সব হবু মায়ের এ বিষয়ে জেনে রাখা দরকার।
১. কেন প্রেগন্যান্সির সময় করোনা টিকা দরকার?
প্রেগন্যান্সি কখনওই করোনার আশঙ্কা বাড়ায় না ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগ প্রেগন্যান্ট মহিলা উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত হন। তা সত্বেও তাঁদের শরীর তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায় এমনকি গর্ভস্থ বাচ্চারও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তাঁদের যথেষ্ট সক্রিয় থাকা দরকার বলে এই টিকা নেওয়া দরকার।
২. কাদের করোনা সংক্রমণের পর জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে?
যেসব প্রেগন্যান্ট মহিলার বয়স ৩৫ বছরের বেশি, খুব মোটা, আগে থেকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের শিকার কিংবা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে তাঁদের প্রেগন্যান্সিতে করোনা সংক্রমণ হলে জটিলতার আশঙ্কা বাড়ে।
৩. প্রেগন্যান্সির সময় কোভিড সংক্রমণ বছর কী ক্ষতি করতে পারে?
৯৫ শতাংশ মহিলা স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দেবেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে কোভিড ইনফেকশনের পর প্রিম্যাচিইউর বাচ্চা মনে সময় আগে বছর জন্ম দেওয়া, বছর ওজন কম হওয়া বা গর্ভেই বাচ্চা মারা যাবার সম্ভবনা থাকে।
৪. যদি কোনও প্রেগন্যান্ট মহিলার আগেই করোনা সংক্রমণ হয় তাহলে সে কখন টিকা নিতে পারবে?
প্রেগন্যান্সির সময় করোনা সংক্রমণ হলে বাচ্চা হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টিকা নিতে হবে।
৫. টিকা নেওয়ার পর সেই মহিলা বা তার গর্ভের সন্তানের কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
করোনার টিকা একেবারেই নিরাপদ। তাই কোনও সমস্যা হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
৬. অন্য যে কোনও ওষুধের যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে এই টিকার ক্ষেত্রেও তেমনই হতে পারে।
হালকা জ্বর, ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথা বা ১-৩ দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ লাগতে পারে।
৭.খুব বিরল ক্ষেত্রে ১-৫ লাখে হয়তো একজনের টিকা নেওয়ার পর এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যার জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্টের দরকার হয়। এক্ষেত্রে যেসব উপসর্গ দেখলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তাহল, প্রচণ্ড দুর্বলতা, বা শরীরের একটা দিক অসাড় হয়ে পড়া, বমি হয়ে বা না হয়েও অজ্ঞান হয়ে পড়া, মাইগ্রেন বা মাথার ব্যথার সমস্যা না থাকা সত্বেও অসহ্য মাথার যন্ত্রণা, কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড বমি হওয়া, চোখে ব্যথা হওয়া বা ঝাপসা দেখা।
৮. কাদের করোনা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে?
- স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মহিলা
- যাদের এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি
- বারবার বাইরের লোকের সংস্পর্শে যেতে হয়
- যাদের নিজেদের সামাজিকভাবে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না।
৯. করোনা থেকে দূরে থাকার জন্য যা যা করণীয় তাহল
- দুটো মাস্ক পরা
- বারবার সাবান জলে হাত ধোওয়া
- ভিড় জায়গায় না যাওয়া
- অন্যদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
অনুবাদ: ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা