‘মা’ যেদিন তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি এল
আর যেদিন আবার ফিরে যাচ্ছে।
মা-র চিন্তা ওখানে গিয়ে তার নিজের কি হবে। যদিও মা-র অনেক দিন আগে দুটো টীকা ই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তো শোনা যাচ্ছে সেটাও সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে সবচেয়ে চিন্তা তার ছেলেমেয়ে দের নিয়ে। ওদের তো টীকা দেওয়া যায়নি।
গণেশের আবার ওজনটা বেশি, আর এই কদিন লোভী ছেলেটা এটাসেটা খাওয়ায় পেট ছেড়েছে। আবার শোনা গেল অনেকের করোনার শুরুতে এমনই হয়।
কার্তিক বরাবরই রোমান্টিক, সুযোগ পেয়েই একঝাঁক উঠতি বয়সের তারকার সঙ্গে মেলামেশা করল, এখান সেখানে ঘুরে বেড়িয়ে ঠাণ্ডা লাগালো। বলছে তো গলাটা কেমন ব্যথা ব্যথা লাগছে। করোনার শুরুটা নাকি এভাবেও হয়।
লক্ষ্মীটা বরাবর চুপচাপ থাকে। এবার কি হল! বলে বসল গতবার নাকি বেশ লোকসান হয়েছে, তাই এবার একটু বেশি বেশি চেষ্টা করে তার ভাঁড়টা ভর্তি করে গতবারের লোকসানটা পুষিয়ে নিতে হবে। তাই এবার সব দিন অনেক রাত অবধি বিক্রিবাটা করেছে।অত লোকের মাঝে যেভাবে বিক্রিবাটা নিয়ে মেতেছিল তা নিয়ে এবার ভাবনা তো হবেই।
সরস্বতীকে নিয়েও চিন্তা। এতো করে বলা হল তবু শুনলো না। কোনদিন মা-র সঙ্গে ছাড়া এই পুজোর সময় আসতো না। গত কয়েক বছরে কি যে হয়েছে মহালয়ার পরই বেড়িয়ে আসে। তখন থেকেই নাকি পুজোর উদ্ধোধন শুরু হয়ে যায় । তা ওকে নাকি ঐসময় থেকেই ব্যস্ত থাকতে হয়। সাংস্কৃতিক বিষয়টা ওকে নজরে রাখতে হয়। তাই এতদিন ধরে ওকে থাকতে হল। ওই মেয়ে যখন এসেছিল তখন তো বাংলার অবস্থাটা মোটামুটি ভালো ছিল। এই ক’দিন ধরে কি যে হল!?
শুনতে পেলাম সরকার থেকে নাকি ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে পুজোয় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
ভালোই তো লাগছিল। এবার পুজোয় চার ছেলে মেয়েই কত আনন্দ ফুর্তি করে কাটালো। কিন্তু মনে মনে একটা ভাবনা, দুশ্চিন্তা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে। ফিরে আসার দিন দেখা গেল বাংলায় করোনা পজিটিভের সংখ্যাটা এই ক’দিনে কেমন হু-হু করে বেড়ে গেছে। ওখানে ডাক্তাররা বলছে আসলে অবস্থা নাকি আরও অনেক খারাপ। ওই কি বলে করোনা টেস্ট সেটা নাকি অনেক কম করে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে আসল রেজাল্টেও নাকি কি সব কারিকুরি করে দিতে বলা আছে।
খুব চিন্তা হচ্ছে। ছেলেমেয়েগুলোর কিছু হলে ওনাকে মানে আপনাদের শিবঠাকুরকে কি যে জবাব দেবো। সেই তো বলবে ডাক্তাররা তো পই পই করে সাবধান করেছিল আগে থেকেই আর তাদের কথা না শুনে …..। না আর ভাবতে পারছি না।