ফের আরেক জন হবু চিকিৎসককে হারালাম আমরা। আর মাত্র তিন মাস পর সে নামের আগে ডাঃ লিখতো। মহারাষ্ট্রের থানে জেলার অশোক পাল দশ বছর বয়সে অটোচালক বাবাকে হারান। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা ও দুই বোনের দায়িত্ব নেন তাঁর মামা। হতদরিদ্র পরিবারের এই ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব উজ্জ্বল ছিলেন। চোখে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। আর্থিক বাধা সরিয়ে এগোচ্ছিলেন স্বপ্ন পূরণের পথে। কিন্তু তার আগেই সব কিছু শেষ।
স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী নিয়মিত মেয়েদের হোস্টেলের গায়ে পেচ্ছাপ করার থেকে খারাপ ইঙ্গিত করা সব রকম খারাপ কাজ চালিয়ে যেত। স্বাভাবিকভাবেই কলেজের ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে সবাই তার প্রতিবাদ করে। নিরীহ অশোক যদিও সে সব থেকে নিজেকে সরিয়েই রেখেছিলেন। কিন্তু একদিন দুষ্কৃতীরা বদলা নিতে হস্টেলে চড়াও হয়। সেই সময় অশোক লাইব্রেরি থেকে হস্টেলের দিকে রাতের খাবারের জন্য যাচ্ছিলেন। আচমকাই ওই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। এবং মারা যান তিনি। ছাত্ররা এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু স্থানীয় নেতারা এসে ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে যায় যে নিজের লোকজন এনে ছাত্রদের প্রতিবাদ বন্ধ করে দেবে। যদিও এই ভয় ছাত্রদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। কিন্তু অকালে যে মা তার সন্তান হারালেন,যে ডাক্তারকে হারালো এই সমাজ, এই দেশ সেই ক্ষতিপূরণ কি কোনদিন হওয়া সম্ভব। ওর আত্মার শান্তি কামনা করা ছাড়া আর কীই বা করতে পারি!
??