Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

দ্বিতীয় ঢেউয়ের দিনগুলি ১৭

IMG_20210529_095744
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • May 29, 2021
  • 9:58 am
  • No Comments
মৃত্যু মিছিল
এরকম অকারণে মৃত্যু মিছিল কোনোদিনও দেখিনি। ডাক্তারি পাশ করার পর থেকেই একটানা রোগী দেখে যাচ্ছি। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডিউটি করেছি। মেডিকেল কলেজে মেডিসিনে হাউসস্টাফশিপ বা পোস্ট গ্রাজুয়েট করার সময় অনকলের দিনে চিরকাল নাইট ডিউটি দিয়েছি। এক এক রাতে পাঁচটি থেকে ছটি মানুষের ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে হয়েছে। তবুও এতটা অসহায় কোনদিন বোধ করিনি।
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য আন্তরিক ভাবে লড়েছি। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাব হয়তো ছিল, কিন্তু তা বলে চুপ করে বসে কারও মৃত্যু মেনে নিই নি। অনেক রোগী বেড পাননি। তবু মেঝেতেই রোগীর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এমন কী নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চেষ্টা করেছি। শুধু আমি একা নই, আমার সাথে অন্যান্য চিকিৎসক এবং জুনিয়ার চিকিৎসকরাও আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। নার্সদিদিরা, ওয়ার্ডবয় ভাইরা সাধ্যের বাইরে গিয়েও অনেক সময় সাহায্য করেছেন।
কিন্তু লড়াইয়ের সুযোগ না দিয়েই এতো সহজে প্রাণের অপচয় দেখিনি আমি। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। সেই দুর্মূল্য জীবণ এতো অনাড়ম্বর ভাবে চলে যেতে দেখে স্বব্ধ হয়ে যাচ্ছি।
আমার এক অত্যন্ত পরিচিত ছেলের বাবা কোভিডে আক্রান্ত হলেন। জ্বর, কাশি কিছুতেই কমছে না। স্যাচুরেশনও কমছে। ছেলেটিকে বললাম, ‘হাসপাতালে ভর্তি কর।’
ছেলেটি বলল, ‘দাদা, হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। তুমি কী কী লাগবে লিখে দাও। আমি সব ব্যবস্থা করছি।’
বললাম, ‘বাড়িতে ম্যানেজ করা যাবে না। তুই সরকারি হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন কর। বেড যোগাড় কর। সে সময়টুকু বাড়িতে অক্সিজেন দে। কিন্তু ভর্তি করতেই হবে।’
পরের দিন ছেলেটি আবার এলো। বলল, ‘বাবা কিছুতেই হাসপাতালে ভর্তি হবে না। অক্সিজেন দিলে স্যাচুরেশন ৮৯-৯০% থাকছে। তুমি পরীক্ষা নিরীক্ষা কী কী করতে হবে লিখে দাও।’
নিমরাজি হয়ে লিখে দিলাম। আবার বললাম, ‘তুই বাবাকে ভর্তির চেষ্টা কর।’
রিপোর্ট দেখাতে এলো। সি আর পি, ডি ডাইমার সবকিছুই বেশ বেশি। বললাম, ‘রিপোর্ট ভাল না। ভর্তি কর।’
ও বলল, ‘বাবা বেশ ভালো আছে। অক্সিজেন ছাড়াই ৯২-৯৩% স্যাচুরেশন থাকছে। জ্বরও আসছে না। ভাবছি কালকেই সিটি স্ক্যানটা করে নেব।’
আমিও স্বস্তি বোধ করলাম। এতোগুলো দিন যখন কেটে গেছে, জ্বরটাও যখন কমে গেছে তখন একটু ভরসা করাই যায়। বললাম, ‘তাহলে সাবধানে রাখিস। খুব প্রয়োজন ছাড়া যেন বিছানা থেকে না নামেন।’
দুদিন পর তখন কাকুর দোকানে রোগী দেখছি, ফোন পেলাম, ছেলেটি আকুল হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে, ‘বাবাকে বাঁচাতে পারলাম না গো। বিকাল থেকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট। যোগাযোগ করে কলকাতার এক নার্সিং হোমে নিয়ে গেছিলাম। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই বাবা মারা গেছেন।’
যখন ডেথ সার্টিফিকেট লিখছিলাম ছেলেটির মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। শুধু মনে হচ্ছিল কেন আমি সেদিন আরো জোড় দিয়ে বলতে পারিনি এনাকে হাসপাতালে ভর্তি করতেই হবে। তাহলে হয়তো ওর বাবা এখনও বেঁচে থাকতেন।
তবে এর থেকেও অকারন মৃত্যু দেখেছি। আমারই এক রোগী পাশের পাড়ায় থাকেন। তাঁর সুগার, প্রেশার, হার্টের সমস্যা, কিডনির সমস্যা সবকিছুই আছে। বাড়ির লোক ওনাকে আনলেন জ্বর নিয়ে। তিনদিন ধরে জ্বর, মুখে কিছুই খেতে পারচ্ছেন না। বাড়ির লোককে বললাম, ‘হাসপাতালে ভর্তি করলে ভালো হয়। অন্তত কাল কোভিড পরীক্ষাটা করবেন। পজিটিভ এলে সরাসরি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করবেন। বাড়ির লোকটি একজন যুবক ছেলে। সম্পর্কে রোগীর নাতি। সে ঘাড় নেড়ে জানালো ঠিক আছে।
যুবকটি আসলো ঠিক আটদিন পর। কাঁচুমাচু মুখে বলল, ‘ডাক্তারবাবু, একবার যেতে হবে। দাদু মারা গেছে।’
গিয়ে দেখলাম, কোভিড টেস্টটাও করা হয়নি। একেবারে বিনা চিকিৎসায় বৃদ্ধ মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরও তাঁর ঘরে কেউ ভয়ে ঢুকছে না।
তবে হাসপাতালে পাঠালেই যে সব সমস্যার সমাধান তাও নয়। একজন পঞ্চাশোর্ধ ভদ্রলোক বাড়ির চেম্বারে এলেন টোটো করে। মাথা তুলে ঠিক করে বসতেই পারছেন না। স্যাচুরেশন ৭৩%। বললাম। ‘এখুনি হাসপাতালে ভর্তি না করলে একে বাঁচানো যাবে না।’
পরের দিন গৌড়ের কাছে খবর পেলাম ভদ্রলোককে নিয়ে ওঁর বাড়ির লোক বারাসতে একটি সরকারি হাসপাতাল সহ আরো তিনটি নার্সিং হোমে ঘুরেছেন। কোথাও ভর্তি নেয়নি। শেষপর্যন্ত তাঁকে বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল। অক্সিজেনেরো ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভদ্রলোক রাতেই বাড়িতে মারা গেছেন।
রোজই দু’একজন রোগীর মৃত্যু সংবাদ শুনছি। আত্মবিশ্বাস ক্রমশ কমে যাচ্ছে। কি করলে মরণাপন্ন রোগীদের বাঁচানো যাবে বুঝতে পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে চেম্বার টেম্বার ছেড়ে ছুড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু মহামারীর মধ্যে সেটাও সম্ভব নয়। মৃতব্যক্তির রোগীর পরিবারের মুখের দিকে তাকালে এক অপরাধ বোধ ঘিরে ধরছে। বারবার মনে হচ্ছে, চিকিৎসক হিসাবে তাঁরা আমার উপর যে ভরসা করেছিলেন, আমি সেই ভরসার মর্যাদা দিতে পারিনি।
কেউ কী সুস্থ হচ্ছেন না। নিশ্চয়ই হচ্ছেন। কিন্তু মুশকিল হলো সুস্থ রোগীদের স্মৃতি বেশীদিন থাকে না। মৃতরোগীরা দীর্ঘদিন হৃদয়ে বেঁচে থাকেন। নির্ঘূম রাতে তাঁদের কথা কেবলই মনে পরে। জয় নয়, মানুষ সারাজীবন কেবল পরাজয়ের স্মৃতিগুলিকেই বয়ে চলে।
PrevPreviousবজ্রানলে আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে, একলা জ্বলো রে
Next“লকডাউন”-এর মতো নির্মম বিধিনিষেধ রদ করা হোক। সহমত হলে স্বাক্ষর করুন।।Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত‍্যুদর্শন ও একটি ডাক্তারের মৃত্যু ।

August 13, 2022 No Comments

বিধান রায় ভগবান ছিলেন না। সামান্য মানুষ মাত্র। কবির প্রস্টেট গ্ল‍্যান্ডের জন্য ইউরিন সম্পূর্ণ আটকে কিডনি ফেইলিওর হচ্ছিল (high urea level)। এবং উনি ভয়ানক ইউরিন

পত্র সাহিত্য (অণুগল্প অথবা, একটা আকুল চিঠির মুসাবিদা)

August 13, 2022 No Comments

শ্রীচরণকমলেষু, আমার এক এবং একমাত্র মেরুদণ্ডমশাই, শারীরিক আর মানসিক উৎপীড়নের আশঙ্কায় আপনাকে সদাসর্বদা দুচ্ছাই করেছি। বলতে কী একরকম তাড়িয়েই দিয়েছি। যদিও নির্দ্বিধায় আজ স্বীকার করি

🩸🩸রক্ত সঞ্চালনের ইতিহাস: মেডিসিন না মার্ডার? পর্ব ২

August 13, 2022 No Comments

রক্তই নাকি আত্মার প্রকৃত আশ্রয়স্থল (Old Testament) । দ্বিতীয় শতকে ধারণা হলো আত্মা থাকে লিভারে (Galen)। পরবর্তীতে শোনা গেল আত্মা বসত করে ব্রেনে (Descartes)। ব্রেনের

এসএসকেএমে মেরুদণ্ডের জন্ম (একটি কল্প-গল্প)

August 12, 2022 No Comments

ল্যাবরেটরির নামটা ভজঘট। সলিড সায়েন্টিফিক কাইনেটিকস অফ মিউটেশন সংক্ষেপে এসএসকেএম। আসলে কাজ হয় জেনেটিকস আর ইভোলিউশন নিয়ে। রাষ্ট্রীয় কাজ। অতীব গোপন, বলাই বাহুল্য। ল্যাবে আজকে

মন নিয়ে দু’চার কথা

August 12, 2022 No Comments

ড শুভমিতা মৈত্রের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। আলোচনা ডা অমিত চক্রবর্তীর সঙ্গে।

সাম্প্রতিক পোস্ট

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত‍্যুদর্শন ও একটি ডাক্তারের মৃত্যু ।

Dr. Dipankar Ghosh August 13, 2022

পত্র সাহিত্য (অণুগল্প অথবা, একটা আকুল চিঠির মুসাবিদা)

Dr. Arunachal Datta Choudhury August 13, 2022

🩸🩸রক্ত সঞ্চালনের ইতিহাস: মেডিসিন না মার্ডার? পর্ব ২

Dr. Kanchan Mukherjee August 13, 2022

এসএসকেএমে মেরুদণ্ডের জন্ম (একটি কল্প-গল্প)

Dr. Arunachal Datta Choudhury August 12, 2022

মন নিয়ে দু’চার কথা

Dr. Subhamita Maitra August 12, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

403803
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।