– বুঝলে ডাক্তার, হপ্তায় হপ্তায় করোনা টেস্ট করাতে জলের মত টাকা খরচ হচ্ছে।
– সে কী? প্রতি সপ্তাহে টেস্ট! আমি তো বলিনি করাতে! কার অ্যাডভাইসে করাচ্ছো হে।
– ফি হপ্তায় তিন হাজার টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
– বেশি নিচ্ছে। আড়াই হাজারে রেট বাঁধা তো! ডাহা ঠকাচ্ছে দেখছি।
– না, ফুল ফ্যামিলি প্যাকেজ। ধরো, এই চার জনের মত।
– সে কী, এত সস্তায় চারজনের? বাড়িতে এসে স্যাম্পল নিয়ে যায়?
– না না, আমাকেই নিয়ে আসতে হয়!
– নিয়ে আসতে হয়? কী নিয়ে আসতে হয়?
– মানে, ইয়ে বাজারের বাকেরালির কাছ থেকে দেড় কিলো ওজনের ইলিশ। প্রতি উইকে একটা করে।
– ইলিশ আবার এলো কোত্থেকে? এই না বলছিলে করোনা টেস্ট!
– আমি বলিনি ভাই! ওই বাকেরালি বলেছে।
– বাকেরালি করোনা টেস্ট করাতে বলেছে? কী আশ্চর্য!
– দ্যুৎ, তা কেন? বাকেরালি বলেছে, ওর দেওয়া ইলিশে যতদিন গন্ধ পাব, বাড়ির সবাই.. বুঝতে হবে করোনা হয়নি। গন্ধ না পেলেই করোনা পজিটিভ। কী আর করা, বাধ্য হয়েই ওই প্রতি সপ্তাহে তিন হাজার টাকা দামের ইলিশ…