মিমে আমাদের হোটেলে পৌঁছাতে কাল বেশ রাত হয়ে গেছিল। আমরা যে রাস্তা দিয়ে এলাম, বেশ জটিল। রাস্তা এতটাই খাড়াই মাঝে মাঝেই আমাদের গাড়ি উঠতে পারছিল না। ড্রাইভার দাদা গাড়ি ব্যাকগিয়ারে এনে আগে থেকে স্পিড বাড়িয়ে গাড়ি তুলছিল অনেকটা লংজাম্প দেওয়ার মতো।
অতঃপর সেই খানাখন্দ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মিমে আমাদের হোম স্টে তো পৌঁছালাম। বিশাল ব্যাপার। ব্যাগ-ট্যাগ ঘেঁটে সোয়েটার খুঁজে পেলাম। গায়ে চাপালাম।
তারপর আর কী। সবাই ঝপাঝপ লেপের মধ্যে ঢুকে পড়লো। আবার নৈশ ভোজনের সময় বার হলো।
এতোদিন রোগীরা এসে বলতো ডাক্তারবাবু, ‘কাশ্মির গেছিলাম। ফেরার পর থেকে শরীরটা গণ্ডগোল করছে।’ অথবা ‘গ্যাংটক যাব, কটা ওষুধ লিখে দেন।’ আমার হেব্বি জ্বলে যেতো।
এখন রোগীরা ফোন করছেন, ‘ডাক্তারবাবু, মাথাটা কেমন ঘুরছে, হাত পায়ে টাস লেগে যাচ্ছে। আপনি কি চেম্বারে আছেন?’
গম্ভীর গলায় বলছি, ‘আমি দার্জিলিঙে ঘুরতে এসেছি। ১ তারিখে ফিরিব। অন্য কোথাও দেখিয়ে নিন।’
বলতে বেশ আনন্দ হচ্ছে। জানি আনন্দ হওয়া উচিৎ নয়, বিপদে পরেই বেচারা ফোন করেছেন। তবু্ও আনন্দ হচ্ছে।
ছবিঃ রাতের বেলা আমাদের হোম স্টে