An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

করোনার দিনগুলি ৩৫ পরিযায়ী

WhatsApp Image 2020-05-15 at 00.20.51
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • May 28, 2020
  • 7:55 am
  • 2 Comments

সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে পরিযায়ী শব্দটা শুনলে পাখির কথা মনে হতো। একদল সুদীর্ঘ গ্রীবার বিহঙ্গ শ্বেতশুভ্র শক্তিশালী পক্ষ মেলে বেরিয়ে পড়েছে অজানার উদ্দেশ্যে।

তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো আর জন্মস্থানে ফিরে আসতে পারবে না। তবু বড্ড রোমান্টিক লাগতো এই হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টাকে।

মুর্শিদাবাদের এক প্রান্তিক হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর প্রথম শুনলাম পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা। যে খড়গ্রাম হাসপাতালে কাজ করতাম সেই গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির অন্তত একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বেশিরভাগই কাজ করতেন মুম্বাইতে। যদিও ওখানকার কেউই মুম্বাই বলতেন না। মুম্বাই এখনো তাঁদের কাছে বোম্বে। চেন্নাই পরিচিত মাদ্রাজ নামে।

মুম্বাই ছাড়াও অনেকে কেরলায় কাজ করতে যেতেন। সেই আমলে কেরলায় একেকজন অদক্ষ শ্রমিক সাড়ে তিনশো টাকা দৈনিক মজুরি পেতেন। সারা বছর কাজ করে ঈদের সময় ফেরত আসতেন। আমরা যারা কোয়ার্টারে থাকতাম ঈদের আগে পরে বাড়ি ফিরতাম না। ট্রেনে বাসে বড্ড ভিড় হতো।

এছাড়াও ধান কাটার মরসুমে লোকজন দল বেঁধে বর্ধমান, বীরভুমে যেতেন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে কলকাতা ও শহরতলিতে যেতেন।

অনেকে বেশি আয়ের লোভে আরব, কাতার, কুয়েত ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও যেতেন। এইসব দেশগুলোতে যারা যেতেন, অনেকেই আর ফেরত আসতেন না। তাঁদের বিদায়ের সময় বাড়ির লোকজন প্রায় মরাকান্না কাঁদতেন। এরকম বেশ কয়েকটি বিদায় দৃশ্য দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো বিপদ আছে জেনেও এতো মানুষ জন্মস্থান ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কেন? এনারা আর যাই হোন অন্তত মানসিক ভাবে লিভিংস্টোন নন।

এর কারণ বুঝেছিলাম একদিন ডাঃ পীযূষ কান্তি পালের সাথে ঘুরতে বেরিয়ে। কাছের একটা বিলে পরিযায়ী পাখি দেখতে গেছিলাম। পীযূষদা কান্দির ছেলে। এ অঞ্চলের নাড়ি নক্ষত্র চেনে। বলল, ‘আগে অনেক পাখি আসতো। এখন আর আসে না। যে কটা আসে বেঁচে ফেরে না।’

আমি বললাম, ‘কেন, পাখি মারা তো নিষিদ্ধ?’

‘সে-তো অনেক কিছুই নিষিদ্ধ। কিন্তু রাতের অন্ধকারে এই জলা জঙ্গলে পাখি মারলে কে আর দেখতে আসছে।’

পাখি দেখে আলপথ ধরে ফিরছিলাম। চারিদিকে ধানের জমি। অজস্র আল দিয়ে ভাগ করা। বললাম, ‘এতো আল কেন? এতে তো অনেকটা জমি নষ্ট হয়।’

পীযূষদা বলল, ‘একজন মারা যায়, আর জমি তার সন্তানদের মধ্যে ভাগ হয়। আলের সংখ্যা বেড়ে যায়। কয়েক দশক পর আর চাষের জমি থাকবে না। শুধুই আল।’

মুর্শিদাবাদ সম্ভবত সবচেয়ে জনঘনত্ব পূর্ণ এবং সবচেয়ে অবহেলিত জেলা। এখানকার রেশম জগৎ বিখ্যাত। কিন্তু যাঁরা রেশম শিল্পের সাথে যুক্ত তাঁদের অবস্থা দেখলে চোখে জল আসতে বাধ্য। ফুটন্ত জলে সরাসরি হাত ডুবিয়ে সিদ্ধ রেশম গুটি তুলে আনছেন। এবং সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির বিনিময়েও বাড়ির সকলের দুই বেলা ভাত জুটছে না।

ওই অঞ্চলের আর একটি বড় শিল্প বিড়ি শিল্প। আট থেকে আশি বছরের সকলেই সামান্য মজুরির বদলে সারাদিন ঘাড় গুঁজে বিড়ি বাঁধছেন। সারাক্ষণ তামাক ঘাঁটায় তাঁদের বুকে বাসা বাঁধছে যক্ষ্মা।

মুর্শিদাবাদের আরও একটি শিল্প আছে। বোমা শিল্প। খড়গ্রাম ব্লকের সাদল, শংকরপুর সেই সময় ছিল বোমা বাধার জন্য বিখ্যাত। রাজনৈতিক মদতে ঘরে ঘরে বোমা তৈরি হতো। খুন জখম ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। একটি ছাগলের জীবনের দাম ছিলো মানুষের চেয়ে বেশি।

এখানকার অধিকাংশ মানুষই অল্প শিক্ষিত বা নিরক্ষর। জমির অভাবে এবং শিল্পের অভাবে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যেতেন। এবং বেশিরভাগ মানুষই শূন্য হাতে শরীরে রোগ নিয়ে ফেরত আসতেন।

মুম্বাই বা কেরলে একটা ঘরে তাঁরা গাদাগাদি করে পশুর মতো থাকতেন। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। অসুস্থ হলে মালিক কোনো দায় দায়িত্ব নিতেন না। তাঁকে হাওড়া বা শিয়ালদার ট্রেনে তুলে দিয়ে দায় সারতেন।

কিভাবে যে পরিযায়ী শ্রমিকটি শেষ পর্যন্ত মৃতপ্রায় অবস্থায় খড়গ্রাম হাসপাতালে এসে পৌঁছাতেন, সেটা ছিল একটা রহস্য। তাঁরা বেশি আক্রান্ত হতেন ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মায়। তাছাড়া এইচ আই ভি, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগও বিরল ছিল না। মুম্বাই থেকে যাঁরা আসতেন তাঁদের ম্যালেরিয়া সহজে সেরে যেতো। কিন্তু যারা ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে বিভিন্ন খনিতে কাজ করতেন, তাঁদের ম্যালেরিয়া ছিলো ভয়ংকর।

তখন ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার আর্টেসুনেট কম্বিনেশন থেরাপি সবে চালু হয়েছে। তবু্ও সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও কয়েকজন জঙ্গলের ম্যালেরিয়া রোগীকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।

তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা ও মৃত্যু দেখেও অন্যরা ভয় পেতেন না। বাবার মৃত্যুর পর একমাসের মধ্যেই ছেলে মুম্বাইয়ে রওনা দিয়েছে। বিধবা মা সম্মতি দিয়েছেন আরও ছোটো দুজন সন্তানের কথা ভেবে।

লক ডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা হঠাৎ করে সবার সামনে বে আব্রু হয়ে গেছে। কিন্তু এই সমস্যা আজকের নয়, বহু দিনের। এই সমস্যার সমাধানের জন্য দরকার জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় ভাবে কাজের ব্যবস্থা করা।

নিজের চোখে দেখেছি মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ কি অপূর্ব নকসি কাঁথা তৈরি করছেন, অথচ তার ঘরে চাল বাড়ন্ত। রেশম শিল্পীদের অবিস্মরণীয় কাজ দেখেছি। রাতে নিকানো দাওয়ায় বসে হ্যাঁচাক আর চাঁদের আলোয় অলৌকিক রায়বেঁশে নৃত্য দেখেছি, মুর্শিয়া গান শুনেছি।

কিন্তু সভ্যতার কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই। আস্তে আস্তে এসব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। মুর্শিদাবাদ পরিচয় পাবে সস্তায় শ্রমিক সরবরাহকারী জেলা হিসেবে।

করোনার দিনগুলিতে তাঁদের নিয়ে একটু নাড়াচড়া হবে। তারপর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে তাঁদের কথা কেউ ভাববে না।

PrevPreviousকী বৃষ্টি-ই, কী মিষ্টি
Nextসাইক্লোন ত্রাণে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রয়াসNext

2 Responses

  1. Pradip sardar says:
    May 28, 2020 at 9:51 pm

    পরিযায়ী শ্রমিক এখন গাঁ গঞ্জে এমন কি নিজের পরিবারেও অচ্ছুত ডাক্তার বাবু।

    Reply
  2. Pradip sardar says:
    May 28, 2020 at 9:54 pm

    ,এদের কথা কেউ ভাবেনা কোনোদিন।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

সার্থক জনম

January 26, 2021 No Comments

তিন তিনটে ধ্রুবতারা

January 26, 2021 No Comments

থালা ভরে ফুলফল সাজিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে নদীপথে বেলুড় মঠ যেতেন আমার ঠাকুরদা অশোক মিত্র| ঈশ্বর সম্বন্ধে যদিও আমার নাক কোঁচকানি সেই ছেলেবেলা থেকেই, তবুও কেন

করোনা রোগ নির্ণয়ে কফ পরীক্ষা?!

January 25, 2021 No Comments

ডক্টরস ডায়লগে নিয়মিত লেখক ডা. নিশান্ত দেব ঘটকের ও অন্যান্যদের একটি প্রবন্ধ চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে কোভিড ১৯ পরীক্ষার জন্য দুটি পদ্ধতির প্রচলন

করোনা অতিমারীতে ওষুধের জন্য হাহাকার ও ভারতের ওষুধ শিল্প, নবম পর্ব

January 25, 2021 No Comments

১৬ ই জানুয়ারি ২০২১ সালের প্রথমেই দেশের ১লক্ষ ১৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা গণটিকাকরণে অংশগ্রহণ করেছেন। আশা, আনন্দের সাথে মিশে আছে সংশয়, অস্বচ্ছতা ও বিভ্রান্তি। দেশের

ফর্সা হবার ক্রিম মাখার বিপদ

January 25, 2021 No Comments

রাধানগর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

সাম্প্রতিক পোস্ট

সার্থক জনম

Dr. Sumit Banerjee January 26, 2021

তিন তিনটে ধ্রুবতারা

Dr. Mayuri Mitra January 26, 2021

করোনা রোগ নির্ণয়ে কফ পরীক্ষা?!

Doctors' Dialogue January 25, 2021

করোনা অতিমারীতে ওষুধের জন্য হাহাকার ও ভারতের ওষুধ শিল্প, নবম পর্ব

Rudrasish Banerjee January 25, 2021

ফর্সা হবার ক্রিম মাখার বিপদ

Dr. Sarmistha Das January 25, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

292983
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।