সম্প্রতি এক জেলা সদর থেকে কলকাতার এন আর এস মেডিকাল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারী বিভাগে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে এক নবজাতক, যার তিনটে হাত, তিনটে পা। তাকে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরী হয়েছে।
এটি আসলে প্যারাসাইটিক বেবি। আসলে টুইন প্রেগন্যান্সি ছিল। একটি বেঁচেছে, অন্যটি বাঁচেনি। মৃত ভ্রূণটি বেঁচে যাওয়া ভ্রূণের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তাই মৃত ভ্রূণের তৈরী হওয়া কয়েকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যাওয়া ভ্রূণের মধ্যে পাওয়া গেছে।
প্যারাসাইটিক টুইনটির ভ্রূণের বিকাশ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় এবং সেটি বেঁচে যাওয়া ভ্রূণটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। বেঁচে যাওয়া ভ্রূণটিকে বলে ডমিন্যান্ট অথবা অটোসাইট টুইন। এই প্যারাসাইটিক টুইনটি যদি পুরো বিকাশ হতো এবং ডমিন্যান্ট টুইনটির মতো বিকাশ হয়ে একসঙ্গে জুড়ে জন্মগ্রহণ করতো তাকে বলা হতো কঞ্জয়েন্ড টুইন।
এই প্যারাসাইটিক টুইন অত্যন্ত বিরল ঘটনা, ১০ লাখে ১-এরও দেখা যায়।
বাড়তি হাত, পা কি অপারেশন করে বাদ দেওয়া হবে নাকি যেমন আছে থাকবে?