জাগরণের বাস্তবে।
গাড়ির ডানদিকে বাঁক আর পরপর তিনটে ঝাঁকুনিতে ঘোর ভাঙল নন্দিনীর। বড় রাস্তা ছেড়ে এইবার তারা উন্নয়নের যজ্ঞে বধিত আদিগঙ্গা পার হয়ে ব্রহ্মপুরের দিকে ঢুকছে। দু মিনিটেই বাড়ি। নিমগ্ন অতীতচারণ থেকে নিত্য বাস্তব। ছেলে পড়াশোনা করেছে, না কম্পিউটারে সিনেমা দেখেছে? শাশুড়ী চা খেয়েছেন, নাহলে সে কি করে দেবে? সাড়ে আটটায় মনোজিৎ কি আর কফি খাবে, তাহলে সেও এককাপ খেত, কারণ মাথাটা ধরে আছে। রমা রাতের রান্নাগুলো ঠিকঠাক করে গেছে কিনা। ইত্যাদি। ওদিকে দেবলীনা ম্যাডামের প্রেসক্রিপশন নিয়ে নূতন ফাইল তৈরী করতে বসল মনোজিৎ – এরপর থেকে সেখানেই সব কাগজপত্র তারিখ অনুসারে সাজানো হবে। ডাঃ রায়ের পুরানো সব প্রেসক্রিপশন আর আগের রিপোর্ট একটা বড় প্যাকেটে ভরে, উপরে ডঃ এ কে রায় লিখে, ক্যাবিনেটের একদম নিচের দিকে রেখে দিল সে। এসব বিষয়ে মনোজিৎ একেবারে চৌখস রাজকর্মচারী। কফি বানাতে বানাতে আড়চোখে সব দেখল নন্দিনী। একটু যেন ঢোঁক গিলল। জল খেল একবার। রান্নাঘরের কলেই একবার চোখমুখ ধুয়ে নিল সে। নূতন ফাইল বানালেই কি পুরানো ফাইলের ইতিহাস মাটির নিচে চলে যায়!
হানাদারদের আক্রমণে কত সৌধ, কত বিহার ধ্বংস হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পুঁথি ছাই হয়েছে – তাদের গৌরবগাথা হাজার বছর পরেও অম্লান রয়েছে মানুষের স্মরণে। আর এ তো এক জীবনের সদ্য স্মৃতিলেখা- সে কি পারবে ব্ল্যাকবোর্ডে চকের দাগের মত একেবারে মুছে ডাস্টার সমেত ছুঁড়ে ফেলে দিতে! পারলে ত ভালই হত। হঠাৎ তার চমক ভাঙে। ছিঃ ছিঃ, সে মনোজিৎকে ওর স্মৃতির ঘরের হানাদার ভাবছে! ও তো ভালোর জন্যই সব গুছিয়ে রাখে বরাবরের স্বভাব অনুযায়ী। অন্য স্বামী হলে তো পিকুর জন্মের পর থেকেই একেআর-এর প্রতি তার এই হ্যাংলামো নিয়ে তুলকালাম করত। হয়ত আর কোনওদিন ওমুখোই হত না। কলকাতায় ডায়াবিটিস চিকিৎসা করার মত অভিজ্ঞ ডাক্তারের কি অভাব আছে। অথচ সে কোনওদিন গা-ই করেনি নন্দিনীর এই সৃষ্টিছাড়া বিবশতায়। উল্টে যেদিন যেদিন সে এই একতরফা ভালোলাগার বিপন্ন বোঝা বইতে না পেরে সেই ভার নামিয়ে দিয়েছে মনোজিতের কোলে-কাঁধে, তার স্বামী যেন তাকে আরও নিবিড় আশ্রয় দিয়েছে তাকে শরীরে-মনে। কেন? তার নিজের কোনও খামতি ঢাকতে? কই, অনেক ভেবেও তো সে মনোজিতের ইতিহাস-ভূগোলে কোনো ত্রুটি খুঁজে পায় নি, যা আড়াল করতে বা পুষিয়ে দিতে সে নন্দিনীকে এরকম প্রশ্রয় দিয়ে আসছে এতদিন ধরে।
অতএব দু হাজার ছয় থেকে প্রায় চৌদ্দ বছর এভাবেই চলছিল। নন্দিনী তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ডাঃ অরুণকান্তি রায়কে দু তিনমাস অন্তর দেখাতে যায়, চোখ-কান দিয়ে সামনের মানুষটির সাথে অঙ্গবিহীন এক আলিঙ্গনের আবেশ সর্বাঙ্গে ধারণ করে বাড়ি ফেরে, দুটি ই-ম্যাগাজিনে শরীরের ভালোমন্দ এবং বাংলার পুরানো দেবদেউলগুলি নিয়ে ওঁর লেখা গোগ্রাসে গেলে ও শেয়ার করে সর্বত্র, আবার ঘামতে ঘামতে পরের বার দেখাতে যায়। প্রতি শনিবার বিকালে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে ডাঃ রায় গাড়ি চালিয়ে মাদার্স অ্যাবোড নার্সিংহোমে চেম্বার করতে যান ও ফেরেন। দোতলার ঝুলবারান্দায় ওই সময়টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নন্দিনী। প্রথম প্রথম নির্লজ্জের মত সে ডাকত মনোজিৎকে – ‘এই দেখো দেখো, একেআর যাচ্ছেন!’ এখন লজ্জা করে। আর ছেলে বা শাশুড়ী শুনলে কি ভাববে! খেলাপাগল মনোজিৎ সেইসময় হয় টিভিতে স্পোর্টস চ্যানেলে আদ্যিকালের কোনও খেলা চালিয়ে ‘মার্, মার্ – ছোট্, ছোট্’ করে চেঁচাচ্ছে অথবা ছেলেকে পড়া বোঝাচ্ছে। সেই দিনগুলো তাও একরকম ছিল। এই অধীর অপেক্ষা, নিবিড় মুগ্ধতা, মধুর বিরহ তার একরকম অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সব উথাল-পাথাল হয়ে গেল দু হাজার একুশের পয়লা জুন। এই অবুঝ, অদ্ভুত চিরবিচ্ছেদের ভার নিয়ে সে কিভাবে কাটাবে, আর বেচারা মনোজিতকেই বা কত জ্বালাবে?
কফি নিয়ে মনোজিতের পাশে গিয়ে বসল সে। মনোজিৎ এবারে তার অফিসের সহকর্মী পেটুক হালদারদার গল্প আরম্ভ করল। কাল তিনি পেটখারাপ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। দুপুর অবধি স্যালাইন চলেছে – সন্ধ্যায় পেমেন্ট মিটিয়ে বন্ডে ছুটি নিয়ে আজ পৌঁছে গেছেন অফিস কলিগের বৌভাতে। নার্সদের বলে গেছেন, বেডটা রাখবেন, রাতে এসে আবার ভর্তি হয়ে যাব প্রয়োজন হলে। এই মানুষটিকে নন্দিনীও চেনে – কাঠির মত চেহারা, স্কুলজীবন থেকেই প্রসেনজিৎ হালদার নাম পাল্টে পেটুক হালদার হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে করতে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদাগিরি আরম্ভ হল টিভিতে। এই একটা অনুষ্ঠান তারা সবাই মিলে দেখে শাশুড়ী সহ, যেন একঝলক তাজা বাতাসের মত লাগে। তারপর রাতের খাওয়া ও শোওয়ার পালা। একেআর আর যাই করুন, তার রাতের ঘুমটা কেড়ে নিয়ে যাননি। মনোজিতের উষ্ণ আশ্রয়ে সে সচরাচর ঢলে পড়ে ঘুমের কোলে। আজ ব্যাতিক্রম ঘটল। এতদিন পরে নিজের সমস্যার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে গেল সে, তাও আবার তার একান্ত আপন একেআর-এর পরিবর্তে অন্য একজন চিকিৎসক, তায় তিনি আবার তাঁর ছাত্রী… আজ আর কিছুতেই দু চোখের পাতা এক হল না নন্দিনীর।
কত স্মৃতি, কত ছেলেমানুষী কান্ড তার ওই মানুষটিকে নিয়ে। দেওয়ালে চা-রমণীর ছবি দেখে তার মনে পড়ল ডুয়ার্স বেড়ানোর কথা। সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল হিমালয়ের সানুদেশে এক হোটেলে, অতএব সেই বাচ্চা একটু ডাঁটো হতেই মনোজিৎ প্রস্তাব দিল, ‘চলো ডুয়ার্স থেকেই আবার চাকা গড়াতে শুরু করি।’ নন্দিনী এককথায় রাজি। পিকুর তিন বছরের জন্মদিন গেছে মাসখানেক আগে। সান্তালেখোলা, বিন্দু ঘুরে মূর্তি থেকে গরুমারা-চাপরামারি সাফারি সেরে বাড়ি।
কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস লেট করে নিউ মাল পৌঁছাল শেষদুপুরে। পথে চালসায় খাওয়া দাওয়া সেরে পাহাড়ি পথের অকাল বাদল মাথায় নিয়ে সান্তালেখোলার বনবাংলোয় পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল। রাতে অঝোর বৃষ্টির মাঝে ক্লান্ত নন্দিনীরা আর বেরোল না বাইরে। ঘরেই ডিনার। মনোজিতের আবার বেড়ানোর অনুষঙ্গ আধপেগ হুইস্কি, বরফ দিয়ে। পরদিন নন্দিনীর ঘুম ভাঙল সাতসকালে। সে স্বভাবতই ভোরজাগা। লেট রাইজার মনোজিৎ ঘুমোচ্ছে অকাতরে, পাশে পিকু। হাউসকোটের উপরে হালকা চাদর জড়িয়ে দরজা টেনে বাইরে বেরোলো সে। শিরশিরে ঠাণ্ডা। বৃষ্টি থেমে গেছে, তবে কালো, ঘন মেঘেরা দলা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে কটেজের সিঁড়িতে, বাংলোর বিস্তৃত লনে, কটেজগুলির আনাচকানাচ দিয়ে, গাছগাছালির ফাঁকফোকরে। পাখিরা আড়াল থেকে ডাকছে, বেচারারা বোধহয় এই আবহাওয়ায় বাসা ছেড়ে বেরোচ্ছে না। আটদিকে মেঘে ঢাকা পাহাড় আর জঙ্গল। আকাশে মেঘ, পায়ের কাছে মেঘ। তার ছোট জীবনে অদেখা এইরকম এক সকালে সে যেন সর্বাঙ্গে মেঘ মেখে নিয়ে, মেঘের স্বাদ-ঘ্রাণ নিতে নিতে মেঘবালিকার মতই তরতরিয়ে এগিয়ে এলো বাংলোর লোহার গেট পর্যন্ত। আর সে এগোবে না। হাজার হোক নির্জন জঙ্গল, তাছাড়া পিকু জেগে উঠে ডাকাডাকি করলে সে জলের আওয়াজে শুনতে পাবে না। গেট থেকে শ’খানেক মিটারের একটা মেঘাচ্ছন্ন শুঁড়িপথ চলে গেছে তারে ঝোলা পায়ে হাঁটার পুল, যেটা এই বাংলোর প্রবেশদ্বার, সেই অবধি। ডানদিকে সেই পাহাড়ি নদী বা খোলা, যার নামে সান্তালেখোলা। বাঁদিকে নিচু পাহাড়ের গায়ে ঘন বৃষ্টিভেজা জঙ্গল। টপটপ করে জল ঝরছে গাছ থেকে। দেবব্রত বিশ্বাসের গাওয়া ওই লাইনটা তার মনে পড়ল – ‘তখন পাতায় পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল..’ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল যেন। পুলের ওপারে অবধি চারচাকার রাজত্ব শেষ। ভাগ্যিস। এমনিতেই জনমানবহীন, তারপরে শেষ শীতের বাদলা ভোর। এদিকে কাল সারারাত বর্ষার জল পেয়েই হয়ত, পাহাড়-জঙ্গলের খাঁজ বেয়ে, পুলের নিচ দিয়ে, পাথরে আছাড়ি-পিছাড়ি করতে করতে একেবারে বাংলোর হাতা ঘেঁষে খোলাটি দুর্দম বেগে বয়ে চলেছে গর্জন করতে করতে। বিহ্বল হয়ে সে দাঁড়িয়ে রইল। অনির্বচনীয় শোভা কি একেই বলে!হঠাৎই যেন চোখে পড়ে, পুলের নিচে নদীর ঢালে একজন মানুষ। পুরুষ বলেই মনে হয়। একটু সতর্ক হয় সে। মেঘের মাঝে ভাল করে ঠাহর করার চেষ্টা করে। আর চিনতে পেরেই গোটা আকাশের সমস্ত মেঘ যেন মল্লার রাগে ঝর্ণাধারা হয়ে ঝরে পড়ে তার উপরে।
একেআর! ডাঃ অরুণকান্তি রায়। এইখানে, এইভাবে! চেম্বার-নার্সিংহোমের বাইরে, জিনস্- সবুজ টিশার্ট-সাদা হাফ স্লিভ সোয়েটার পরে, পাহাড়ের কোলে, ঝর্ণার ধারে – যেন ভোরের মাঝে আরেকটা ভোরের বেলা হয়ে। প্রাথমিক আবেশে সে এগিয়ে যাচ্ছিল কথা বলতে, কিন্তু বাংলোর গেটটা খুলে থমকে দাঁড়াল। কি আর কথা বলবে সে? ‘ডাক্তারবাবু কেমন আছেন?’ উনি বলবেন – ‘ভালো আছি, তুমি কেমন আছ?’ তারপর সুগারের কথা জিজ্ঞাসা করবেন, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম নিয়মিত করতে বলবেন। হয়ত একলা এই পরিবেশে অস্বস্তিতে আর দাঁড়াবেনই না। তারচেয়ে সে এখন ওঁকে দূর থেকে দেখবে। প্রাণভরে দেখবে। চার কুঠুরিতে নয়, সবুজের পটভূমিতে, মেঘের নীচে – মর্মর, কূজন আর কলধ্বনির মাঝে। গেটের ভেজা সিঁড়ির ধাপেই বসে পড়ল সে। হে ভগবান, উনি যেন এক্ষুণি উঠে না আসেন। না, ওই তো, ওঁর গিন্নি – ভারিক্কি চেহারা দেখে তাই-ই মনে হয় – উনিও আছেন ওঁর সাথে। তা থাকুন, তাতে নন্দিনীর কি আসে যায়! ও তো আর হিংসুটি নয়। ওই তো দুজন গিয়ে বসলেন খোলার মাঝে একটা বড় পাথরের উপরে। তার মানে কিছুক্ষণ বসবেন নিশ্চয়। হে ঠাকুর, পিকু যেন আজ তাড়াতাড়ি উঠে না পড়ে। আজ, শুধু আজ, এইটুকু সময় সে প্রাণভরে একেআর-কে দেখবে। ওঁরা দুজনে কথা বলছেন, হাসছেন, ছবি তুলছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন জলে-পাথরে। নন্দিনী দূর থেকে দেখছে, শুধু দেখছে আর যেন সুখের কান্না কেঁদে যাচ্ছে তার মনে। যেন কতযুগ পার হয়ে সে দেখা। আচমকা পিঠে নরম স্পর্শে আর মৃদু ডাকে ঘোর ভাঙে তার – “মা”। ছেলে উঠে পড়েছে মা’কে পাশে না পেয়ে।
ব্রেকফাস্ট টেবলে দেখা হল দুই পরিবারের। একেআরের স্ত্রী ডাঃ অনসূয়া রায়, উনিও চিকিৎসক, প্যাথোলজিস্ট। অতীব সুন্দরী, তার চেয়েও বড় কথা – সহাস্য ব্যক্তিত্বময়ী। নিজেই আলাপ চালালেন, পিকুর সাথে গল্প করলেন, ছবি তোলালেন একজনকে অনুরোধ করে। বললেন, ডাঃ রায়ের তো অনেক রোগী, এরকম আগেও কয়েকবার হয়েছে। ‘অনেক রোগী’ আর সে! নন্দিনী ঢোঁক গিলল, জল খেয়ে একটু জানালার দিকে তাকাল। টুকটাক কথা চলছে। তার মাঝেই হতাশার বোমাটা ফাটল। ওঁরা পরশু এখানে এসেছিলেন। আজ একটু পরেই বেরিয়ে যাবেন – শিলিগুড়ি হয়ে বিকেলের ফ্লাইটে কলকাতা। সান্তালেখোলা দেখার পরে ডুয়ার্সের আর কোনও জায়গা মনে লাগবে না, তাই এটি তালিকার শেষে ছিল। মন ভেঙে যায় নন্দিনীর। আড়চোখে মনোজিতের বদমাইশি ভরা চোখটেপা লক্ষ্য করে, জানে এরপরে কেমন আওয়াজ খেতে হবে স্বামীর কাছে। কিন্তু নাচার সে – পরের ক’দিনে এই পাহাড়, এই সবুজ, নদী, অরণ্য, ময়ূর, হরিণ, হাতি – সব যেন কেমন গড়পড়তা মনে হয় তার।
পরবর্তী দশ বছরে নন্দিনীরা বেড়াতে বেরিয়েছে আরও পাঁচ-ছ’বার। কত কিছু দেখেছে, কত আনন্দ উপভোগ করেছে তার স্বামী-সন্তানের সাথে। তাও যেন রামোজি সিটির রাইডস্, জয়সলমিরের সোনার কেল্লা, পেরিয়ারের লেক সাফারি কিংবা মুন্সিয়ারীর নির্জন নিরালা -যেখানেই হোক – সর্বত্র তার চোখ খুঁজে ফিরেছে আনাচে কানাচে। একেআর এখানেও কোথাও আসেন নি তো? না হয় আরেকজন রোগী হিসাবেই তার সাথে দেখা হয়ে যেত! না হয় ম্যাডাম হেসে হেসে বলতেন, এরকম হয়েই থাকে।
কেন এমন হল তার? কি ছিল বয়সে তার থেকে চব্বিশ-পঁচিশ বছরের বড়, বহুজনশ্রদ্ধেয় ওই ডাক্তারবাবুটির মাঝে যাতে সে এভাবে বিলীন হয়ে গেল?
ঋণস্বীকার। ‘সেদিন তোমায় দেখেছিলাম ভোরবেলায়’ গানটি।
**************************************************
এর পরে আগামী পর্বে।