চোখ যে কতটা অমূল্য, তা চোখ থাকতে লোকে বুঝতে পারে না। আবার যাদের আছে, তারা চোখ দিয়ে দেখে বটে, কিন্তু দেখেও দেখতে পায় না। তবে একথা যে সব খানেই প্রযোজ্য, তা নয়।
চোখ ডোনেট করলে, বাড়ির লোকেরা মানুষটির মৃত্যুর পর যোগাযোগ করেন হসপিটালের সঙ্গে। মৃত্যুর চার ঘন্টার মধ্যেই কর্ণিয়া তুলে নিয়ে, সংরক্ষণ করা হয় একটি নির্দিষ্ট মিডিয়ায়। তারপর চলে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা। সেই পরীক্ষাতে পাশ করলে তবে কর্ণিয়াটি একজন দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে বসানো হয়। এবং তারপর বেশ কয়েক বছর ধরে চলে তার চেক আপ ও কিছু চোখের ড্রপ, ডোনেটেড কর্ণিয়াটিকে ভালো রাখার জন্য।
একটাই আবেদন। মৃত্যুর পর চোখটা নষ্ট না করে আরেকজনকে দেখতে দিন। তার চোখেই বেঁচে থাকুক না আমার আপনার প্রিয় মানুষটি আর কিছুদিন।
কয়েকটি ডোনেশন্ কেন্দ্রের নাম ( দক্ষিণ কলকাতার) জানালে উপকৃত হব।