আমাদের কোনো দুর্গা হয়না, দুর্গা আলাদা সব্বার, কারো কারখানা তালা দেওয়া ছুটি, কারো চারখানা রোববার।
কেউ ভাবে কবে কি মেনু হবে, কেউ রুটি খুঁজে হন্যে,
কোনো উৎসব হয় না সমান কখনো সবার জন্যে।
বেতন অথবা স্বজন কেড়েছে যার পরিবারে করোনা,
তার কাছে দেবী সুখদায়ী নন, নিখাদ বিষাদ-বরণা।
ধুকপুকে বুকে রোগের সমুখে আশরীর যারা ঢাকে
এ পুজোতে তারা ভয়ে জর্জর, প্রতি বোল শুনে ঢাকে।
প্রতিমাশিল্পী মারীকে মাড়িয়ে হেসেছেন অবশেষে,
পুরো রোজগার করেছিলো মাটি স্রেফ কিছু লোক কেশে।
ডেকরেটার শুধেছেন ধার, প্যান্ডেল জুড়ে সুষমা,
প্রার্থনা তাঁর, কোভিড ছড়ালে অন্য কাউকে দুষো মা।
পরিযায়ী ঘরে ফিরেও দেখেছে রোজগারহীন অনটন,
উৎসব নয়, পুজো তার কাছে অভাবে ভেঙানো অঘটন।
পড়শি ফুচকাওলাটির মনে ঠিক বিপরীত ফূর্তি,
বহুকাল পরে ভিড়ে রোজগারে আরামে উদরপূর্তি।
কারো কাছে পুজো মুক্ত বাতাস, কারোর কোভিডছলনা,
দুর্গা কি করে এক হতে পারে , তোমরাই ভেবে বলো না।
আমার দুর্গা অশ্রুসাগরে, তোমার হয়তো সোনালী,
জীবনের মানে যে যার নিজের আবেগ বওয়ার প্রণালী।
আমার দুর্গা তোমার দুর্গা নতুন কি আর শোনালি।