আঠেরো ডিসেম্বর, ২০২১।
সকালে ঘুম ভাঙল বেলা করে। আজ ঠান্ডাও পড়েছে ভালো। মেঘলা আকাশ। ভাগ্যিস শনিবার, মনোজিতের অফিস বন্ধ। তাড়া নেই, ঘুমোচ্ছে। নন্দিনীর আজ স্কুলে গিয়ে এমডিএমের চাল-ডাল বিতরণের পালা নেই। অনলাইন পড়ানো আছে বেলায়। বঙ্গে পালযুগ আর ভারত ছাড় আন্দোলন – ক্লাস এইট আর টেন। শাশুড়ী নিজের আর নাতির চা করে নিয়েছেন। পড়তে বসেছে পিকু। বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় সে। সেই বারান্দা – যেখান থেকে প্রতি শনিবার বিকালে ড্রাইভিংরত একেআরকে সে দু ঝলক দেখত। ছ’মাস হল সেই বারান্দা থেকে তাকালে চারদিকে শুধু নিকষ নিস্প্রাণ মহাশূন্য। শীতের বিষণ্ণ সকালে বহুবার ভাবা কথাগুলো আবার ভিড় করে আসে তার মনে।
অনেক ডাক্তারবাবুরাই অনেক জটিল পরিস্থিতি থেকে রোগীকে উদ্ধার করে আনেন। জীবনে ফিরিয়ে দেন, সন্তান তুলে দেন কোলে। নন্দিনীর কয়েকজন বন্ধু আছে, যাদের কিছুতেই বাচ্চা আসছিল না। চিকিৎসকরা নানারকম উপায়ে তাদের কোল ভরে দিয়েছেন। এদের একটি অংশ আছে বলে – ‘টাকা দিয়েছি, ট্রিটমেন্ট করেছে, এর মধ্যে আবার বেশি কী আছে’। অন্যদিকে, অনেকেই কিন্তু তাদের চিকিৎসককের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা পোষণ করে চলে দীর্ঘদিন। পারিশ্রমিকের বাইরেও তাঁদের উপহার দেয়, একটা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরী হয়ে ওঠে। এই অবধি হলে ঠিক ছিল – বলা যেত এরকম ত কতই হয়। কিন্তু নন্দিনীর মত এমন ব্যাখ্যাতীত মোহ কার হয়? কেন হয়েছে? কিছুতেই ভেবে উঠতে পারে না সে।
ডাঃ রায় কি অপরূপ কন্দর্পকান্তি ছিলেন? যাকে বলে হ্যান্ডসাম গাই? মোটেই না। মেরেকেটে পাঁচ সাত, শ্যামলা রং, পেতে চুল আঁচড়ানো, চোখে চশমা, পঞ্চাশের গড়পড়তা বাঙালি চেহারা। ব্যারিটোন ভয়েস? উহুঁ। অপরিণত কিশোরকণ্ঠ। পোশাকে স্টাইলিশ, বৈশাখেও কোট-টাই? কখনও না। ফুলহাতা স্ট্রাইপ জামা কনুই অবধি গোটানো। শীতে হাতে বোনা – স্ত্রীরই বোনা হবে হয়ত – হাফ বা ফুল সোয়েটার। খুব কোয়ালিফায়েড?
কোয়ালিফায়েড ত নিশ্চয়, তবে মেডিসিনে এম ডি ডাক্তারবাবু ত আরও অনেকেই আছেন। কোনও বিশেষ স্বভাব? হ্যাঁ, সর্বদা চোখে চোখ রেখে কথা বলতেন দৃষ্টিতে পেশাদারি প্রত্যয় আর অভয় নিয়ে। চোখদুটি চোখেই থাকত, শরীরের অন্যত্র ঘুরে বেড়াত না – পুরুষের ও দেখা মেয়েরা বুঝতে পারে। বাচ্চা হওয়ার পরে ডাঃ রায় তার গায়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা করেছেন নামমাত্র কয়েকবার। ব্লাড প্রেশার দেখতেন একজন নার্স, উনি বড়জোর হাত-পায়ের নাড়ী ও তাপ দেখে নিতেন শেষ কয়েক বছরে। সেই স্পর্শে সে নিজে শিহরিত হত, কিন্তু বারবার ভেবেও তাঁর দিক থেকে সেই ছোঁয়ায় সে কোনও কলুষ, যাকে আজকাল ‘ব্যাড টাচ’ বলে, খুঁজে পায় নি। এমন কোনও গুণ, যা মনোজিতের মাঝে আশা করেও মেলেনি? অনেক ভেবেও কিছু খুঁজে পায় না সে। ডাক্তারির বাইরে অন্য কোনও কার্যকলাপ? ইতিহাস ওঁর খুব প্রিয় বিষয় ছিল – একবার বলেওছিলেন যে বাবা-মা’র কথা মেনে ডাক্তারি পড়তে না হলে ঐতিহাসিক হতেন। সেটা অবশ্যই ইতিহাসের দিদিমণি নন্দিনীর মন রাখা কথা নয়। তার প্রমাণ গত কয়েক বছর ধরে গ্রামবাংলার কোণে কোণে অখ্যাত, অবহেলিত মন্দিরে ওঁর ঘোরাঘুরি, তা নিয়ে নিয়মিত চর্চা ও লেখালেখি। যাই ই হোক্, পছন্দের বিষয়ের এইটুকু মিলের জন্য নিশ্চয় এরকম তীব্র প্রেমাবেশ তৈরী হয় না যাতে যেকোন প্রসঙ্গে ডাক্তারবাবুর নাম শুনলেই তার মুখ কোমল কিশোরীর মত ঘেমে লাল হয়ে ওঠে। তাহলে কি সে তার ছোটবেলায় কিংবা কৈশোরে অধরা কাউকে খুঁজে পেয়েছিল একেআর-এর মধ্যে? সমস্ত স্মৃতি ছানবিন করেও হালে পানি মেলেনা। কোন্ ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে নন্দিনী – তাঁকে মনেই পড়ে না তার। তাই বলে একেআরের মধ্যে হারানো বাবাকে খোঁজা? না না, ধুর্, ধুর্। হেসেই ফেলে সে। পনের বছরের আত্মবীক্ষণের ফলাফল অতএব শূন্য। কেবল টানাপোড়েনে ছিন্ন মনের দহন আর বিরহিণী রাধার মত চিরন্তন আক্ষেপানুরাগ – ‘যত নিবারিয়ে চাই নিবার না যায় গো।’ সংসারে, মায়ের ভূমিকায়, দাম্পত্যের পরিসরে, ক্লাসরুমে যখন সে থাকে, ঠিক আছে- কিন্তু তার বাইরে একাকীত্বের সময়ে যেন ‘কালা জল ঢালিতে সই কালা পড়ে মনে।’ কালা! তার মনে আছে, পিকুর জন্মের সময় তখন সে নার্সিংহোমে ভর্তি। শনিবার বাদে অন্যদিন বেশ রাত করে তাকে দেখতে আসতেন ডাঃ রায়। ততক্ষণে কেবিনের আলো নিভিয়ে সে শুয়ে পড়েছে। আধো অন্ধকার কেবিনের দরজায় টোকা মেরে শ্যামলা মানুষটি যখন জিজ্ঞাসা করতেন, ‘আজ কেমন আছো নন্দিনী?’ – তার মনে হত ঘরে হাজার ওয়াটের হ্যালোজেন জ্বলে উঠেছে। রাধা ! দেহাতীত প্রেম, বিরহ, মাথুর ! হায়রে, ছোটবেলায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বৈষ্ণব পদাবলীর টুকরো-টাকরা পড়ে এই নিয়ে কত হাসাহাসি করেছে তারা বন্ধুরা মিলে।
কত রাতে ঘুমন্ত স্বামীর বাহুডোরের মাঝে শুয়ে শুয়ে নন্দিনী ভেবে কাটিয়েছে – সে মনোজিতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে না ত? তাকে ঠকাচ্ছে না ত তার সরল, খোলা মনের সুযোগে? সে কি তার স্বামীকে ভালোবাসে না? মনোজিৎ তাকে, অন্তত মানসিকভাবে ত্যাগ করবে না ত? একা সে বাঁচতে পারবে না, সে নিজেই জানে সে নির্ভরতাকামী ব্যক্তিত্ব। সে কি যাকে সাহিত্যে বলে দ্বিচারিণী, তাই? কেমন করে? একদিনের জন্যও একেআরকে ঘিরে শরীরী আকর্ষণের কোনও মায়াজাল তৈরী হয়নি তার সচেতন কল্পনায় বা কোনও গহন, সিক্ত স্বপ্নে। মনোজিতের সাথে ঘনিষ্ঠ সময়ে তার কখনও মনে পড়ে না একেআর এর কথা। এ কেমন পরকীয়া! বাস্তবের পিকুর মা, মনোজিতের স্ত্রী, বিন্দুবাসিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস শিক্ষিকা – এই রকম নানা পরিচয়ের সমান্তরালে তার আরও একটা মায়াবী সত্তা তৈরী হয়েছে – প্রৌঢ় ডাঃ অরুণকান্তি রায়ের গোপন প্রণয়িনী। এই পরিচয় তাকে নিত্য বিব্রত করে, আর সেটা নিয়ে মনোজিতকে বলতে গেলেই সে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় – ‘আরে বেশ ত, তোমার ওঁকে ভালো লাগে, তাতে ত আমার ভাগে কিছু কম পড়ছে না, আর তুমি ওঁর সাথে পালিয়েও যাচ্ছ না। আমারও ত কত মহিলাকে দেখে কত সময় ভালো লেগেছে, তাতে কি আমার চরিত্র নষ্ট হল, আমি তাদের সাথে পালিয়ে গেলাম, না তোমাকে আমি কম ভালোবাসতে লাগলাম?’ এভাবেই চলেছে এতগুলো বছর আর এই দ্বিধাতুর মন নিয়ে ছাব্বিশ থেকে চল্লিশে পৌঁছেছে নন্দিনী। মধ্যবিত্ত বাঙালীর প্রথা মেনে শরীরী দাম্পত্যে শীত নেমেছে, কিন্তু স্বামীর সাথে মনের বাঁধনে আজও শিমুল-পলাশের খেলা। আজও যেন মনোজিৎ কলেজের সেই দু বছরের বড়, সবসময়ে আগলে রাখা সিনিয়র দাদা। দাদা! হিহি। কয়েকদিন আগেই মনোজিৎ হাসাহাসি করছিল কলেজের পুরোনো কথা নিয়ে – ‘মনোজিতদা’ কে ‘মনো’ তে নামাতে তার নন্দাকে কি কসরতই না করাতে হয়েছিল। শেষমেশ ছাড়াছাড়ির ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিল। নিজের মনেই হাসল সে।
একবার ভিতরে উঁকি মারল নন্দিনী। পিকু পড়ছে। জিওগ্রাফি। মোবাইলটা দূরে, সুতরাং আপাতত নিশ্চিত যে পড়াশোনাই করছে। মনোজিৎ অন্য পাশ ফিরে আবার ঘুমে। শাশুড়ী নিশ্চয় এতক্ষণে ঠাকুরঘরে জপের আসনে। আবার বারান্দায় এসে বসল সে। আজ তাকে ভাবনায় পেয়েছে।
একদিন দু হাজার কুড়ি এল। চিনে কি একটা মহামারী এসেছে, করোনা ভাইরাস, হু হু করে ছড়াচ্ছে সর্বত্র, মানুষ মারা যাচ্ছে কাতারে কাতার। প্রাণীবিজ্ঞানের পি এইচ ডি মনোজিৎ তাকে বুঝিয়ে দিল মিউটেশনের গপ্পো – এ হল গিয়ে কোভিড নাইন্টিন। কেউ বললেন বন্য বাদুড় থেকে আসা, কেউ বললেন – বুঝলে না, এ হল গিয়ে তৈরী করা ভাইরাস – নূতন সাম্রাজ্যবাদীর নূতন অস্ত্র। তখনও মানুষ কত নিশ্চিন্ত – যা হচ্ছে অন্য দেশে হচ্ছে, এখানে কিস্যু হবে না। সে আশা মিলল না – একদিন ভারতেও এসে পৌঁছাল সে জীবাণু। তারপরে জনতা কার্ফ্যু, লকডাউন, অতিমারী, পরিযায়ী শ্রমিক, অনলাইন ক্লাস – কত নূতন শব্দবন্ধ, কত ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মত অভিজ্ঞতা।টিভিতে, কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র এক কথা – কোভিড আর কোভিড। প্যাকেটবন্দী লাশের সারি। স্কুল কলেজ বন্ধ – ল্যাপটপে বসে অনলাইন ক্লাস নেয় নন্দিনী। সরকার পরিপোষিত বালিকা বিদ্যালয়ে কজন মেয়েই বা সে ক্লাস করে, আর করলেই বা মোবাইল ফোনে শোনে কি, বোঝে কি! মাসে দুদিন গাড়িতে ‘এমারজেন্সি সার্ভিস’ লিখে, মুখোশ পরে যেতে হয় স্কুলে, পুলিশ পাহারায় মিড ডে মিলের চাল-আলু-ছোলা বিলি করে আসতে হয়। মনোজিতের কাজ প্রধানত গবেষণার – কয়েকমাস সেসব ডকে। সব কাজ ত অনলাইনে হয় না। রোগ আর মৃত্যুর আতঙ্কের মাঝেই ভয়ঙ্করতর হাহাকার – অর্থের অনটন। একদিকে ঘরমুখী হা-অন্ন শ্রমিকের রেলগাড়ির তলায় মৃত্যু – অন্যদিকে হাজার হাজার নব্য কর্মচ্যুত বেকার। রোজগারহীন অজস্র স্বনিয়োজিত নারী-পুরুষের দল। সোশ্যাল মিডিয়ায়, আত্মীয়-বন্ধু মহলে শিক্ষক-সরকারী কর্মীদের নিয়ে তীব্র পরিহাস – কাজ না থাকলেও ঘরে বসে বেতন পাচ্ছে তারা। সেপ্টেম্বরে মনোজিতের এক তুতো ভগ্নীপতি, লকডাউনে চাকরিচ্যুত মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ আত্মহননের পথ নিলেন – ‘কোভিডে মরলে কেমন লাগত জানিনা, তবে বিনা রোজগারে রোজ মরে থাকা আরও লজ্জার’ – এই চিঠি লিখে। একদিকে সরকারি চাকরি থাকায় স্বস্তির শ্বাস, অন্যদিকে এই মৃত্যুতে আরও আত্মগ্লানি, আরও আতঙ্কে সিঁটিয়ে গেল নন্দিনী-মনোজিতরা। শেষ কোথায়? রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা, না অর্থাভাবে নিশ্চিত মৃত্যু – কোনটি বেশি ভয়াবহ?
দু হাজার একুশ শুরু হল স্বস্তি নিয়ে। কোভিডের হার তলানিতে, বাধাবন্ধহীন স্বাভাবিকপ্রায় জীবন, দু হাজার কুড়ি তখন যেন সদ্য মিলিয়ে যাওয়া রাতের ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। মাস তিনেক বেশ চলল। অচিরেই বোঝা গেল, এ ছিল মহাপ্রলয়ের আগে ক্ষণিকের শান্ত সমুদ্র। সুনামির মত ধেয়ে এল অতিমারীর দ্বিতীয় তরঙ্গ – হাহাকার, শুধু হাহাকার। দেশজুড়ে বেড নেই, অক্সিজেন নেই – মইয়ে চড়ে নিত্য বাড়ছে কোভিডের দাপট। জৈষ্ঠের দুপুরে বাড়ির সামনের রাস্তায় শুধু কয়েকটা ক্ষুধার্ত কুকুর আর হাতেগোনা নিরুপায় মানুষজনের আনাগোনা। এর মাঝেও শনিবার বিকালটা নন্দিনী ভোলে না। মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যখন তুঙ্গে – ডাঃ রায়ের রুটিনে তখনও বিরতি নেই। কয়েকবার নন্দিনী ভেবেছে সে ফোন করবে সরাসরি -‘ডাক্তারবাবু, এই ক’টা দিন সামনাসামনি রোগী নাহয় না ই দেখলেন’। কতবার ফোনে নম্বরটা তুলে এনেও সে হাত সরিয়ে নিয়েছে। কি ভাববেন তিনি? অনধিকার চর্চা? তাঁর কর্তব্য নিয়ে উপদেশ দেওয়ার সে কে? নন্দিনীর কণ্ঠস্বরে যদি তার অস্বাভাবিক আকুতি ধরা পড়ে, পরে আর সে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবে না। একেআর মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ – জ্বর, সর্দি, কাশি সব ত স্বাভাবিকভাবে তাঁর কাছে আগে আসবে। মাস্ক আর স্যানিটাইজার দিয়ে কত প্রতিরোধ করবেন? চারদিকে ত ছেয়ে যাচ্ছে কোভিডে, প্রতি সপ্তাহে আত্মীয়-বন্ধু কেউ না কেউ ফোনে কোভিডের খবর জানাচ্ছে – মারণক্ষমতাও এবারে অনেক বেশি। প্রতি শনিবার দুপুরে নন্দিনী বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়, আর ভাবে ‘হে ঠাকুর, আজ যেন উনি চেম্বারে না আসেন।’
উনত্রিশে মে বিকালে ডাঃ অরুণকান্তি রায়ের সাদা আই টোয়েন্টি নন্দিনীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে মাদার্স অ্যাবোডের দিকে গেল না। সময়ের ভুলচুক হয়েছে সন্দেহ করে নন্দিনী বসে রইল বারান্দায় সন্ধ্যা ছাড়িয়ে রাত আটটা অবধি। গাড়ি ফিরল না। নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে ঢুকে মনোজিৎকে বলল নন্দিনী, “জানো, জানো, একেআর আজ চেম্বার করতে আসেন নি। তার মানে সুমতি হয়েছে।”
“ঠিকই করেছেন। চারদিকে যেভাবে ইয়ং ডাক্তাররা অ্যাফেক্টেড হচ্ছেন, ওঁর এই বয়সে রিস্ক না নেওয়াই ভাল। কত আর সার্ভিস দেবেন?” বলে ইএসপিএন থেকে স্টার স্পোর্টসে চলে গেল মনোজিৎ। রান্নাঘরে গিয়ে কফির দুধ বসাল নন্দিনী। আজ জমিয়ে কফি খাবে দুজনে।
**************************************************
আগামী পর্বে সমাপ্য।
**************************************************