Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

ডারউইনঃ মানব বিবর্তন ও যৌন নির্বাচন  পর্ব ২

Screenshot_2022-02-14-23-41-11-16_680d03679600f7af0b4c700c6b270fe7
Dr. Jayanta Das

Dr. Jayanta Das

Dermatologist
My Other Posts
  • February 15, 2022
  • 7:46 am
  • No Comments

চার্লস রবার্ট ডারউইন, জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮০৯, মৃত্যু ১৯ এপ্রিল ১৮৮২।

১৮৫৯ থেকে ১৮৭১। ‘অন দি অরিজিন অফ স্পেসিস’ প্রকাশের পরের এক ডজন বছর। ইউরোপ আমেরিকা বিতর্কে সরগরম। ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের সপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ইংল্যান্ডের টমাস হেনরি হাক্সলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশা গ্রে এবং জার্মানিতে আর্নস্ট হেকেল নানা বিতর্কে অংশগ্রহণ করছেন। ডারউইন স্বয়ং প্রাকৃতিক নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি শানিত করছেন। আবার এরই মধ্যে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচনের পদ্ধতি মানব প্রজাতির বিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। মানুষের উদ্ভব নিয়ে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব আরোপ করলে মানুষকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের সন্তান বলে অভিহিত করা যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু ‘অন দি অরিজিন…’ গ্রন্থে ডারউইন এই প্রশ্নটি সরাসরি মীমাংসা করার চেষ্টা করেননি। ফলে দ্বাদশ বছরের এই দীর্ঘ সময় জুড়ে কেউ কেউ ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো মানবজাতির জন্য বিশেষ সৃষ্টিতত্ত্বকে সমর্থন করেন। কিন্তু ডারউইনের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা তখন অন্য খাতে বইছিল।

১৮৬৭ সালে ডারউইন ‘ভেরিয়েশন অফ প্ল্যান্টস অ্যান্ড এনিম্যালস আন্ডার ডোমেস্টিকেশন’ গ্রন্থের বিশাল খসড়া নিয়ে কাজ করছিলেন। তারই অংশবিশেষ নিয়ে তিনি মানবজাতির উত্স সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ লেখার কথা ভাবেন। কিন্তু ছোট প্রবন্ধ নিয়ে কাজ শুরু করলেও সেটি ছাপতে দেবার সময়ে দেখা গেল যে এটি একটা বেশ বড় বই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নাম দেওয়া হল ‘ডিসেন্ট অফ ম্যান, অ্যান্ড সিলেকশন ইন রিলেশন টু সেক্স’, অর্থাৎ ‘মানুষের উদ্ভব ও যৌন নির্বাচন’। সেটি ১৮৭১ সালে প্রকাশিত হল।

প্রায় একই সঙ্গে ‘ভেরিয়েশন…’-এর ঐ খসড়া থেকে তিনি আরও একটি বই বের করেন। সেটির নাম ‘এক্সপ্রেশন অফ ইমোশনস ইন ম্যান অ্যান্ড দি এনিম্যালস’ অর্থাৎ ‘মানুষ ও পশুর আবেগের প্রকাশ’। এটি ১৮৭২-এ প্রকাশিত হয়। আমরা এখানে ‘ডিসেন্ট অফ ম্যান…’ বইটি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তবে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইমোশনস …’ গ্রন্থটির কিছু বিষয় এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকবে।

এই বই দুটি ডারউইনের মতবাদ সম্পর্কে জনসাধারণের এতাবৎ গড়ে ওঠা ধারণায় বিরাট অভিঘাত ফেলে। ‘ডিসেন্ট…’ বইটিতে ডারউইন এমন কিছু লেখেননি যা তাঁর আগের বই ‘অন দি অরিজিন অফ স্পেসিস’ এর চাইতে বৈজ্ঞানিক চিন্তার দিক থেকে আলাদা। কিন্তু মানুষের উৎস নিয়ে এই বইতে সরাসরি লেখার ফলে যে সব পাঠক এর আগে ‘অরিজিন’-কে দুহাত তুলে সমর্থন করেছিল তাদেরও অনেকে একটু পিছিয়ে গেলেন—কী ব্যাপার, এই ডারউইন ভদ্রলোক এবার যেন সৃষ্টিছাড়া নাস্তিকের মতন কথা কইছেন!

বিজ্ঞানের ধারণা অনুসারে মানব বিবর্তনের প্রশ্নটি ইতিমধ্যে টমাস হাক্সলি, চার্লস লিয়েল ও আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সেগুলো ডারউইনের বইয়ের মত পুরো বিষয়টি একসাথে ধরতে পারেনি, উপরন্তু ডারউইনের মত তথ্য ও তত্ত্বের সুষম সমাবেশ অন্যদের বই বা প্রবন্ধে ছিল না।
প্রথাগতভাবে এতদিন যে সব বিষয় ছিল কেবলমাত্র দর্শন, ধর্মতত্ত্ব এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক তত্ত্বের মধ্যে আলোচিত প্রশ্ন, ডারউইনের বই দুটি সে সব বিষয়কে সজোরে বিজ্ঞানের আওতার মধ্যে নিয়ে এল। তাঁর তত্ত্বের এই বিস্তৃতির ফলে অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিবর্তনবাদী তত্ত্বের বিরোধিতা বেড়ে গেল। ডারউইন মানবজাতির উত্সের আক্ষরিকভাবে শাস্ত্রীয় অর্থাৎ বাইবেলের বিবরণ অস্বীকার করেছিলেন—সেটা এই বিরোধিতার একটা কারণ ছিল। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ ছিল এমন নয়। ধর্মমত শুধু নয়, নানা দার্শনিক মতেরও সঙ্গেও ডারউইনের এই বই দুটির বক্তব্যের চরম বিরোধিতা ছিল। মানব এবং প্রাণীদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য এখানে ডারউইন সরাসরি অস্বীকার করেন, আর তাই এই বিরোধিতা।

অবশ্য ‘ডিসেন্ট অফ ম্যান…” প্রকাশের আগেও ডারউইন ক্রমশ এই অভিমুখে নিজের মতবাদকে গড়ে তুলছিলেন, এবং ধীরে ধীরে একই ধরণের বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। ‘অরিজিন’-এর পঞ্চম এবং ষষ্ঠ সংস্করণে মানব বিবর্তন প্রক্রিয়া এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের সূত্রগুলি নিয়ে ডারউইন আলোচনা করেন। তা আগের সব সংস্করণের আলোচনার চাইতে বেশি কড়া ছিল। কেউ কেউ ভাবতেন বিবর্তন হয় ঠিকই, কিন্তু তা নির্দিষ্ট অভিমুখে প্রগতির পথ ধরে এগোয়। ‘অরিজিন’-এর এই সংস্করণ দুটি তার সরাসরি বিরোধিতা করে। ডারউইন বলেন, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের দিকে বিবর্তন এগোয় না। ঈশ্বর বিবর্তনের অভিমুখ নির্দেশ করে দেন, এমন চিন্তার সঙ্গে ডারউইনের চূড়ান্ত বিচ্ছেদ এখানেই ঘোষিত হয়। ‘অরিজিন’-এর পঞ্চম সংস্করণে ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’-এর প্রতিশব্দ হিসাবে হারবার্ট স্পেন্সারের কাছ থেকে নেওয়া ‘সারভাইভাল অফ দি ফিস্টেস্ট’ বা ‘যোগ্যতমের বেঁচে থাকা’ কথাটি ডারউইন ব্যবহার করেন।

এসবের ফলে জন হেনরি নিউম্যান-এর মত অনেক প্রভাবশালী ধর্মীয় চিন্তাবিদ ডারউইনের ওপর ক্রুদ্ধ হন। আগে এরাই তাঁর মতের সম্পর্কে কিছুটা সহনশীল ছিলেন। ‘ডিসেন্ট অফ ম্যান…’এর উপসংহারে ডারউইন লেখেন যে “লেজওয়ালা এবং ছুঁচাল কানবিশিষ্ট এক লোমশ চতুর্ভূজ থেকে মানুষ এসেছে”। তখন মানুষের চোখে ডারউইনের আগেকার ধর্ম-সহনশীল ভাবমূর্তি অনেকটাই বদলে গেল।

‘অরিজিন’-এর তুলনায় ‘ডিসেন্ট’-এ ডারউইন প্রাণীজগতে যৌন নির্বাচনের ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন। সংক্ষেপে যৌন নির্বাচন হল বিবর্তনের আরেকটি প্রক্রিয়া। এতে প্রজননের উদ্দেশ্যে স্ত্রী প্রাণী পুরুষদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বেছে নেয়, ও তার ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুরুষ প্রাণীর মধ্যে বিরাট শিং বা ময়ূরের বাহারি পেখমের মত নানা গুণের উদ্ভব ঘটে। অবশ্য পুরুষ প্রাণীও কখনও কখনও স্ত্রী প্রাণীকে বেছে নিতে পারে, ও এর ফলে স্ত্রী প্রাণীর নানারকম পরিবর্তন হতে পারে। ‘অরিজিন’-এ যৌন নির্বাচনের সামান্য উল্লেখ ছিল মাত্র। কিন্তু ‘ডিসেন্ট’-এ তা পুস্তকের একটা বড় অংশ অধিকার করে।

ডারউইন দেখান যে যৌন নির্বাচন কখনও কখনও প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিপরীত অভিমুখে কাজ করতে পারে। কীটপতঙ্গ থেকে পাখি পশু, এমনকি মানুষের নানা গুণের মধ্যে তিনি যৌন নির্বাচনের হাত দেখিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। ডারউইন ‘ডিসেন্ট’-এ বলেন, প্রাকৃতিক এবং যৌন নির্বাচনের মিলিত কাজের ফলে এপ-জাতীয় পূর্বসূরি থেকে মানুষের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে। আর যৌন নির্বাচনের ফলে মানবের নানা ‘রেস’-এর অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে। আবার মানুষের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষের আকার প্রভেদের কারণ হল যৌন নির্বাচন।

তবে ‘ডিসেন্ট অফ ম্যান’-র সব চাইতে সমস্যাসঙ্কুল অংশ হল মানব সমাজে নীতিবোধ নিয়ে বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার প্রচেষ্টা। ডারউইন ‘ডিসেন্ট’ লেখার সময়ে মানব সমাজের নীতিবোধের উদ্ভব নিয়ে বিশেষ চিন্তিত ছিলেন। ‘ডিসেন্ট’-এর দীর্ঘতম অধ্যায়টিতে নীতিবোধের উদ্ভব সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ডারউইন প্রাকৃতিক ইতিহাসের দিক থেকে নীতিশাস্ত্রের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখনকার সামাজিক পরিমণ্ডলে যে নীতি ইংলন্ডে চালু ছিল তার সঙ্গে এই নীতিবোধ মেলেনি। বরং ডারউইনের ‘প্রাকৃতিক নীতিবোধ’-এর সঙ্গে অ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড হিউমের স্কটিশ নৈতিক বোধের ঐতিহ্যের খানিকটা মিল ছিল।

এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় হল, অ্যাডাম স্মিথ কেবল নীতিবোধের দার্শনিক ছিলেন না; তিনি অর্থনীতিজ্ঞ ও ‘মুক্ত বাজার অর্থনীতি’-র আদি প্রবক্তাও ছিলেন। অ্যাডাম স্মিথ মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে নৈতিক ও বাস্তব শক্তি হিসেবে (মুক্ত বাজারের) ‘অদৃশ্য হাত’-এর ধারণাটি প্রথম চালু করেন। বাজারের অদৃশ্য হাত হল মুক্ত বাজারে অংশগ্রহণকারীদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত সামাজিক নানা সুফল। মুক্ত বাজারে বিভিন্ন আত্মস্বার্থসর্বস্ব শক্তি নিজ স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু তার ফলে অনেকের জন্য সুবিধাজনক একটি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা সুসংগঠিত হয়ে ওঠে। বাজারের এই অদৃশ্য হাতের সঙ্গে ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের অন্ধ ও উদ্দেশ্যবিহীন হাতের মিল হয়তো পুরোটাই আপতিক নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচনে প্রতিটি জীব নিজের সন্তানসন্ততি বেশি রাখার স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু তাদের আন্তক্রিয়ার ফলে জীবজগতের সামগ্রিক বিবর্তন সম্ভব হয়, ও একটি সুসংগঠিত জীবজগৎ অনেকে জীবকে ধারণ করে।

বিবর্তন তত্ত্বের কাঠামোর মধ্যে নৈতিক বোধের ঐতিহ্যের ব্যাখ্যা করার তাগিদে ডারউইনকে মানবেতর প্রাণীর পশু প্রবৃত্তি থেকে মানুষের নৈতিক বোধের উন্মেষের সমস্যার সমাধান হাজির করতে হয়েছিল। জন স্টুয়ার্ট মিলের ইউটিলিটিরিয়ান তত্ত্ব মানুষের অন্তর্জাত বোধের বদলে অর্জিত গুণাবলীর ওপরে ভিত্তি করে সম্পূর্ণ নীতিশাস্ত্র সাজিয়েছিল। ডারউইন তার সমালোচনা করে বলেন, পশুজগতে আত্মত্যাগ ও পরোপকারী ব্যবহার তাদের সহজাত নৈতিক বোধের কারণে সম্ভব হয়। আর মানুষ তারই ধারাবাহিকতায় একই সহজাত উদ্দেশ্য দ্বারা প্রণোদিত হতে পারে।

ডারউইনের ‘ডিসেন্ট’ বলেছে, সাধারণত প্রবৃত্তির দ্বন্দ্ব থেকে নৈতিক দ্বন্দ্বর জন্ম হয়। প্রাণীজগতে যে প্রবৃত্তি ‘দলগত নির্বাচন’-এর পক্ষে সুবিধাজনক হয় সেটি জয়লাভ করে। মানুষের মধ্যে ‘সামাজিক প্রবৃত্তি’ দীর্ঘস্থায়ী হয় ও তা ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক প্রবৃত্তিকে পরাজিত করে। এভাবেই পরোপকার প্রবৃত্তির জন্ম হয়।

বাস্তবের নীতিবোধের ভিত্তি হিসাবে বিবর্তনীয় ‘প্রাকৃতিক’ নৈতিকতার যে কথা ডারউইন ‘ডিসেন্ট’-এ বলেছিলেন, তাঁর সমসাময়িক এবং পরবর্তীকালের চিন্তাবিদদের কাছে তা অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয় ছিল। কিছু দার্শনিকের মতে, ডারউইন মানবিক নীতিবোধকে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক নির্বাচনের নানা প্রবণতাতে পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা নয়।

ডারউইনের এই পদক্ষেপ নীতিশাস্ত্রকে জীববিজ্ঞানের অংশে পরিণত করার প্রচেষ্টা ছিল। সমস্যা হল, এতে নৈতিকতাকে ‘বেঁচে থাকার সুবিধা’ থেকে আলাদা করার কোনও উপায় ছিল না। এমনকি ডারউইনের সমসাময়িক সমর্থকরাও এটা মেনে নিতে পারেননি। ‘ডারউইনের বুলডগ’ টমাস হক্সলে পর্যন্ত এর সমালোচনা করেন। নীতিশাস্ত্রের বড় সমস্যা হল ‘যা হয়’ আর ‘যা হওয়া উচিত’—এ-দুয়ের ফারাক বুঝে ইতিকর্তব্য ঠিক করা। প্রাকৃতিক নির্বাচন ‘যা হয়’ এর বিবরণ হিসেবে যথেষ্ট হলেও তা ‘যা হওয়া উচিত’ সে বিষয়ে কিছু বলতে পারে না।

কথাটা ভুল নয়। তবে পরবর্তীকালের দর্শন, নীতিশাস্ত্র ও মনস্তত্ত্বের গভীর আলোচনা দেখিয়েছে, ‘যা আছে’ তার যথার্থ উপলব্ধি ব্যতীত ‘যা হওয়া উচিৎ’ তা ঠিক করা অনেকটাই আকাশকুসুম স্বপ্ন মাত্র। কিন্তু সে আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিসর দাবি করে।

-সমাপ্ত-

চিত্র পরিচিতি
চার্লস ডারউইন, এক জ্ঞানী ওরাংওটাং। কার্টুনটি The Hornet নামক ব্যঙ্গ-পত্রিকায় ১৮৭১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র
১) Darwin CR. The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex (First Published in 1871). http://darwin-online.org.uk/converted/pdf/1889_Descent_F969.pdf
২) Darwin CR. The Expression of the Emotions in Man and Animals (First Published in 1872) https://www.gutenberg.org/files/1227/1227-h/1227-h.htm
৩) Schwartz JS. Darwin, Wallace, and the Descent of Man. Journal of the History of Biology, vol. 17, no. 2; 1984, pp. 271-289.
৪) Philip Sloan. Darwin: From Origin of Species to Descent of Man. Stanford Encyclopedia of Philosophy. First published Mon Jun 17, 2019 https://plato.stanford.edu/entries/origin-descent/
৫) Carey, T.V. The Invisible Hand of Natural Selection, and Vice Versa. Biology & Philosophy 13, 427–442 (1998).

PrevPreviousভাষা দিবসে ডক্টরস’ ডায়ালগ ও প্রণতি প্রকাশনীর অনুষ্ঠান
Nextভালোবাসাই আমাদের ধর্ম।Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

ডাক্তারির কথকতা: ৮ একুশে আইন

March 23, 2023 No Comments

ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় চিকিৎসক ও বিজ্ঞান সাধক। তিনি অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ, জ্ঞানী অথচ কাঠখোট্টা মানুষ। শোনা যায়, তিনি এমনকি যুগপুরুষ

দীপ জ্বেলে যাও ২

March 22, 2023 No Comments

আত্মারাম ও তার সঙ্গীরা রওনা দিল দানীটোলার উদ্দেশ্যে। দল্লিরাজহরা থেকে দানীটোলা বাইশ কিলোমিটার হবে। বিশ না বাইশ, ওরা অত গ্রাহ্য করে না। ওরা জানে এই

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

March 21, 2023 1 Comment

পশ্চিমবাংলা এই মুহূর্তে অ্যাডেনভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিপর্যস্ত। আইসিএমআর-নাইসেড-এর সম্প্রতি প্রকাশিত যৌথ সমীক্ষা  জানাচ্ছে, ভারতের ৩৮% অ্যাডেনোভাইরাস রোগী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। এমনকি সুপরিচিত ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান-এ একটি

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

March 20, 2023 No Comments

৪/৩/১৯৯০ শৈবাল–আমাকে প্রথমে নির্বাচনের খবর। আমরা একটাও জিততে পারিনি। জনকও হেরেছে। ভেড়িয়া ৭০০০ ভোটে জিতেছে। আমরা গ্রামে ১২ হাজার ভোট পেয়েছি। বি. জে. পি. ২১

গ্রামের বাড়ি

March 19, 2023 No Comments

১৪ দিন দশেক পরে দেবাঙ্কন এসে হাজির। বলল, “তোদের কফি ধ্বংস করতে এলাম। বাপরে বাপ, যা গেল! যাক, চার্জশিট হয়ে গেছে। সাংঘাতিক কনস্পিরেসি। সোমেশ্বর নাথ

সাম্প্রতিক পোস্ট

ডাক্তারির কথকতা: ৮ একুশে আইন

Dr. Chinmay Nath March 23, 2023

দীপ জ্বেলে যাও ২

Rumjhum Bhattacharya March 22, 2023

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

Dr. Jayanta Bhattacharya March 21, 2023

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

Dr. Asish Kumar Kundu March 20, 2023

গ্রামের বাড়ি

Dr. Aniruddha Deb March 19, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

428606
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]