকাকরণ কর্মসূচী স্থগিত করে দেয় – আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে দশ কোটিরও বেশী শিশু হামের টীকা থেকে বঞ্চিত হবে। পরিণাম অনুমান করতে জ্যোতিষী না হলেও চলে।
হু এবং তাঁদের কমিটি অবশ্য জানিয়েছেন, টীকা না হলেও এরই মধ্যে টীকার গুরুত্ব বিষয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যেতে হবে, সব শিশুর টীকার যাবতীয় হিসেব রেখে চলতে হবে – এবং প্রথম সুযোগেই বকেয়া টীকা দিয়ে দিতে হবে। খুবই উচ্চস্তরের ভাবনা নিঃসন্দেহে – ধনী দেশে অধিকাংশ শিশু টীকা পায় হাসপাতাল বা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সরাসরি, টীকার হিসেব রাখেন সচেতন সম্পন্ন অভিভাবক (যেমনটি আপনি-আমি করি আর কি!!) – সেখানে হিসেব রাখতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু, গরীব দেশে? এসব দেশে সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচীর গুরুত্ব তো একারণেই বেশী – ঘটা করে পোলিও ডে-র প্রাসঙ্গিকতার একটা বড় কারণ এখানেই – যে, সময় গুণে হিসেব করে বাবা-মা সবসময় টীকা নেওয়াতে না-ও আসতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, এসব দেশে স্বাস্থ্যপরিকাঠামোর হাল এতখানিই নড়বড়ে, যে, কোন শিশু টীকা নিল এর মধ্যে আর কে নিল না, সে হিসেব রাখা শুধু মুশকিলই নয়, স্রেফ অসম্ভব।
মাথায় রাখা যাক, কোভিড উনিশ সমাজ থেকে ভ্যানিশ করে যাওয়ার সম্ভাবনা এখুনি দেখা যাচ্ছে না – লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, দূরত্ব বজায় রাখার নীতি জারি থাকবে আরো বেশ কয়েক মাস। গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে সার্বিক টীকাকরণ করলে কোভিড উনিশ ছড়িয়ে যাওয়ার যে ঝুঁকি – অন্তত, যে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে টীকাকরণ কর্মসূচী স্থগিত রাখার পরামর্শ – সেই ঝুঁকি আচমকা উবে যাওয়ার সম্ভাবনা কোথায়??
একথাও মনে করিয়ে দেওয়া যাক, পালস পোলিও কর্মসূচীর ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ – আগামী ছয় মাসের জন্যে যাবতীয় পোলিও রবিবার বন্ধ – বন্ধ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনার শিশুটি পোলিও খেয়েছে তো, সে যাচাইয়ের প্রক্রিয়াও।
বিশ্ব থেকে পোলিও ভ্যানিশ করে দেওয়ার একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিলাম আমরা – সে দাবী নিয়ে তর্ক চালানোই যায় – কিন্তু, কথাটা হল, এই পোলিও ভ্যানিশ সম্ভব হওয়ার কথা ছিল দুহাজার সালের মধ্যে – সে হয়ে ওঠে নি – এই দুহাজার কুড়ি সালে পোলিও কর্মসূচী বছরের আদ্ধেক ধরে বন্ধ রাখার পরিণাম কী হতে পারে??
এ তো গেল শুধু টীকার ব্যাপার।
পাশাপাশি মনে রাখা যাক, বিশ্ব জুড়ে পনের লক্ষ মানুষ মারা যান টিবি-তে – যক্ষ্মায় – প্রতি বছর। এর মধ্যে আড়াই লক্ষ মানুষ এইডস এবং টিবি – দুটিতেই আক্রান্ত। বিশ্বে টিবি রোগে মৃত্যুর হিসেবে আমরা এক নম্বর – অর্থাৎ, এদেশেই টিবি-তে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক।
বছরভর টিবির ওষুধ খান যাঁরা, নিয়মিত ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে তো তাঁদের কাছে? যদি তাঁরা ওষুধ না খান – তাহলে অসুখ বেড়ে যেতে পারে তো বটেই, সাধারণ টিবি জটিল ধরণের টিবি-তে পরিণত হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এমডিআর টিবি, এমনকি এক্সটেন্ডেড স্পেক্ট্রাম ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এক্সডিআর টিবি বেড়ে চলেছে চারপাশে – এই বাজারে সংখ্যাটা বেড়ে গেলে??
অথবা যাঁরা এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত? যাঁরা বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করেন – তাঁরা সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র (অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টার, সংক্ষেপে এআরটি সেন্টার) থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন তো নিয়মিত – লকডাউনের চোটে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে?
এইডস-এর ওষুধ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কিছু মুশকিল আছে। যে দেশে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা করার কারণে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িছাড়া করা হয় – সে দেশে পাড়ার লোক এইডসের খবর পেলে আক্রান্ত মানুষটির হাল সহজেই অনুমেয়। তাহলে??
আবার, বাইরে বেরোলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের বেশী – এবং আক্রান্ত হলে বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের বেশী – তাঁদের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এইডস আক্রান্ত মানুষেরা অন্যতম। সেক্ষেত্রে??
হ্যাঁ, এইচআইভি-এইডস প্রোগ্রামের সাথে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে ওষুধ বাড়ির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছেন – এমনকি, রাস্তায় দেখা করে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ইনোভেটিভ বন্দোবস্তও করছেন – কারণে-অকারণে যতো খিস্তিই করুন, এসব ক্রাইসিসের মুহূর্তে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থাই একমাত্র ভরসা – কিন্তু, ঝুঁকি এড়ানো যাচ্ছে কি? সবার কাছে পৌঁছানোও কি সম্ভব?
এ তো গেল তাঁদের কথা, যাঁরা সরকারি বিভিন্ন হেলথ প্রোগ্রামের মধ্যে থেকে চিকিৎসা পান। কিন্তু, বাকিরা?
ধরুন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যাঁরা ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছেন? সরকারি হাসপাতালের কথা একারণেই বললাম, কেননা বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের বড় অংশই অবস্থাপন্ন – ধনী না হলেও মধ্যবিত্ত নিঃসন্দেহে – তা নাহলে দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাঁদের হয় গাড়ি আছে – নাহলে নিজ উদ্যোগে গাড়ি জোগাড় করার উপায় আছে – গাড়িতে ক্যানসার-পেশেন্ট লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া কঠিন নয় তেমন – আর জানেনই তো, ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন বারবার হাসপাতালে যেতে হয় – রেডিওথেরাপি চললে রোজই প্রায় – কেমো চললে মাসে দুবার বা আরো বেশী।
সরকারি হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ডেট দিয়ে রাখা সত্ত্বেও আসতে পারছেন এক-চতুর্থাংশ রোগী – অথচ এঁদের অনেকেরই ডেট নেওয়া ছিল প্রায় মাসখানেক আগে। যাঁরা আসতে পারছেন, সামান্য রক্তপরীক্ষাটুকু করাতেও বিস্তর হয়রানি হচ্ছে স্থানীয় অঞ্চলে – হাসপাতালে রক্ত দিয়ে গেলে রিপোর্ট নিয়ে দেখা করতে আরো একদিন আসতে হবে – লকডাউনের বাজারে সে এক বড় সমস্যা। রিপোর্ট না পেয়ে ক্লিনিকালি দেখার উপর ভরসা করে কেমোথেরাপি দিতেও দুশ্চিন্তা হচ্ছে – কেননা, শরীরে রক্ত কমে গেলে রক্ত জোগাড় করা দুঃসাধ্য। এই ছয় সপ্তাহে যাঁরা আসতে পারলেন না, বা চিকিৎসা নিতে পারলেন না – তাঁদের অসুখের পরিস্থিতি ঠিক কী দাঁড়াবে?
আবার অনেকের ক্যানসার প্রথমে কেমোথেরাপি দিয়ে ছোট করে নিয়ে পরে অপারেশন করার কথা ভাবা হয় – পরিভাষায় যাকে বলে নিও-অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি। যাঁদের অসুখ ছোট করে আনা গিয়েছে – এইবার অপারেশন করলেই হয় – কিন্তু, অপারেশন করানো সম্ভব হচ্ছে না – কেননা এমার্জেন্সি অপারেশন বাদ দিয়ে ইলেক্টিভ সার্জারি আপাতত বন্ধ। সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই রোগীর ভিড়, চিকিৎসক সীমিত – ডেট পেতে সমস্যা হয় – করোনার দিনগুলো কেটে গেলে এই এত সপ্তাহের বকেয়া অপারেশনের লাইন কত দাঁড়াবে? এই ক্যানসার রোগীদের অপারেশনের কী হবে শেষমেশ??
এ তো গেল সামান্য দুতিনটে অসুখের কথা – টীকাকরণ কর্মসূচীর কথা। আরো হাজারো অসুখে ভুগছেন আরো কত মানুষ – যাঁদের নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হয় – নিয়মিত চিকিৎসা-তত্ত্বাবধানে থাকতে হয় – কোল্যাটারাল ড্যামেজের অংশ হিসেবে তাঁরাও আছেন।
আর, দিল্লীর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়া শুকনো মুখ, বান্দ্রা রেলস্টেশনে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের চটির স্তূপ, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে কাঁধে শিশু নিয়ে হেঁটে চলা মানুষের সারি, গ্রামে ফিরেছেন এই অপরাধে সারি দিয়ে বসে যাঁদের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিসইনফেক্ট্যান্ট….
কোল্যাটারাল ড্যামেজ…
আজ না হোক কাল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটায় আমরা জিতব নিশ্চিত – কিন্তু, এঁরা??
তথ্যসূত্র –
https://science.sciencemag.org/content/368/6487/116.full
https://abcnews.go.com/International/wireStory/polio-immunization-suspended-amid-coronavirus-pandemic-69930797
https://www.who.int/immunization/policy/sage/en/
https://www.who.int/news-room/detail/05-12-2019-more-than-140-000-die-from-measles-as-cases-surge-worldwide
https://www.who.int/news-room/fact-sheets/detail/tuberculosis
খুব কাজের লেখা!
ভারী কঠিন পরিস্থিতি! এই মানুষগুলোর লি যে হবে?!
প্রতিদিন এসে জানতে চাইছে বাচ্চাটার টিকার ডেট চলে গেল কোথায় টিকা দেওয়াতে পারিনি।
সামনের দরজায় এখটা ডাকাত পড়েছে বলে সর্বশক্তি দিয়ে বাড়ির সবাই মিলে শুধু তাকে আটকাতে গিয়ে –পেছন দরজা দিয়ে দশটা চোর ঢুকে সব ফাঁকা করে দিলে যাহয়–সেরকমই হচ্ছে ।টিকাকরণ কর্মসূচি বাতিল অত্যন্ত অবিবেচকের কাজ !
আমাদের সমাজে শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। সত্যি ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এক অসুখের সাথে লড়াইয়ে বাকি অসুখের সাথে লড়াই আমরা থামিয়ে বসে আছি। কি নিরুপায় আমরা সবাই।
দাদা টিকাকরন নিয়ে প্রশ্ন অনেকের ই। চিন্তা আরো বাড়বে যদি কোল্যাটারাল ড্যামেজ যদি সিজনিফিকেনন্ট হয়। কি যে হবে ওই মানুষ গুলোর।
টিকাকরণ কর্মসূচি এখনই চালু হোক। এতে কোনো টালবাহানা মানা যাবে না।
করোনা বা কোল্যাটারাল ড্যামেজ, দুটোই কাউকে রেয়াত করে না, কোনো গোষ্ঠীকেই ছেড়ে কথা বলে না। এবং দুটোই সর্বজনীন ও বৈশ্বিক সমস্যা। এই হঠাৎ উদ্ভূত এবং নিত্য পরিবর্তনশীল সমস্যার সমাধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমেত সবাই হিমসিম খাচ্ছে। এক অনিশ্চয়তার দোদুল্যমানতাও গ্রাস করছে জনমানস থেকে শুরু করে সরকারি সিদ্ধান্ত সবকিছুকেই। কিন্তু যুক্তিবাদী চিন্তাশীলতা এই সঙ্কটে আমাদের ভাবনা-পরিকল্পনা, কাজ-রূপায়ণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যযুক্ত দিশার হদিস দিতে পারে। এ লেখা সেই ভারসাম্যের ভাবনার প্রয়োজনীয়তার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। চোখ খুলে দেওয়া, খুব প্রয়োজনীয় একটা লেখা।