প্রশ্নঃ শীত চলে এলেও ঠান্ডা সেভাবে পড়ছে না। আর তাই ঘরে ঘরে বাচ্চাদের নানান অসুবিধা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি কাশি তো আছেই, অতিরিক্ত দূষণের কারণে কারো শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। এই অবস্থায় তাই সতর্কতা হিসেবে কি করনীয়?
প্রশ্ন করেছেনঃ রত্না দেব, শ্যামবাজার।
উত্তরঃ বাচ্চাদের অধিকাংশ সংক্রামক রোগগুলির প্রকোপ ঠান্ডা পড়লে কমে যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ডেঙ্গি ভাইরাস ১৬-৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। তাই শীতে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেলে এসব রোগ আর হয়না বললেই চলে। পেটের রোগ বা চর্মরোগগুলির ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। অবশ্য, এর ব্যতিক্রমও আছে। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জা। শীতে ঘরের জানালা, দরজা বন্ধ থাকে এবং মানুষের ঘরের বাইরে সময় কাটানো কমে যায়। এই অবস্থায় বাড়ির মধ্যে কারও হাঁচি-কাশি হ’লে সেখান থেকে রোগ সহজে ছড়িয়ে যেতে পারে। সাধারণ স্বাস্থ্য সচেতনতা যেমন, নাক-মুখ চেপে হাঁচি-কাশি, পরিষ্কার করে হাত ধোওয়া, একই রুমাল বা গামছা ব্যবহার না করা ইত্যাদি মেনে চলা দরকার।
তাপমাত্রার পরিবর্তন, বায়ুদূষণ ইত্যাদি মিলিয়ে হাঁপানি বা অ্যালার্জিঘটিত রোগগুলির প্রকোপ বাড়ে এ সময়। ধূলোময়লার মধ্যে গেলে নাক, মুখ রুমাল দিয়ে বন্ধ রাখা, ভালো ধরনের মাস্ক ব্যবহার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। লেপ, তোষক ঝাড়াঝাড়ি করার ধুলোবালি নাকে গেলে অনেকের শ্বাসকষ্ট, বারবার হাঁচি ইত্যাদি হয়। এসব রোগে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা করালে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। ডাক্তার প্রয়োজনে ইনহেলার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন। ইনহেলার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণাগুলো কেটে যাওয়া খুব জরুরি। আর একটা কথা, এসব শ্বাসকষ্টে পাশ করা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যাবেন না।
উত্তর দিয়েছেনঃ ডা সৌম্যকান্তি পন্ডা