গৌরাঙ্গদা আমাদের অনেকেরই রাজনৈতিক জীবন, চিন্তা ভাবনার সঙ্গে মিশে আছে। মেডিকেল কলেজে যখন ‘৬৯ সালে ঢুকি, তখন দুটি ছাত্র সংগঠন ছিল.. MCSA ও MCSF। MCSA মূলতঃ বড়লোক বাড়ির ছেলেমেয়েরা করতো,তাই সাধারণভাবে অরাজনৈতিক হলেও দক্ষিণপন্থী। MCSFও অরাজনৈতিক, তবে এরা খানিকটা বিদ্রোহী, বামপন্থী, কিছুটা গায়ের জোরে বিশ্বাসী অ-ধনী পরিবারের ছেলেরা। ছেলেরা ইচ্ছে করেই বললাম কারণ মেয়েরা (তৎকালীন যুগে যথেষ্ট সংখ্যালঘু) এই ধরণের ছেলেদের থেকে দূরে থাকারই চেষ্টা করতো। MCSA-এর ছেলেরা union election এ জিততো, কিন্তু প্রচুর মার খেতো MCSF-এর লড়াকুদের হাতে।
আমাদের সময়েই প্রথম BPSF বাম-এর unit খোলা হয় দীপঙ্কর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে। দীপঙ্করদা লম্বা কালো চেহেরা, দাড়ি, কথা চলা ফেরায় আভিজাত্য সব মিলিয়ে একটা আলাদা উপস্থিতি ও উচ্চতা খুব দ্রুত রাজ্যে তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের কাছে মেডিকেল কলেজ unit সম্পর্কে আলাদা সম্ভ্রমবোধ এনে দেয়। শিলিগুড়িতে BPSF এর সম্মেলনে দীপঙ্করদার বক্তৃতা virtually sensational ছিল। এর আগেও দীপক চন্দ, অরুণ যাশু, পূর্ণেন্দু ঝা, জ্ঞান শীল মেডিকেল কলেজ থেকে BPSF (অবিভক্ত ) করতেন, দীপকদা তো union এর secretary ছিলেন। তবে, কলেজে আলাদা unit ছিল কিনা জানি না। দীপঙ্করদা কিন্তু খুব বেশী দিন কলেজে ছিল না। মেডিকেল কলেজে পার্টি তৈরি হয় ছাত্র সংগঠন তৈরির আগেই। সার্জারীর অত্যন্ত দুর্মুখ ডা: অসিতলাল সোম এক Group D staff (তখন অবশ্য এই term টা চালু ছিল না)-কে নিগ্রহ করায় যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ করে প্রায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তাদের থেকে দীপঙ্করদা, উজ্জ্বলদা, গৌতমদা, অঞ্জনদা, শিপ্রাদি ও পরে অলকদাকে নিয়ে পার্টি ইউনিট গঠিত হয়।
পার্টির প্রথম branch secretary হন উজ্জ্বল মল্লিক, অসাধারণ প্রতিভাধর। Academic, non academic সমস্ত বিষয়ে অগাধ জ্ঞান..কিন্তু, কখনও কোনও বহিঃপ্রকাশ নেই। দুঃখের বিষয় এখনকার প্রায় কেউই উজ্জ্বলদাকে চেনে না। পড়াশোনায় অসাধারণ brilliant..কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের নাতি, বাবা তৎকালীন Health-এ Joint Director। নকশাল আমলে, উজ্জ্বলদা যেভাবে অতি সতর্কতার সঙ্গে বিভিন্ন বিপজ্জনক ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিকে সামাল দিয়েছে, তার গুরুত্ব তখন বুঝিনি কিন্তু এখন অবশ্যই বুঝি। যাদবপুর, শিবপুর BE College এ যেভাবে ছাত্র সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে, মেডিকেল কলেজ যে তার থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছিলো, এ এক অসীম স্বস্তির বিষয়(অবশ্য, সুজিত সেনগুপ্তের মতো তৎকালীন নকশালদের মেডিকেল নেতৃত্বকেও এ ব্যাপারে কৃতিত্ব দিতে হয়)।
মেডিকেল কলেজে তখন দুর্ধর্ষ টিম..গৌতমদা, অলকদা, শিপ্রাদি, অঞ্জনদা, গৌরাঙ্গদা, প্রভাতদা, সিদ্ধার্থদা, সুভাষদা……অনন্যসাধারণ সব মানুষ। আমাদের ব্যাচ..আমি, প্রভাত, মানিক, অশোক, সোমেন, জয়তু, বিজয় আরও অনেকে। Union election-এ first year থেকে class representative হিসাবে আমরা ৫-o ফল করি, তার মধ্যে পঞ্চম অবস্থান ছিল আমার। এর পরে, সারা জীবনে আমি কোনও election এ জিতিনি..রাজ্য IMA এর almost selection এর কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত।
যদিও পরবর্তী branch secretary হিসাবে গৌরাঙ্গদার অভিষেক হয়েছে দু-তিন বছর পর থেকে, কিন্তু গৌরাঙ্গদা প্রথম থেকেই পার্টির চালিকাশক্তি। গৌরাঙ্গদা থাকতো ডা: স্মৃতিসম্পদ ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে। উনি গৌরাঙ্গদার মায়ের সম্ভবতঃ কোনও ভাবে পাতানো ভাই। অসম্ভব ভালো শিক্ষক ও মানুষ ছিলেন। নাহলে কেউ সে যুগে এ রকম কাউকে বাড়িতে আশ্রয় দেয়!! সেযুগে, কংগ্রেস-সিপিআই এম, নকশাল-সিপিআই এম সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নিয়েছে.. যখন তখন খুন হওয়া কোনও ব্যাপারই নয়। তাছাড়া, পুলিশি ধরপাকড় ও ব্যাপক খানা তল্লাশি তো ছিলই। সমস্ত কোলকাতায় তখন পার্টি কর্মীদের ভর্তি হবার একটাই হাসপাতাল.. মেডিকেল কলেজ। অন্যত্র ভর্তি হওয়া ছিল অতীব বিপজ্জনক। মেডিকেল কলেজের পার্টি unit ছিল শিয়ালদহ-বিদ্যাসাগর লোকাল কমিটির অধীনে। প্রয়াত সুজিত আচার্য্যের নির্দেশে ও গৌরাঙ্গদার নেতৃত্বে আমাদের রোজকার কাজ ছিল আনুমানিকভাবে ২০-৪০ জন indoor-এ ভর্তি পার্টি কর্মীদের ডাব, ফল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে আসে। এদের বেশীরভাগই ছিল আহত অবস্থায় ভর্তি.. বোমা-চাকু-গুলির কল্যাণে। বোমায় আহতদের বড় অংশেরই হাত থাকতো মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার চোখের সামনে সেই দৃশ্যটা এখনও সতেজ..MCH এর surgical ward-এ (সম্ভবতঃ roof-এ) গৌরাঙ্গদা লম্বা পায়ে হেঁটে যাচ্ছে, হাতে ফল-ডাব আর পিছনে আমরা কয়েকজন।
জীবনের সেই সময়টা বোধহয় সবচেয়ে সুন্দর ছিল। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল দারুণ। গৌরাঙ্গদা ছিল পার্টির দায়িত্বে আর প্রভাতদা মূলতঃ SFI বা গণসংগঠনের..। কিন্তু, প্রত্যেকেই চেষ্টা করতো অন্যকে জায়গা ছেড়ে দেবার। ত্যাগরাজ হলে SFI এর সর্বভারতীয় সম্মেলনে (যেখান থেকে কারাট -ইয়েচুরি প্রমুখদের সামনের সারিতে আসা) প্রভাতদা জেলা কমিটির সদস্য থাকা সত্ত্বেও, মেডিকেল কলেজ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি ছিলাম আমি। বস্তুতঃ, নিজেদের মধ্যে এই অসাধারণ bondage পরবর্তীকালে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যখনই কোনও উপদলীয় আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছি, ভীষণভাবে হেরেছি..বারবার হেরেছি..একেবারেই immunity ছিল না কিনা।
যে কোনও জিনিসেই dialectical materialism দেখানোর অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। RBC-র development-এ disappearance of nucleus ও increasing concentration of haemoglobin, cell এর division-maturation, পাথলগ্য-র normal ও pathological বিবিধ বিষয়কে পুরোনোর অপসারণ ও নতুনের আগমন দিয়ে বিশ্লেষণ আর তার সঙ্গে জীবনের নানা ঘটনাকে thesis-antithesis ও syntheses-এর ছকে ফেলার বিচিত্র সব উদাহৰণ নিজেই তৈরি করা….এ গৌরাঙ্গদা ছাড়া সম্ভবই ছিল না। মার্ক্সবাদকে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে নিয়ে এসে আমাদের অতি চেনা পরিসরে ওর মতো সাবলীল ভাবে উপস্থাপনা করতে আমি বস্তুতঃ, কাউকে দেখিনি। আমাদের যে সব political class নিতো, তার মধ্যে মার্ক্স, এঙ্গেলস্, লেনিন, স্টালিনের পাশে অনায়াসে গৌরাঙ্গ গোস্বামী (GG) ও জায়গা করে নিতো। আর, সব বিষয়ে ও ছিল ভীষণভাবে confident। ভুল হোক, ঠিক হোক, সবসময়েই জোর দিয়ে মতামত ব্যক্ত করতো।
গৌরাঙ্গদা ছিল মূলতঃ organiser। যেখানে গেছে সংগঠন করেছে। National Medical College, ণবমচ (তখন SSKM এ class হতো), PCM Homeopathy College যেখানে গেছে সংগঠন গড়েছে। অসাধারণ অভিনবত্ব ছিল meeting করার কৌশলে। সাধারণতঃ, বৌবাজারের PRCতে meeting হতো কারণ সারা দিন তো বটেই, অনেক সময়ে রাতেও থাকতো সেখানে। কিন্তু, অদ্ভুত সব জায়গাও মাথা খাটিয়ে বার করতো। NBMC -এর meeting করতো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মাঠে বসে। অবশ্য পরে সঙ্গে মহিলা না থাকায় security এসে বলে, ‘এখানে রাজনীতি করবেন না’। গৌরাঙ্গদাই আমাদের শিখিয়েছিল সবার মধ্যে বসেই কি করে অতি গোপন আলোচনা করা সম্ভব।
সব সময়ে মাথায় নতুন নতুন idea আসতো। ‘৭৫ এর পরে হঠাৎ ঠিক করলো ছাত্র পরিষদের (সেই সময়ে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বাহিনী) মধ্যে আমাদের লোক ঢোকাতে হবে।দুজনকে ঢুকিয়েও দেওয়া হলো। Meeting হতো আরপুলি লেনের একটা বিশেষ বাড়িতে। তারা অচিরেই ছাত্র পরিষদের নেতাও হয়ে যায়। এবার, মুশকিল হলো ‘৭৭-এ কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে। কি করে বলা যায়, ওদের ওখানে পাঠানো হয়েছে!!
ট্রেনি সিস্টারদের নিয়ে আমাকে আর দুর্জয়কে সামনে রেখে বিরাট আন্দোলন গড়ে তুললো। তখন ওরা মাসে ৭৫ টাকা stipend পেতো। আন্দোলনের জেরে সম্ভবতঃ সেটা ৩০০টাকা হয়। কোঅর্ডিনেশন কমিটির আপত্তিতে পরে আমাদের সরে আসতে হয়।
সমস্যা হলো, গৌরাঙ্গদা এই ধরণের কাজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিত। আমাদের নিয়ে কখনও সমস্যা হয় নি। কিন্তু, PCM Homeopathy Medical College+এ একই কাজে ব্যাপক সমস্যায় পড়ে। পার্টির নির্দেশে, কোলকাতা জেলা ছাড়তে হয়। গৌরাঙ্গদা কালনায় ঠিক by choice যায় নি, খানিকটা বাধ্য হয়েই যায়। গৌরাঙ্গদা কালনার গৌরাঙ্গ গোস্বামী হয়ে গেল। ওর কিন্তু ক্ষমতা ছিল বিশাল। এক সময়ে গৌরাঙ্গদা, তপন সেন, দেবু দত্তগুপ্ত এরা তিনজন পার্টি সম্পর্কীয় সমস্ত বিষয়ে (আন্তঃপার্টি সংগ্রাম সহ) খুব কাছাকাছি ছিল। বেশীরভাগই সময়ে গৌরাঙ্গদাই ছিল innovative। মৃত্যু সংবাদ শুনে তপন সেন জানাচ্ছেন একবার নাকি গৌরাঙ্গদা ও দেবু দত্তগুপ্তকে পুলিশ একসঙ্গেই গ্রেপ্তার করে। দেবু দত্তগুপ্ত অবশ্য চলে গেছেন অনেক দিন।
সেই গৌরাঙ্গদাকে কালনার ৫ টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিতিটা আমার কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়। গরীবের হয়ে কাজ করার, কম ফি তে রোগী দেখার তো অনেক লোক আছে। তাঁদের বিন্দুমাত্র ছোট, বা সামান্যতম অসম্মান না করেই বলছি, গৌরাঙ্গদার পরিচয়, ব্যাপ্তি, গভীরতা তার থেকে অনেক অনেক বেশী।কালনার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু তার সাংগঠনিক কার্য্যকলাপের স্বীকৃতি কোথায়??
অবশ্য গরীবের ডাক্তার হওয়ার সিদ্ধান্তটা গৌরাঙ্গদার নিজস্ব। MS (surgery) complete করলো না। পরে, সেটাকে অন্য সকলে চেষ্টা চরিত্র করে revive করালেও যেই বুঝলো ব্যাপারটা হয়ে যাবে, আবার পলায়ন। এই যুগে, ইচ্ছাকৃত ভাবে সাধারণ MBBS হয়ে থাকলো পাছে মানুষের থেকে দূরত্ব তৈরি হয় !!!
আসলে, গৌরাঙ্গদা কোলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় medical front। গৌরাঙ্গদার মত সংগঠনকে বিনি সুতোয় মালা গাঁথার ক্ষমতা বা organisational skill আমাদের কারুর ছিল না, আমার তো নয়ই। আমরা গৌরাঙ্গদার শিষ্যরা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলাম আর মেডিকেল ফ্রন্ট গেল হিসাবি মানুষদের দখলে। এর পর থেকে আবেগ, নতুনত্ব, বিপজ্জনক কাজের ঝুঁকি নেওয়ার থেকে আনুগত্য, প্রথাগত কাজই অগ্রাধিকার পেতে থাকে। সংগঠন বাড়তে পারে, কিন্তু সেই মাঝ রাতে গৌরাঙ্গদার হঠাৎ আগমন আর ভোর রাত পর্য্যন্ত মেডিকেল কলেজের চত্বর ও আশেপাশে ব্যাপক walling করার দুঃসাহস কেউ দেখাবে কী? একটা সময় ছিল গোটা কলেজ স্ট্রীট চত্বরে আমরা ছাড়া SFI এর উপস্থিতি টের পাওয়ানোর কেউ ছিল না। PRC র হয়ে শুধু গোটা বাংলা নয়, বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা চষে বেড়িয়েছি তার পিছনে মূল মস্তিস্ক কার ছিল? গৌরাঙ্গদার তাত্বিক বুদ্ধি আর আমাদের যোগ্য সঙ্গত ছাড়া এগুলোর কোনওটাই সম্ভব ছিল না। গৌরাঙ্গদা ও আমাদের বিচ্ছিন্ন হওয়া অন্ততঃ মেডিকেল ফ্রন্টের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের সামিল। কারুরই লাভ হয়নি..না আমাদের, না গৌরাঙ্গদার, পার্টির কথা ছেড়েই দিলাম।
আজকে সত্যিই আর কিছু করার শক্তিটাই হারিয়েছি। যেটুকু সামান্য অবশিষ্ট ছিল গৌরাঙ্গদার সঙ্গেই পুরোপুরি চলে গেল। ভালোই হয়েছে,…. ‘Doctors for Democracy’ তে বিভিন্ন পোস্ট দেখে যখনই মনে হতো কোনও ঝামেলা হচ্ছে.. আমার ব্যক্তিগত W/A-এ আলাদা করে লিখতো ‘অমিত ছেড়ে দিয়ো না’। জানতো, বেশী ঝামেলা দেখলেই আমি দুম করে ছেড়ে দিতে পারি। আসলে, সংগঠন করতে গেলে যে ধৈর্য্য, নমনীয়তা দরকার তা আমার একদমই নেই। অথচ, গৌরাঙ্গদা সারা জীবন ছোট-মাঝারি সব দায়িত্ব পালন করে গেল নির্বিবাদে, সমস্ত একাগ্রতার সঙ্গে। কখনও কোনও অনুযোগ করতে দেখিও নি, শুনিও নি।
আমাদের কাছে এটা virtually end of an era…..।আমাদের এবার অনেকেরই পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়েছে। কারণ contribute করার মতো অবশিষ্ট বিশেষ আছে বলে মনে হয় না। হয়তো ভালোই হয়েছে, গৌরাঙ্গদা কাজ করতে করতেই চলে গেল।
জানি না, আগামী দিন আদৌ তাকে মনে রাখবে কিনা..! কোথাও কী কোনও রেশ পড়ে থাকবে…..কেউ কি হৃদয় দিয়ে বুঝবে বা করবে তার কাজ ও জীবনের যথার্থ মূল্যায়ন…….?
Dear Dr Amit — by chance landed up on your blog –ডা: গৌরাঙ্গ গোস্বামী, মেডিকেল কলেজ ও আমরা কয়েকজন।– It opened up a closed window in my memory box — courtesy Dr jayanta Bhattacharya’s blogs on “History of Calcutta Medical College”. Though I belonged to R.G.Kar M.C.( Khaloo) — intellectually I am a product of your Male Student Hostel behind –Rupam Cinema Hall — Room no:10 in 1st. Floor on the Lt.side as one comes up the stair case . That was Dr Com Haradhan Sanyasi’s — Akhra. We four were Christened therefrom in front of Kakabau in Koirya Street ; PC area ( Ami, Dilip Mahalonobis — ORS boy, Deepak Chandra & Sujit Pandit. Yes one of our Mentor was Prof. Nasim Ansari — later Prof and HOD Surgery in AMUMC ,Aligarh & cousin of famous Poet Faiz – e-Faiz of Lucknow / Lahore,Pakistan. Dr Gyan Seal — presently of Thakurpukur Cancer Hospital was our recruit. Room No. 10 in your hostel was our Cremlin. Similarly there were small units in all four MCHs of Calcutta . Gita Sen of Student Health Home fame was CMC student of 1954 batch and spent 2yrs. in Peking ( Beizing) –INTERNATIONAL STUDENTS SANATORIUM under INTERNATIONAL STUDENTS UNION (Prague — Czechoslovakia). Yes history of that period has to be chronicled for posterity. As a matter of fact my landing up in South India in Pondicherry was essentially because of Dr Probhas Sen – Secretary of your S.U. in 1955 -1956 and that of Dr. N. Subramanian ( brother of Prof & Cine Actor N. Viswanathan). Many of you would be surprised to know — that Calcutta Medical College played a pivotal role in transforming the then Ecole de Medicine Le Francois to Medical College Pondicherry — later morphed to JIPMER. The then Tamil Medicinal Luminaries were deadly against openning of Medical College of Pondicherry as per agreement between Pandit Jwaharlal Nehru & Charles de Gaul …. I can partly help you on southern part of that history. Better come and spent some time with me. Bring Jayanta also….Loving regards —- nirmalyada