গায়ক K K র মৃত্যুর জন্য রূপঙ্কর বাগচী মোটেই দায়ী নন। তিপ্পান্ন-চুয়ান্ন বছরের K K হার্ট এটাকে মরে গেছেন এই বলে হা-হুতাশ করার আগে, কয়েকটা অপ্রিয় সত্য কথা মনে রাখা দরকার।
নজরুল মঞ্চ আগে open theatre ছিল। তাকে যখন closed auditorium করা হয়েছে, তখন তার ventilation আর crowd management-এর দায়িত্বে যারা আছে তাদের সরাসরি প্রশ্ন করা হোক কেন আসনসংখ্যার চেয়ে এত বেশি লোক জমায়েত হয়েছিল আর AC-গুলো কেন কাজ করছিল না?
K K-র হৃদযন্ত্র বিকল হয়েছে হঠাৎ করে। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ হোটেলে অথবা হোটেল থেকে হাসপাতালের পথেই মৃত্যু। গান গাইতে গাইতে অস্বাভাবিক ঘামছিলেন৷ খুব কম সময়ের মধ্যে extreme dehydration-এর ফলে অসুস্থ হয়েছেন। সব অকস্মাৎ মৃত্যুকে “হার্ট এটাক” বলে চালিয়ে দেবার প্রবণতা মিডিয়ার আছে। আগে থেকে যদি হার্টের কোন সমস্যা থাকে, যা এতদিন অজানা ছিল, সেটা আরো বেড়েই যাবে এই প্রচন্ড exhaustion এ। তাছাড়া, উনি অসুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও কেন ওঁকে আগেই সোজা মঞ্চ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না, তার জবাবদিহি আয়োজকদের করতেই হবে। উনি যখন বার বার বলেছেন গরম লেগেছে আর কষ্ট হয়েছে,বার বার AC চালাতে বলেছেন, তখন কেন ওঁর কথা শোনা হয়নি?
এটা একটা সাংঘাতিক দুর্ঘটনা। বদ্ধ ঘরে suffocated হয়ে মরে যাবার মত। Protocol মেনে চললে, অমানুষিক আতিশয্য কম করলে, এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। কলকাতার বদনাম হল এতে। পশ্চিমবঙ্গের বদনাম হল। একটা এত বড় সাংস্কৃতিক মঞ্চ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা, অনুষ্ঠানটির আয়োজক যারা তাদের এরকম ঔদাসীন্য মেনে নেওয়া যায়?
একজন মানুষ অসুস্থ বোধ করলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে না গিয়ে, তিনটে বড় হাসপাতাল পেরিয়ে, হোটেলে কেন নিয়ে যাওয়া হয়, এটাই তো স্বাভাবিক বুদ্ধিতে বোঝা যাচ্ছে না।