আমরা এসব জানি না, শুনি না, দেখি না, আলোচনাও করি না!
আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে! ঠিক যেমন কয়েক দশক আগে সাদা কালো বাংলা বা হিন্দী ছবিতে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর করুণ বিয়োগান্তক পরিণতি হিসেবে যক্ষ্মা বা টিউবারকিলোসিসের ব্যবহারটা আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল।
ব্যর্থ প্রেমিক প্রেমিকাদের জ্বর হত, কাশিতে রক্ত উঠত, সাদা কালো ছবিতে সে কালো রক্ত সাদা কাপড়ে তাঁরা লুকিয়ে মুছে ফেলতেন! আমাদের প্রজন্মের দাদু দিদা এমনকি বাবা মা’রাও সে সব সিনেমা দেখে চোখের জল মুছতেন! আমরাও!
ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার আনন্দীবাই যোশী থেকে মেঘে ঢাকা তারার নীতা সবাই কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিল! যেমন বাঁচতে চেয়েছিল তরুণ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক রেজা!
আমরা এসব জানি না, শুনি না, দেখি না, আলোচনাও করি না!
আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে!
অথচ,
১. প্রতিদিন অন্তত ৬০২ জন ভারতীয় টিবিতে মারা যান! বছরে ২ লক্ষ কুড়ি হাজার!
২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবমত, শুধু ২০১৭ সালেই ভারতে, ২৭ লক্ষ মানুষ টিবিতে আক্রান্ত হন, আর ৪ লক্ষ মানুষ মারা যান। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০৯৫ জন!
৩. ২০২০ সালে দুনিয়া জুড়ে হওয়া সব নতুন রোগীর ২৬ শতাংশ ছিলেন ভারতীয়!
৪. ২০২১ সালে সারা পৃথিবীতে ১৬ লক্ষ মানুষ টিবিতে মারা যান।
৫. সারা বিশ্বে টিবিতে মারা যাওয়া মানুষের ৩৪ শতাংশ ভারতীয়!
৬. ২০২০ সালে, ভারত সরকার জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার কর্মসূচী নিয়েছে ।
৭. মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ও টোটাল ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিবি (MDR-TB and TDR-TB) এই প্রতিশ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে বড় বাধা।