হবে।
এই কথাটা শুনতে শুনতে,
কল্পনা জাল বুনতে বুনতে,
আশার প্রহর গুনতে গুনতে ,
শিশুর থেকে পৌঁছে গেলাম দ্বিতীয় শৈশবে।
দিনযাপনের টানতে ঘানি,
দেহের সারা রক্ত পানি,
হচ্ছে না যে আমরা জানি,
নেতার বাণীর তবুও দাবী প্রবল কলরবে,
হবে।
কবে হবে মন্ত্রীমশাই?
শুধালে তার শনির দশাই,
নিজের ঘরের ভিতকে ধসাই, অত বোকা কে আর!
একটু বড় হতেই বুঝি,
না হওয়া সব আশার পুঁজি,
রাজনীতিতে ওটাই রুজি, ওই ধোঁকাতেই চেয়ার।
দেশোদ্ধারের ভাবগতিকে
গুল দিয়ে যায় সব প্রতীকে,
ভরসা রাখে কার প্রতি কে, হিসেব ভীষণ পাকা,
ধর্ম চাইলে ধর্ম বিলায়,
কোটার স্বরে সে সুর মিলায়,
তোষণ কিংবা বেদম কিলায়, ভোট যেদিকে রাখা।
একটা ব্যাপার ধ্রুবক শুধু,
ভোট পেরোলেই কুহক শুধু,
ছক কষে যা নিছক মধু, সবই নেতার পেটে,
বাড়বে তাঁদের বাড়ি গাড়ি,
ইচ্ছেমাফিক বিদেশ পাড়ি,
মিছিল যাওয়া সব আনাড়ি, মরবে বেগার খেটে।
প্রতি ডলার টাকা আশি
তবুও বাজে ফাঁকা বাঁশি,
ঝুলিয়ে মুখে মাপা হাসি বলেন নেতা, হবে,
সব বেকারের হবে বেতন
অর্থনীতির ফিরবে চেতন,
উড়বে দেশের বিজয়কেতন, আবার সগৌরবে।
গ্যাস পেরোলো কবেই হাজার
আগুন ধরায় রোজের বাজার
তবুও ‘হবে’র গুল আর গাঁজার, বিরাম কোথায় আর,
রাম বাম ঘাস হাতের খেলায়
সংসদে সব অংক মেলায়,
ভাসিয়ে দিয়ে ‘হবে’র ভেলায়, জাহাজ পগারপার।
হয়তো সময় হলো এবার,
শব্দটাকে পাল্টে নেবার,
আর কতকাল ‘হবে’র সেবার, ভার জনতার কাঁধে?
আজন্মকাল এটাই তবে,
শুকনো রুটির এ বাস্তবে
স্বপ্নে পোলাও ঘি-জবজবে, তাই খাবো আহ্লাদে?
ভাবছি এবার যা খুশি হোক,
বোকাই নাহয় বলুক না লোক
চোখের দিকেই তাক করি চোখ শুনলে নেতার ‘হবে’
শিরদাঁড়াতে সাহস ভরে
নম্র গলা বজ্র করে
ভাবছি বলি তার উত্তরে, মন্ত্রীমশাই , কবে?
জানি আমি সেই সওয়ালে
কুমীর অনেক আসবে খালে
বাঁধতে নানান ধারার জালে ,পুলিশও পৌঁছবে।
তবুও এটাই স্বপ্ন আমার,
খুন হই বা হই গ্রেপ্তার,
বলেন যখন মন্ত্রী আবার, ধৈর্য় ধরুন, হবে
শোনা যাবে স্বর জনতার. কবে, মশাই কবে?