“বাবা সানডেতেও তোমার সারাদিন কিসের এত মিটিং, তুমি এমনিতেই রোজ দেরি করে বাড়ি ফেরো। তুমি তো আমার সাথে খেলই না। সানডে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মিটিং করলে। কি এত মিটিং করো?”
জিরি বিরক্ত। অনেকদিন পর একটা রবিবার বাড়িতে ছিলাম তাও সকাল থেকে জুম মিটিং করছি বিকেল অব্দি, রাগ করা স্বাভাবিক।
বললাম “শুনবি কি মিটিং? সরকার এর একটা সংস্থা আছে তারা ঠিক করেছে কোন হসপিটালের কোন ডিপার্টমেন্ট খুব ভালো সেটা জাজ করে তাকে “সেন্টার অফ এক্সেলেন্স” মানে “খুব ভালো” সার্টিফিকেট দেবে। সেই কমিটিতে আমাকে রেখেছে। তারই মিটিং”।
“তুমি কোন কোন হাসপাতালকে পরীক্ষা করে বলবে?”
“সে তো পরের কথা, আমি পরীক্ষা করব কিনা তাও জানি না, আগে তো আমাদের ঠিক করতে হবে কি কি ক্রাইটেরিয়া দেখে সেই পরীক্ষা টা হবে। কি কি থাকলে সেই হাসপাতাল খুব ভালো হাসপাতাল।”
“এটা তো সোজা কাজ” জিরি বেশ আত্মবিশ্বাস এর সাথে বলল।
“সোজা? ক্যানো?”
জিরি গম্ভীর ভাবে বলল “দ্যাখো বাবা কি কি থাকলে হাসপাতাল ভালো হাসপাতাল আমি বলছি”
“ঠিক আছে বলো শুনি”
জিরি ভেবে ভেবে বলল “হিউম্যানিটি,….. হুমম… কাইন্ডনেস,…… কেয়ার আর লাভ, এগুলো থাকলেই হাসপাতাল ভালো। তুমি এটা বলো মিটিং-এ পরেরবার”
একটু ঝাঁকুনি লাগলো এগুলো তো আলোচনা হয়নি। বললাম “হ্যাঁ একদম ঠিক, পরেরদিন যদি আমাকে বলার সুযোগ দেয় তাহলে বলব নিশ্চয়ই।”
হিউম্যানিটি, কাইন্ডনেস, কেয়ার আর লাভ। আট বছরের বালিকার সহজ সমাধান। কি সহজ ক্রাইটেরিয়া নাকি ততটা সহজও নয়।