মিলিটারী হাসপাতাল আমেদাবাদ ও ভারত পাকিস্থান যুদ্ধ
Training-এর পর ছুটি কাটিয়ে আমি family নিয়ে আমেদাবাদ যাত্রা করলাম ১৯৬৪ সালে। তখন হাওড়া থেকে কোন direct train ছিল না, তবে একটা বগি direct যেত। সেটা Bombay Mail-এর সঙ্গে যুক্ত করত এবং জলগাঁও স্টেশনে কেটে দিত। একটা passenger train ঐ বগি নিয়ে সুরাট হয়ে আমেদাবাদ যেত। যাইহোক মালপত্র এবং family নিয়ে পৌঁছালাম ২ রাত কাটিয়ে।
হাসপাতালের পাশে MES-এর একটা Inspection Bunglow-র ঘরে গিয়ে উঠলাম।
সেদিনই unit-এ join করার পর Command Officer কর্নেল আদক বললেন—তোমাকে Dharangdara বলে একটা ছোট station-এ আমাদের hospital-এর একটা ছোট section hospital আছে—সেখানে যেতে হবে। ওখানে family accomodation আছে পেয়ে যাবে। Section Hospital কয়েক জন essential staff নিয়ে একটু হাসপাতালের সুবিধা প্রদান। Emergency হলে ambulance-এ আমেদাবাদে transfer.
মালপত্র আর খুললাম না। হাতে পয়সাকড়ি বিশেষ ছিল না। CO-র কাছে cheque দিয়ে কিছু পয়সা নিলাম। ধারাংধাড়া যেতে আমেদাবাদ থেকে সুরেন্দ্রনগরে train change করে যেতে হয় সেই অখ্যাত শহর যার নাম কখনো শুনিনি, প্রথম প্রথম ঠিকমত উচ্চারণও করতে পারতাম না। মিসেসকে বললাম ধারধারা গোবিন্দপুরে চলেছি দ্বিতীয় honeymoon-এ।
Dharangdara গুজরাটের একটি ছোট শহর। আগে মহারাজার স্টেট ছিল, রাজপ্রসাদ ও বাগান আছে। ওখানে একটা বড় chemical factory ছিল। Army-র একটা battalian ছিল। আর MES-এর in-charge ও staff থাকত। আমি section hospital –এ গিয়ে উঠলাম। MES –এর in-charge উপস্থিত ছিল আমি family নিয়ে যাচ্ছি বলে। ওখানে family নিয়ে কেউ আসে না, MES in-charge নতুন ৫টা officer’s family quarter বানিয়েছে, সবই খালি। আমাকে পছন্দের যে কোন quarter নিতে বলল। Hospital-এর কাছাকাছি quarter নিলাম। কুন্তলাকে নিয়ে সেখানে ঢুকলাম। নতুন চকচকে বাড়ী furniture সমেত। ভালই লাগল। কিন্তু জানালাগুলোয় কোন grill নেই। ওখানে দেওয়ার রেওয়াজ নেই। কারণ ঐ শহরে চুরি হয় না। MES in-charge-কে request করে packing-এর পাত লাগিয়ে নিয়েছিলাম, কেন না জানালা খুলে ঘুম আসছিল না।
ওখানে army রাখার কারণ শুনলাম কিছু দুরেই Rann of Kutch তার পাশে পাকিস্থানের border area—সেখানে গন্ডগোল শুরু হয়েছিল।
Rann of Kutch পৃথিবীর বৃহত্তম salt desert, 7500 SqKm.. ওখানকার বালিমাটি নরম তুলতুলে। বেশীর ভাগ বসবাসের অযোগ্য। Oct থেকে Feb যাওয়া যায় মরুভূমি দেখতেই। কিছু আদিবাসী লোক বসবাস করে—ওখানে যাতায়াত করে ও খবরাখবর দেয়।
SectionHospital-এ কাজ খুবই কম। সকালে কিছু রোগী দেখা আর unit-এর জওয়ানদের থাকা ও খাওয়ার নজর দেওয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখা। এছাড়া আমেদাবাদ থেকে ঠিকমত ওষুধপত্র আনা এবং প্রয়োজন হলে patient transfer করা। হঠাৎ কোন emergency হলে quarter থেকে আসার ডাক পড়ত। মাঝে মাঝে battalian visit করতে হত।
কুন্তলা কাজের লোক পেয়ে গেল। তার সঙ্গে বাজার যেত আর ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকত। ১৯৬৫ সাল হঠাৎ order এল সকলকে সঙ্গে নিয়ে Section Hospital নিয়ে যেতে হবে আমেদাবাদের পূর্ব দিকে Palampur-এর কাছে Deesa বলে একটা ছোট শহরে। সেখানে একটা hospital establish করতে হবে। Static unit-কে এইরকম ভাবে move করা খুবই কঠিন কাজ। আমার আমেদাবাদ hospital খুবই সাহায্য করেছিল। কারণ পাকিস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ আসন্ন। রাজস্থান ও গুজরাটের মাঝে Suigam Sector-এ যে battalion ছিল তার medical cover দেওয়া। দুরত্ব বেশী থাকার জন্য আমার hospital staging-এর কাজ করত।
আমি family ও মালপত্র নিয়ে Deesa-র Civil Hospital-এর কাছে guest house-এ গিয়ে উঠলাম। ওখানের caretaker ও তার মেয়ে কুন্তলাকে সব সাহায্য করল সংসার পাততে। ওখানের মানুষেরা খুবই সরল এবং সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত।
Civil Hospital-এর দোতালায় আমাদের hospital establish করলাম। Civil Hospital-এর ডাক্তার ও staff সবসময় সহযোগী। আমার সব staff-কে নির্দেশ দিলাম—যেন ওদের সঙ্গে অসৎ ব্যবহার না করে।
ওখানে একটা adhoc station HQ তৈরী হল। সেখান থেকে সকলের ration supply হত। আমি আমাদের hospital থেকে লোক পাঠিয়ে medicine আনতাম। Palampur থেকে train-এ করে যাতায়াত হত।
একবার Suigam Sector-এ গিয়েছিলাম border-এ আমাদের troops-এর জীবনযাত্রা দেখতে। বালির মরুভুমি। লোকবসতি প্রায় নেই। রাস্তা হারিয়ে ভুল রাস্তায় যাওয়ার আশঙ্কা। সঙ্গে জল ও কিছু শুকনো খাবার নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক।
দিশায় সাধারণ বেশীরভাগ নিরামিষাশী, মাছ পাওয়াই যায় না। কিছুদিন পর খবর পেলাম অদূরে একটা নদী আছে—সেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। Station HQ থেকে গাড়ি নিয়ে station-এর কিছু লোক এবং আমাদের কয়েকজন গেল। মাছ ধরার জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। Grenade ছুড়ে প্রায় ২-৩ টন গাড়ি ভর্তি করে মাছ নিয়ে এল, আমাদের জন্য অল্প রেখে বেশীরভাগ যুদ্ধরত জওয়ানদের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হল। এভাবে প্রায় মাসখানেক কাটল। আমাদের sector-এ বিশেষ কোন casualty হয়নি. সাধারণ অসুস্থতা ছাড়া ।
কিছুদিন পরে cease fire ঘোষণা হল। আমাদেরও পাততাড়ি গোটানর সময় হল। সকলকে সাবধান করলাম—মালপত্র ঠিকমত pack করতে এবং আমাদেবাদে ফিরে যাওয়ার জন্য তৈরী থাকতে। আমার চিন্তা হল—আমেদাবাদে আমার কোন আস্তানা নেই। Family নিয়ে যাব কোথায়? অল্প ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার plan করলাম। আমার next senior একজন Junior Commissioned Officer (JCO)। তাকেই unit-এর দায়িত্ব দিয়ে কুন্তলাকে নিয়ে বাড়ি চললাম। কুন্তলাকে বাড়ি ছেড়ে আমেদাবাদে ফেরার plan, Commanding Officer ছুটি মঞ্জুর করল।