An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

ডাক্তার যখন গোয়েন্দা

IMG_20200207_234709
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • February 8, 2020
  • 9:17 am
  • 17 Comments

সত্যবানের জীবনে সমস্যার শেষ নেই। এবং এর জন্য তাঁর বাবা বিরূপাক্ষবাবু দায়ী বলে তিনি মনে করেন। ঐ একখানা ‘সত্যযুগ মার্কা’ নাম দিয়েই জন্মের পর তাঁর অর্ধেক সর্বনাশ করে দিয়েছেন।

ছোটবেলাতে মিথ্যে বললেই আত্মীয়স্বজন সকলেই বলত, ‘বাবু, তোমার নাম সত্যবান! সত্যবান’রা কখনও মিথ্যে বলেনা।’ সেই থেকে সত্যি কথা বলার অভ্যাস হয়ে গেছিল তাঁর। হাজার চেষ্টা করেও তিনি মিথ্যে বলতে পারেন না।

কিন্তু সবসময় সত্যি বলা যে কতটা হৃদয় বিদারক হতে পারে তিনি হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন। এখনও বুঝে চলেছেন।

ফুল শয্যার রাত্রে নতুন বউ সঙ্গীতা চরম রোমান্টিক ভাবে কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলেছিলেন, ‘কিগো, আগে কারো সাথে লটঘট ছিল নাকি?’

সত্যবান দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে, ছাদের টিকটিকিটাকে একদৃষ্টিতে দেখে প্রশ্নটা কাটিয়ে দিতে চাইছিলেন। সঙ্গীতা দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন করলেন, ‘কিগো উত্তর দিচ্ছ না যে…’

সত্যবান আর সামলাতে পারলেন না। তাঁর কলেজের সহপাঠিনী স্বর্ণালীর কথা গড় গড় করে বলে ফেললেন। এমনকি কেমিস্ট্রি ল্যাবে কি ভাবে প্রফেসর চ্যাটার্জীর দৃষ্টি এড়িয়ে স্বর্ণালীকে প্রথম চুমু খেয়েছিলেন, সে গল্পও নতুন বউয়ের কাছে করে ফেললেন।

ফলাফল হলো ভয়াবহ। ফুলশয্যার বাকি রাত সঙ্গীতা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন। বিয়ের পরে প্রায় একমাস সঙ্গীতা তাঁর সাথে ভালো ভাবে কথা বলেননি। আজও কোনও কারণে মতান্তর হলে সঙ্গীতা কবর খুঁড়ে স্বর্ণালীর প্রসঙ্গ তুলে আনে। যদিও স্বর্ণালী বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন, একজন আমেরিকানকে বিয়ে করে ওখানকার নাগরিক হয়ে গেছেন এবং তাঁদের দুটি ছেলেমেয়ে আছে।

সত্যবান জীবনে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি। তিনি এসডিও অফিসে কেরানীর চাকরি করেন। তাঁর সত্যবাদিতার জন্য এসডিও সাহেব তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে এসডিও সাহেব অত্যন্ত দরদ নিয়ে ‘আকাশ ভরা, সূর্য তারা’ গাইলেন। অসুরে বেসুরে দরদ দিয়ে গাইলে যা দাঁড়ায়, গানটি তাই দাঁড়িয়েছিল। তবু সকলেই প্রশংসা করছিল। এসডিও সাহেব বলে কথা!

সাহেব স্বয়ং সত্যবানকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন, ‘আপনি কিছু বললেন না? গানটা কেমন হয়েছে?’ সম্ভবত তিনি জনতার স্তুতি শুনে নিজেকে দেবব্রত বিশ্বাস ভাবছিলেন।

সত্যবান ঢোক গিললেন। অনেক চেষ্টা করলেন মুখ না খোলার। কিন্তু পারলেন না। বলে বসলেন, ‘একেবারে জঘন্য হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে আপনার কান মুলে দিতেন।’

এসডিও সাহেব নেহাত ভদ্র বলে কিছু বললেন না। কিন্তু পরের দিন থেকেই সত্যবানের উপর কড়া নজরদারি শুরু হল। অফিসে ঢুকতে এক মিনিট দেরী হলেই খাতায় লাল কালির দাগ। পান থেকে চুন খসলেই শোকজ। সত্যবানের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠল।

তাও সত্যবান মেনে নিলেন। এই সব জটিল পরিস্থিতিতে তিনি মহাপুরুষদের কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহ করেন। বিবেকানন্দের একটা বাণীকে তিনি জীবনের ধ্রুব সত্য করে নিলেন, “সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়, কিন্তু কোনও কিছুর জন্যই সত্যকে ত্যাগ করা যায়না।”

কিন্তু এ’হেন সত্যবানকেও শুনতে হল তিনি মিথ্যে কথা বলছেন। সত্য বলার জন্য যিনি জীবনে এত বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করছে না, এর থেকে বড় দুঃখের আর কি হতে পারে!

কয়েকদিন ধরেই সত্যবানের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। সকালের দিকটায় তাঁর মাথাটা কেমন ঘোরে। দুর্বল লাগে। কথাও জড়িয়ে যায়। সকাল সকাল ভাত খেয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে তিনি অফিসে যান। ভাত খাওয়ার পর পরই তাঁর শরীর খারাপটা বেড়ে যায়।

তিনি একটি ওষুধের দোকানে প্রেশার মাপিয়েছেন। প্রেশার ঠিকই আছে। সুগারটাও পরীক্ষা করলেন। সেটাও স্বাভাবিক। একজন ডাক্তার দেখানো দরকার। কিন্তু সময় হচ্ছে না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এসডিও অফিসের সব কর্মচারীরা ভীষণ ব্যস্ত। বাড়ি ফিরতে রোজই রাত নটা বাজছে।

ভোটের জন্য রাস্তায় পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে। গাড়ি, বাইক সব দাঁড় করিয়ে চেক করা হচ্ছে। সত্যবানকেও দাঁড়াতে হল। তিনি লাইসেন্স, গাড়ির ব্লু বুক, ইন্সোরেন্স, পলিউশন কন্ট্রোলের কাগজ- সব দেখালেন। পুলিশের লোকটি খুশি হয়ে বললেন, ‘বাহ, সবই তো ঠিক আছে। এবার এই যন্ত্রে একটা ফুঁ দেন। তারপর নিশ্চিন্তে চলে যান।’

‘এটা কি যন্ত্র?’

‘ব্রেথ অ্যালকোহল অ্যানালাইজার। কেউ মদ খেয়ে গাড়ি চালালে ধরা পড়বে। এটি নিঃশ্বাস বায়ুতে অ্যালকোহলের পরিমাণ মাপতে পারে।’

পুলিশের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, এই সাতসকালে লোকে মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে কিনা পরীক্ষা করছে। সত্যবান যন্ত্রটির নলে জোরসে ফুঁ দিলেন। পুলিশটির ভুরু কুঁচকে উঠল। বললেন, ‘আরেকবার ফুঁ দেন।’

সত্যবান আবার ফুঁ দিলেন। পুলিশটি বললেন, ‘একি মশাই, আপনি সাত সকালে মদ খেয়ে বিডিও অফিসে চাকরি করতে যাচ্ছেন। তাও ভোটের কাজ!’

‘কি আজে বাজে কথা বলছেন!!’

‘আজ্ঞে, আমি কিছুই বলছি না। যা বলার আমার এই যন্ত্র বলছে। আর জানেন তো, মানুষ মিথ্যা বলতে পারে। কিন্তু যন্ত্র মিথ্যা বলেনা।’

সেদিন সামান্য কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে তিনি মুক্তি পেলেন। কিন্তু দুদিন বাদে একই ঘটনা। ব্রেথ অ্যালকোহল অ্যানালাইজারের পরীক্ষায় তিনি আবার ফেল। হচ্ছেটা কি? যন্ত্র গুলো কেনার সময়ে নির্ঘাত বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। বেশী দামে রদ্দি মাল গছিয়ে দিয়েছে। কোনও বড় অফিসার বড়সড় কাটমানি পেয়েছেন। আর তার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে তাঁর মতো একজন সাধারণ মানুষকে।

সারাদিন তিনি মুখ গোমড়া করে থাকেন। স্ত্রী সঙ্গীতা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি হয়েছে গো? শরীর খারাপ নাকি?’

সত্যবান বলব না, বলব না ভাবতে ভাবতেও বলে ফেললেন। সব শুনে সঙ্গীতা হাউ মাউ করে কান্না জুড়লেন, ‘সে কি গো! তুমি সাত সকালে মদ খেতে শুরু করেছো? আমার বাবা গো, তুমি দেখে শুনে এ কার সাথে আমার বিয়ে দিলে গো? একে তো লম্পট। স্বর্ণালী বলে একটা মেয়ের সাথে পরকীয়া করেছে। অন্য দিকে মাতাল।’

সত্যবান বললেন, ‘যে সময় আমার আর স্বর্ণালীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল, সেসময় দুজনের কারোরই বিয়ে হয়নি। অতএব পরকীয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

‘ছি ছি, নিজের লাম্পট্যের পক্ষে যুক্তি দিতে তোমার আটকাচ্ছে না! তোমাকে দেখলেই মনে হয় তুমি মাতাল। কদিন ধরেই আমার সন্দেহ হচ্ছিল। মাতালদের মতো কথা জড়িয়ে যায়। এদিকে যেতে গিয়ে ওদিকে চলে যাও।’

সত্যবান অস্বীকার করতে পারলেন না। কয়েকদিন ধরেই তাঁর মনে হচ্ছে সবসময়, বিশেষ করে ভাত খাওয়ার পরে মনে হয় তিনি যেন নেশা করে আছেন। মাথা টলছে। চোখ বুজে ঝিম মেরে থাকতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু মদ তো দূরের কথা, কলেজ জীবনে বন্ধুদের অনেক প্ররোচনা সত্ত্বেও তিনি বিড়ি সিগারেটও ছুঁয়ে দেখেননি। কলেজে স্বর্ণালীর সাথে বছর দুয়েকের প্রেম ছাড়া আর কিছুই তিনি করে উঠতে পারেন নি।

সত্যবান ঠিক করলেন ডাক্তার দেখাবেন। বাড়ির কাছেই এক নামকরা কর্পোরেট হাসপাতাল। সেখানেই গেলেন। ডাক্তারের চেহারা দেখেই বেশ ভক্তি হল। বয়স অল্প হলেও ভক্তি হওয়ার মতই চেহারা। ক্লিন শেভ, পরনে নিভাঁজ কোট, প্যান্ট। তিনি বেশি কথা বলেন না। সত্যবানের কথা শুনতে শুনতেই খস খস করে কিছু পরীক্ষা লিখলেন। বললেন, ‘এগুলো করে আনুন। তারপর দেখছি।’

সত্যবান প্রায় হাজার দশেক টাকা খরচ করে পেটের ছবি, রক্ত, মল, মূত্র ইত্যাদি সবকিছুই পরীক্ষা করে ফেললেন। সেসব নিয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে গেলেন।

ডাক্তারবাবু রিপোর্ট দেখে বললেন, ‘আপনি মদ্যপান বন্ধ করুন, তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

‘ডাক্তারবাবু, আমি তো মদ্যপান করি না!’

‘কিন্তু আপনি নিজেই বলছেন, ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনে বারবার অ্যালকোহলের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।’

‘হ্যাঁ, ওটাই তো সমস্যা।’

‘তাহলে এখন আবার বলছেন কেন, মদ খান না। তাছাড়া মদ না খেলে লিভার এনজাইম এতো বেশি থাকবে কেন। যান, যান। দুমাস মদ্যপান বন্ধ রেখে তারপর লিভার ফাংশন টেস্ট আরেকবার করে আনবেন। শুধু শুধু আমার আর সময় নষ্ট করবেন না।’

সত্যবান ঘরে ফিরে এলেন। ডাক্তারও তাঁর কথা বিশ্বাস করছেন না। তিনি সত্যি কথা বলার জন্য গৃহ শান্তি পর্যন্ত নষ্ট করেছেন। আর আজকে তাঁর কথা স্ত্রী, অফিসের লোকজন, ডাক্তার কেউই বিশ্বাস করছেন না। আর বেঁচে থেকে লাভ কি! এবার জয় মা বলে ঝুলে পড়লেই হয়।

তবে ঝোলার আগে যদি মনের দুঃখের কথা কাউকে খুলে বলা যেতো।

পাড়ায় একজন বয়স্ক ডাক্তার বাবু আছেন। ডাঃ সদাশিব দাশগুপ্ত। ইনি সত্যবানের বাবার বন্ধু ছিলেন। এককালে অনেক রোগী দেখতেন। এখন বয়সের ভারে রোগী দেখা কমিয়ে দিয়েছেন। লোকে তাঁকে বুড়ো ডাক্তার বলে ডাকে।

সত্যবান তাঁর কাছেই গেলেন। সঙ্গে এক প্যাকেট রসরাজের নলিনী।

বুড়ো ডাক্তার ঘরে বসে শিবরাম পড়ছিলেন আর নিজের মনে হাসছিলেন। তিনি সত্যবানকে দেখে যতটা খুশি হলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি খুশি হলেন নলিনীর প্যাকেট দেখে। বললেন, ‘এসব জিনিস ফেলে রাখতে নেই। ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তোমার সমস্যা শুনতে শুনতে চল দুজনে মিলে নলিনী শেষ করে দি। দাঁড়াও আগে দরজাটা বন্ধ করি। মিষ্টি খাচ্ছি দেখতে পেলে বউমা রাগারাগি করবে।’

নলিনী খেতে খেতে ডাক্তারবাবু মন দিয়ে সব শুনলেন। সব রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখলেন। তারপর বললেন, ‘সত্যি তুমি মদ্যপান করোনা?’

সত্যবান বললেন, ‘ডাক্তার জেঠু, আমি কখনও মিথ্যে বলিনা।’ তিনি বুঝতে পারছিলেন, চারটে নলিনী খাওয়ার পরেই তাঁর কথা জড়াতে শুরু করেছে। মাথাটা হালকা হচ্ছে।

সত্যবান আবার বললেন, ‘ভরপেট ভাত বা মিষ্টি খেলেই মনে হচ্ছে আমি যেন নেশা করে আছি।’

‘ভাতের নেশা, নলিনীর নেশা!!’ বুড়োডাক্তার ভুরু কুঁচকে বললেন, ‘এরকম নেশা খুব আনকমন কিছু নয় অবশ্য।’

তিনি একটা মোটা বই বার করলেন। খানিকক্ষণ পৃষ্ঠা উল্টে বললেন, ‘পেয়ে গেছি। এখানেই তোমার অসুখের বিবরণ আছে।’

‘অসুখ?’

‘হ্যাঁ, এটা একটা অসুখই। এর নাম অটো ব্রিয়ারি সিন্ড্রোম(Auto-brewery syndrome)। ব্রিয়ারি মানে যে স্থানে বিয়ার বা মদ তৈরি হয়। মানুষের শরীরে নিজে নিজে মদ তৈরি হওয়ার নামই অটো ব্রিয়ারি সিন্ড্রোম। এবং এক্ষেত্রে দায়ী স্যাকারোমাইসিস সেরিভেসি (Saccharomyces cerevisiae) নামে এক ধরণের ইস্ট। এই ইস্ট কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের ফারমেন্টেশন করে ইথানল বা মদ তৈরি করে। অনেকের খাদ্যনালীতে এই ইস্টের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে বেশি পরিমাণে ইথানল তৈরি হয়। ইথানল পরিপাকের মূল জায়গা লিভার বা যকৃত। যাদের যকৃতের অবস্থা বিশেষ ভালো নয়, তাদের ক্ষেত্রে এই ইথানল অনেক বেশি পরিমাণে রক্তে মেশে। রোগীর মনে হয় সে যেন মদের ঘোরে রয়েছে। কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন ভাত, মিষ্টি এসব খেলে মনে হয় যেন মদ্যপান করেছে। তুমি আর নলিনীর দিকে হাত বাড়িওনা বাপু। রিপোর্ট দেখলাম, তোমার লিভারের অবস্থা সুবিধার না। এক একটা নলিনী, তোমার কাছে হাফ পেগ মদের সমান।’

সত্যবান চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে এখন উপায়?’

‘আপাতত কার্বোহাইড্রেট রেস্ট্রিকশন করো। ভাত কম, মিষ্টি চলবে না। তারপর আমি একটু পড়াশুনো করে দেখি। রোগ যখন ধরা পড়েছে, তখন উপায় নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। আপাতত নলিনীর প্যাকেটটা আমার দিকে বাড়াও। তোমাকে বাঁচানোর জন্য নলিনীগুলো আমাকে একাই শেষ করতে হবে।’

PrevPreviousডা. নন্দ ঘোষের চেম্বারঃ বাজারের থলিতে ইমিউনিটি
Nextকুড়ির এক চব্বিশNext

17 Responses

  1. দীপঙ্কর ঘোষ says:
    February 8, 2020 at 4:49 pm

    চমৎকার । দ্বিতীয় বুড়ো ডাক্তারের আবির্ভাব । 😢

    Reply
  2. Sonali Roy says:
    February 9, 2020 at 12:26 am

    তথ্যসমৃদ্ধ অসাধারন লেখা!

    Reply
  3. DEBDULAL CHATTERJEE says:
    February 9, 2020 at 12:36 am

    একটা জিনিস বুঝলাম রসরাজের মলিনী আপনার প্রথম ও শেষ প্রেম। ওটা ছাড়া আপনি অসম্পূর্ণ।।

    Reply
    1. ঐন্দ্রিল says:
      February 9, 2020 at 12:54 am

      রসরাজের নলিনীও আমাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ😍❤

      Reply
  4. Shibaji Banerjee says:
    February 9, 2020 at 12:38 am

    বাহ, গল্পের ছলে দারুন তথ্য দিলেন তো

    Reply
  5. SWARNAB RAHA says:
    February 9, 2020 at 12:40 am

    Khub sundar

    Reply
  6. ABANI PRAMANICK says:
    February 9, 2020 at 12:49 am

    ভারি সুন্দর গল্পের ছলে একটা নতুন রোগের দিশা দিলেন।আপনার গল্পগুলি সত্যিই অসাধার।

    Reply
  7. Aparajita Samaddar says:
    February 9, 2020 at 5:32 am

    ভীষণ সুন্দর গল্প টা। সুন্দর উপস্থাপনা। আর সবচেয়ে যেটা ভালো লাগল এই গল্পোচ্ছলে কত সুন্দর তথ্য শেয়ার করলেন। এই রকম রোগের কথা কোনদিন জানতাম ই না। বাপরে কি কান্ড। বেচারা সত্যবান। কি বিপদেই পড়েছে

    Reply
  8. Kakali Bandyopadhyay says:
    February 9, 2020 at 7:29 am

    তথ্যসমৃদ্ধ গল্প। খুব ভালো লাগলো।

    Reply
  9. Supriya Sengupta says:
    February 9, 2020 at 7:41 am

    Bah!
    Ek dome porlam,daarun!

    Oi “Satter jonyo sab kichhu tyag kora jay——“,ami bhabtam eta Gandhijir bani!

    Reply
  10. Bhaskar Dasgupta says:
    February 9, 2020 at 10:31 am

    Darun, pore moja laglo

    Reply
  11. Sujit GHOSH says:
    February 9, 2020 at 10:37 am

    👌

    Reply
  12. Rhitarashmi Nath says:
    February 9, 2020 at 11:23 am

    Darrun darrun….eto sundar lekha mne hcche aro baki ache….

    Reply
  13. সৌমিলি says:
    February 10, 2020 at 9:57 pm

    চমৎকার গল্প! তথ্যসমৃদ্ধ, কিন্তু তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত নয়। ডক্টর’স ডায়ালগ এগিয়ে চলুক।

    Reply
  14. Urmita Biswas says:
    February 13, 2020 at 7:38 pm

    গল্পটা সুন্দর ভাবে লেখা। আর ‘ অটো ব্রিওয়ারি সিনড্রোম ‘ এর ব্যাপার টা জেনে দারুণ লাগলো, মানে নতুন তথ্য জেনে আর কি

    Reply
  15. Hira Banerjee says:
    May 31, 2020 at 10:42 pm

    Bapre! Ki haslam..

    Reply
  16. shashwati chatterjee says:
    June 1, 2020 at 10:33 am

    সত্যিই এরকম রোগ আছে ডাক্তারবাবু ? আমি তো ভীষন রসগোল্লা পছন্দ করি। শুনেই তো ভয় করছে আমার।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

মনে রবে কিনা রবে আমারে…

January 21, 2021 No Comments

অধ্যাপক ডা যাদব চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া। ফেসবুক থেকে নিয়ে পাঠিয়েছিলেন ডা দীপঙ্কর ঘোষ। সত্যজিত ব্যানার্জীর ওয়ালের ভিডিও তার অনুমতি নেওয়া হয়নি তাড়াতাড়িতে। ক্ষমাপ্রার্থী।

একদম চুপ তারা

January 21, 2021 No Comments

আমার স্কুলে একটি ভীষণ দুর্দান্ত আর ভীষণ মিষ্টি বাচ্চার গল্প বলি আজ| ডাক্তারি পরিভাষায় সে হলো ডাউন সিনড্রোম ও intellectually challenged বাচ্চা| ভাবগতিক দেখে অবশ্য

ঊনিশ শতকের বীর চিকিৎসক-নারী – আনন্দবাই ও অন্যান্যরা

January 21, 2021 4 Comments

আমরা এর আগে বাংলার তথা ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট কাদম্বিনী গাঙ্গুলিকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি। সমসাময়িক কালে আনন্দবাই যোশী, রুক্মাবাই, হৈমবতী সেনের মতো আরও কয়েকজন

করোনায় গন্ধ না পেলে কি করবেন?

January 20, 2021 No Comments

ডা স্বপন কুমার বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুমতিক্রমে নেওয়া।

শেষ কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

January 20, 2021 1 Comment

মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের প্রধান ডা যাদব চট্টোপাধ্যায় Covid19-এ আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকাকালীন ওঁর কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

সাম্প্রতিক পোস্ট

মনে রবে কিনা রবে আমারে…

Doctors' Dialogue January 21, 2021

একদম চুপ তারা

Dr. Mayuri Mitra January 21, 2021

ঊনিশ শতকের বীর চিকিৎসক-নারী – আনন্দবাই ও অন্যান্যরা

Dr. Jayanta Bhattacharya January 21, 2021

করোনায় গন্ধ না পেলে কি করবেন?

Dr. Swapan Kumar Biswas January 20, 2021

শেষ কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

Doctors' Dialogue January 20, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

291696
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।