২৩/২/১৯৮৫
চঞ্চলা—আমাকে
অদ্ভুত সব কান্ড হচ্ছে। যমুনাবাই মানে যার অপারেশনটা আমরা করলাম ওকে পুরোপুরি সুস্থ্ অবস্থায় ১৭ তারিখে ছুটি করে দিয়েছিলাম, ও এসে ২১ তারিখে আবার ভর্তি হয়েছে। Pain abdomen, vomiting আর constipation নিয়ে। ভয় লাগারই কথা, যাই হোক antacid দিয়ে চিকিৎসা করে ঠিক হয়েছে আপাতত। আবার গতকাল এক বাই এসে ভর্তি হয়েছে। Vomiting, abdominal distention, peritonitis নিয়ে। একে ১২ তারিখে dilatation and evacuation করেছিলাম। বুঝতেই পারছিস আমার অবস্থা। যাই হোক একে এখন conservative treatment করা হচ্ছে। সম্ভবত অন্য কোন pathology। ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এখনও অবস্থার বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। দেখা যাক কি হয়।
বিনায়কদা এখনও আসেনি। ২৮ তারিখে আসবে।
ইলেকশনের প্রচার ভালই চলছে। মাঝে মাঝে পয়সার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাজকর্ম। ইলেকশনে বড় বেশী পয়সার wastage হয়। অনেক জীপ, অটো, ম্যাটাডোর সব কাজে নেমেছে, এবং আমাদের কালচারাল টীম বিভিন্ন জায়গার প্রোগ্রাম করছে। তীর কামান চুনাও চিহ্ন হওয়ায় বেশ সুবিধা হয়েছে। বড় বড় সব তীর ধনুক বানানো হয়েছে। মিছিলে সবার হাতে বড় বড় তীর ধনুক। জীপের আগে বিশাল ধনুক। আটটা জায়গা থেকে দাঁড়াচ্ছে। দুটো রায়পুর ডিস্ট্রিক্টে। এখানে সম্ভবত জনকলাল জিতে যাবে। এখানে আর সব খবর ভালো। শৈবালদা একটা hydrocele অপারেশন করেছে। ও South Indian লোক। রোজ আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসে বাড়ীর লোক। Railway-তে কাজ করে।
তারিখ নেই
চঞ্চলা—আমাকে
আজ সকাল সাড়ে দশটা, চেম্বারে বসে লিখছি, লোকেশ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আর বিশেষ উন্নতি হয়নি মনে হচ্ছে। লোকেশের বাবা এসেছে কয়েকদিন হলো। একটু ক্ষুণ্ন হয়েছে খুব বেশি উন্নতি হয়নি দেখে। তবে বুঝিয়ে দেওয়ার পর আর কিছু বলেনি।
আজ আউটডোর একদম ফাঁকা। এক তো হোলীর আগের দিন আর এখানকার নিজস্ব লোকজন অনেকেই দুর্গে গেছে counting-এর সময় থাকার জন্য। সন্ধ্যের মধ্যেই এখানকার খবর জানা যাবে। খুব সম্ভব জনক জিতে যাবে আর কারোর আশা খুব একটা নেই। আর একজন জিততে পারে রায়পুরের কসডোল বিধানসভা থেকে দাঁড়িয়েছে পঞ্চরাম ঠাকুর। জিতে গেলে এখানে প্রচন্ড উৎসব হবে। অনেকেই অনেক বাজী ধরেছে। সুরেশের বাবা মুরগী খাওয়াবে।
আমার যে রুগীর কথা লিখেছিলাম তাকে আমরা তিন চারদিন রেখেছিলাম। Abdominal distension, বিশেষ করে peristalsis কখনও hyper কখনও ভীষণ sluggish. Uterus size টাও বেশ বড়। Septic peritonitis হিসেবে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। শৈবালদা বলছিল এখানে একটা খুব severe colitis হয়। তা হতে পারে। আমার ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল laparotomy করা উচিত। অপারেশন করা হবে ঠিক করে Dr. Tiwari-কে (পুষ্পা হাসপাতালে শৈবালের পরে যিনি join করেন, আমাদের খুব বন্ধু ছিলেন। হঠাৎই অল্প বয়সে মারা যান) ডেকে পাঠানো হল। ওনার রুগী দেখে মনে হয়েছে volvulous হবে। কিন্তু রুগী ভীষণ anaemic বলে অপারেশনে রাজী নন। আমি পড়ে শৈবালদাকে বলে ধমতরীতে পাঠাবার ব্যবস্থা করেছিলাম। তুই থাকলে অবশ্যই এখানে অপারেশনের কথা ভাবতে পারতাম। Patient party ধমতরীতে না নিয়ে গিয়ে বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিল। শুনছি নাকি ভালোই আছে। কি হয়েছিলো কে জানে—pelvic peritonitis-ই হবে।
একটা breech delivery করতে গিয়ে বেশ মুশকিলে পড়েছিলাম। মাথাটা প্রায় ফেঁসে গিয়েছিল। Ultimately হয়েছে। ভালোই আছে। একটা forceps দিয়েছি।
বিনায়কদা এখনও আসেনি। শৈবালদা তাই একদিনও election প্রচারে যেতে পারেনি। দোলের দিনও কোন গ্রামে ট্রামে যেতে পারবে না। বেশিক্ষণের জন্য আমার একা থাকতে ভয় লাগে। কত রকমের রুগী আসে।
আমি ভালোই আছি। খেতে আমার অসুবিধা হয় না। শুধু সন্ধ্যেবেলায় ক্ষিদে পেয়ে যায়। রান্না খুব একটা হয় না। আমার রান্না করতে ইচ্ছে করে না। দুপুরে আজকাল আর ঘুমাই না।
১০/৩/১৯৮৫
চঞ্চলা—আমাকে
জনক জিতেছে সাড়ে তিন হাজার মতো ভোটে। রাজনাঁদ্গাঁও আর বালোদে আমাদের candidate second position-এ। সহদেব আট হাজার ভোটে হেরেছে আর প্রেমনারায়ণ ১৩ হাজারের মতো ভোটে। ৬ তারিখে এখানে বিশাল জুলুস হয়েছে। অনেক ট্রাক জীপ গাড়ীতে করে সমস্ত গ্রামে গ্রামে ঘোরা হয়েছে। হোলির দিনেও খুব উৎসব হয়েছে। ছবিলালজী আর সুরেশ প্যাটেলের বাড়ীতে খেতে গেছিলাম।
বিনায়কদা পাঁচ তারিখে এসে গেছে। আগামীকাল ইলিনা অপারেশনের জন্য ভর্তি হবে। এখানকার আর সব খবর ভালো।
যে বাচ্চা মেয়েটার window করা হয়েছিলো তাকে ওই অবস্থায় ছুটি দেওয়া হয়েছিলো বাড়ী থেকে এসে dressing করিয়ে যাবে বলে। পরে window cover করে দেওয়া হবে এই ভেবে। কিন্তু সে আর আসেনি। T.B. hip ভালোই আছে। Plaster করা আছে। দেড়মাস হয়ে গেলে খুলে দেওয়া হবে তো?
রাজারামের wound-টা heal করে গেছে। এখনও cephalexin চলছে। নিয়োগীরা খুব ব্যস্ত বলে ওকে পাঠানোর ব্যপারে এখনও কিছু হয়নি। একজন T.B. knee joint ভর্তি হয়েছে। ওকে splint দেওয়া আছে। দেড় মাস বাদে ওর splint খুলে কি plaster করে দেওয়া হবে?
আমি ভালো। মাঝে মাঝে একটু tiring লাগে। নতুন কোন program না হলে একঘেঁয়ে কাজ।
১২/৩/১৯৮৫
চঞ্চলা—আমাকে
এখন হাসপাতালে আমার ঘরে কেউ নেই। খালি লোকেশ পাশে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। শৈবালদা একটূ আগেই health worker-দের সাথে Pushpa Hospital-এ গেল। ওখানে আজ eye camp হয়েছে। আমারও যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ সন্ধ্যেবেলা দুটো রুগী এসে গেছে। একজনের ৬০% burn আর আরেকজনের সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে clavicle fracture হয়েছে। আর কোথাও fracture হয়েছে কিনা x-ray না করে বুঝতে পারছি না।
আমাদের কোয়ার্টার কি হবে বোঝা যাচ্ছে না। ইউনিয়নের এখন একেবারেই পয়সা নেই। ইলেকশন করতে গিয়ে সব খতম। নিয়োগীরা সবাই জনকের সাথে ভোপাল গেছে। কোন নেতাই এখানে নেই। সহদেব, কুরীয়ন এরাও সবাই গেছে। আজকে কাগজ বিক্রী করে বাজারের জন্য পয়সা দেওয়া হয়েছে।
সামনেই একটা পাকা বাড়ী আছে। ওটা কিনলে ২০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। শৈবালদা জিজ্ঞেস করছিল কথা বলবে কিনা। আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা—এত টাকা আমরা কতদিনে শোধ করব।
১৯/৩/১৯৮৫
শৈবাল—আমাকে
গতকাল চঞ্চলা তোর একটা চিঠি পেয়েছে। আমরা হাসপাতালটা মোটামুটি চালাচ্ছি। বিনায়ক ইলিনার অপারেশনের জন্য তিলদা গিয়েছে। মাঝে একটা রুগী ৮০% বার্ন নিয়ে মারা গেল।
তোর রুগীরা সবাই ভালো। বিজের মেয়ে (fracture tibia) ছুটি দেওয়ার পর আর আসেনি। রাজারামের wound-টা heal করেছে। তবে নিয়োগী তোর আসা অব্দি ওকে রাখতে বলেছে।
এদিকে জনক বিধায়ক হয়েছে ঝুমুকলাল ভেড়িয়াকে হারিয়ে, বিজয় মিছিলটা ভালো হয়েছিলো। রায়দার (A. K. Roy) খবর জানাস।
চঞ্চলা মনে হয় ভালোই আছে, শোয়ার ও খাওয়ার একটু অসুবিধা হচ্ছে। সুরেশের বাড়ীতে রাতে বেশ গরম হয়। (চঞ্চলা তখন হাসপাতালের পাশে সাহুজীর বাড়ীতে রাতে থাকত)। দুপুরে ও হাসপাতালেই থাকে। তবে খাওয়ার অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও চঞ্চলার ওজনটা কম হয়নি।
দোলটা এবারে দুগুণ উৎসাহে মানা হয়েছে। টাকার অবস্থা আবার আগের মতোই। তাই এখন আবার একটু একটু অসুবিধা হবে।
আমি চঞ্চলাকে ১০০০ টাকা মাসে দিতে বলেছি। যদিও এখন পয়সা পায়নি। কবে আসবি জানাবি।
২০/৩/১৯৮৫
চঞ্চলা—আমাকে
তুই কয়েকদিনের জন্য রাজহরা ঘুরে যা। এখানে সবাই জানে তোর বাবার শরীর খুব খারাপ, বাড়ীর অনেক কাজ, ইত্যাদি। তুই যে কদিনই থাকবি তাতেই সবাই খুব খুশী হবে। নিয়োগীজি তো রাজারামকে রেখেই দিয়েছে—তুই না আসা পর্যন্ত ওকে কোথাও পাঠাবে বলে মনে হচ্ছে না। শৈবালদা অনেকবার বলেছে তা সত্ত্বেও। কোয়ার্টারও তুই না এলে হবে বলে মনে হয় না। তখন আমাদের আলাদা থাকতে দেখে কারোর যদি খেয়াল হয়।
ইলেকশনের পরে পরেই আবার একটা ঝামেলা এসে গেছে। এখানে সমস্ত transport-এর কাজ বন্ধ হতে চলেছে। নতুন করে আর tender দিচ্ছে না। এটা নিয়ে নিয়োগী ইত্যাদিরা খুব ব্যস্ত। আর পয়সাকড়ির অভাব তো আছেই।
গরম ভালোই পড়েছে। দুপুরে আমি হাসপাতালেই থাকি। শুতে ইচ্ছে হলে মেঝেতে চাটাই পেতে শুয়ে পড়ি।
সাইকেল শিখতে শুরু করেছি। হাসপাতালের সকলের সাথে ভালো দোস্তী হয়ে গেছে। তবে ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সাথে খুব একটা আলাপ হয়নি এখনও।
২৯/৩/১৯৮৫
শৈবাল—আমাকে
তোর চিঠির উত্তর দিতে দেরী হলো। লোকেশ বাড়ী চলে গেছে তাই তোর suggestion কাজে লাগানো যায়নি। দ্বিতীয় Koch’s knee patient pregnant, ওর এখন ৩৬ সপ্তাহ চলছে। তাই plaster না করে traction-এ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঠিক হলো কিনা জানাস।
আমাদের অবস্থা আগের মতোই। ছোটখাটো অপারেশন হচ্ছে। চঞ্চলা খুব D and E করছে। টাকা পয়সার অবস্থা খুবই খারাপ। ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে তিন হাজার টাকা ইনকাম করতে বলছে। এখন হাসপাতালের যা অবস্থা, তাতে এই টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তার উপর ধারের ব্যাপারটা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রায় পনের হাজার টাকা ধার পড়ে রয়েছে।
আমাদের হাসপাতালে ডেলিভেরিটা বেড়েছে।
জনক এখন ভোপালে। এদিকে transport মজদুর কাজ পাচ্ছেনা। B.S.P. transport-এর ঠেকা দিচ্ছে না, ইউনিয়নের কাছে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর একটা বড়সড় আন্দোলন হবে বলে মনে হচ্ছে।
রাজনাদঁগাওয়ে মাঝে মাঝে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। স্বামী অগ্নিবেশ জেলে। ফরিদাবাদে খুব গন্ডগোল চলছে। গুন্ডারা এক মজদুরকে মেরে দিয়েছে।
৩/৪/১৯৮৫
চঞ্চলা—আমাকে
তুই কবে নাগাদ আসবি একটা approximate date জানা। সবাই খালি জিজ্ঞাসা করে। আমাদের indoor-টা এখন মোটামুটি একটা surgical ward-এ পরিণত হয়েছে। দুটো burn আছে—বেশ severe। প্রথম চোটগুলো কাটিয়ে উঠেছে। একজন বাই, একজন ছেলে। একটা পায়ে injury আছে, পুরো sole skin grafting করতে হবে।
একটা suprapubic cystostomy শৈবাল আর আমি করেছি। একটা বাচ্চা ছেলে head injury – unconscious –কাল ভর্তি হয়েছে। আর সবচেয়ে serious একটা problem হয়েছে। Cultural team-এর একজন ছেলে শ্রীরামের পায়ে ছোট একটা needle ঢুকে গেছে। ঢোকার সাথে সাথে ও এখানে এসেছে। Point of entry দেখা যাচ্ছিল। তাই local দিয়ে ছোট একটা incision করে বার করার চেষ্টা করলাম। বেরোয়নি। পরে পুষ্পা হাসপাতালে এক্সরে করা হয় সেদিনই। ততক্ষণে needle-টা ভেঙ্গে দু-টুকরো হয়েছে। তারপর Dr. Tiwari–র suggestion অনুযায়ী পুষ্পাতে under x-ray screening আমরা ওটা বের করার চেষ্টা করি। তিন-চার ঘন্টার চেষ্টায় অর্ধেকটা বেরিয়েছে। বাকিও অর্ধেকটা এখনও বেরোয়নি। Dr. Tiwari বলছিল ওটা Dr. Kundu আসলে বার করা যাবে। এসব পেসেন্ট ছাড়াও রাজারাম তো আছেই।
T.B hip-এর plaster খুলে দেওয়া হয়েছে। ভালো আছে। একটু limp করছে।
ওড়িষার কমরেড এখনও আছে। সীতারাম দু তিন দিনের জন্য ঘুরে গেল। ধানবাদে তোর সাথে দেখা করবে। অবিনাশ এসেছে দু দিন হল। শ্রমিক মুক্তি দলের দুজন কমরেড আসবে কয়েক দিনের মধ্যেই।
১৯/৭/১৯৮৫
শৈবাল (কলকাতা থেকে)—আমাকে (রাজহরায়)
দাদু ১৩ জুলাই মারা গেছেন। তার জন্য ১৪ তারিখ পর্যন্ত কোথাও বেরোতে পারিনি। শেষের তিনদিন হাসপাতালেই ছিলাম। তোর চিঠি পাওয়ার পরে রাজহরায় যাওয়ার তারিখ ৫ই আগষ্ট থেকে ২৬ জুলাই করেছি। এর থেকে এগোনো সম্ভব হবে না। যেভাবেই হোক চালিয়ে নিস। ধানবাদে তোর বাড়ী যাবো ২৩ তারিখ।
মুখার্জী ব্যানার্জী দেখলাম price list পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি কয়েকটা জিনিষ কিনেছি ও কিনব। Stitch cutter, stethoscope, wall lamp for gynaecological examination. একটা বড় lamp stand ও Prince Radio-র জন্য একটা leather case কিনব। তবে পয়সা নেই। ভাবছি কোথাও থেকে ধার নেব। এছাড়া গ্লোব নার্সারীতে order দেওয়া আছে। ১. পান্থপাদপ—দুটো, ২. বকুল—একটা, ৩. কামিনি—দুটো, ৪. গোলাপ—দুটো। অন্তত চারটে নতুন গর্ত করতে হবে। বাকিগুলো টবে রাখলেও চলবে তবে বড় টব চাই। গর্তগুলো দুই হাত পরিমাণের হওয়া চাই। পান্থপাদপের জন্য গর্ত দুটো সামনের বাগানে মাঝামাঝি সমান দূরত্বে হলে ভালো হয়। Fencing-টা বাঁশের থেকে চাটাই দিয়ে করলে ভালো হয়।
২৬ তারিখে গীতাঞ্জলীতে reservation, পারলে গাড়ী পাঠাবি। না হলে কাউকে পাঠাবি—নাহলে জিনিস নিয়ে যাওয়া বেশ অসুবিধা। যদি গাড়ী পাঠাস তবে জিনিসের list আর থার্মোফ্লাক্স পাঠাস। সম্ভব হলে রায়পুর থেকে কিনে নিয়ে যাবো। অবশ্য টাকা পাঠানো চাই।
চলবে……