দলছুট ফেরারী
খিড়কি দিয়ে
শেষবার দেখে সন্তানকে
বুলেট বিদ্ধ হওয়ার আগে।
বিদর্ভে কোন কৃষক
দড়ি নিয়ে যায় মরবে বলে।
কানে বাজে মেয়ের গলার স্বর।
মৃত্যু স্থগিত থাকে।
লকডাউনের সকালে
তিন্নি আর বাপি
চাদর মুড়ি দিয়ে জড়িয়ে
ঘুমোনোর ভান করে।
শৈশবের আজ বিশ্রাম।
রাত নটায় মা কে লুকিয়ে
স্কচের পেগ দিয়ে যায় অ্যালবার্ট।
নতুন বাইক কিনবে
বাবা রাজি নয় এখনো।
খুচরো পাপে তাই ভাগাভাগি।
আজন্ম নাস্তিক ডাক্তার
রোজ ঈশ্বর কে ডাকে।
আর সাতদিন পেরোলেই
দেখা হবে তার ছয়মাসের কন্যার সাথে।
ভাইরাসের ছোবল থেকে সে মুক্তি চায়।
সগর্বে এসে জওয়ান ছেলে
স্যালুট জানায়
অশক্ত পিতা তাকে
বুকে জড়িয়ে ধরার আগে।
ভগবান নয়, অতিমানব নয়।
কেউ কেউ অপরাধী।
তবু পিতা হল টালমাটাল জাহাজের
ডেকে দাঁড়ানো নাবিক।
চোখ তার দূর বন্দরের খোঁজে।