An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

স্রষ্টার মৃত্যু

WhatsApp Image 2020-10-27 at 17.07.40
Dr. Anirban Jana

Dr. Anirban Jana

Surgeon
My Other Posts
  • October 28, 2020
  • 1:20 am
  • 7 Comments

ছোটবেলায় খুব দাঁতের সমস্যায় ভুগতাম। আর পাঁচটা বাচ্চার মতো চকোলেট খেতে খুব ভালোবাসতাম তো। বাবা অফিস থেকে ফিরলেই ঝাঁপিয়ে পড়তাম বাবার ওপর। এ পকেট সে পকেট ঘেঁটে ঠিক খুঁজে নিতাম আমার জন্য আনা নীল র‍্যাপারে মোড়া ক্যাডবেরি। সব বাচ্চাই জানে চকোলেটের থেকে সুস্বাদু খাদ্য পৃথিবীতে আর দুটো নেই। ফলে হরেক কিসিমের দাঁতের ব্যামোর ছোটখাটো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছিল আমার মুখের ভেতরটা। আর দুঃখের বিষয় দাঁতের ডাক্তারের সাথে আমার প্রথম এনকাউন্টারটা মোটেই ভালো হয়নি।

তাঁরও কোনো দোষ দেখি  না। আমারও কোনো দোষ ছিলনা। বেমক্কা একটা লোক কথা নেই বার্তা নেই সাঁড়াশি নিয়ে আমার ওপর আক্রমণ চালাবে সেটাই বা আমি মেনে নেবো কিভাবে? তাই দাঁতে দাঁত চেপে একটা শেষ লড়াই চালিয়ে ছিলাম। ডাক্তারবাবু দাঁত তুলেছিলেন ঠিক কথা, কিন্তু খারাপ দাঁতের পাশের দাঁতটা। তুমুল রক্তপাতের পরেও জমি ছাড়িনি, কিছুতেই আর জায়গাটায় সেলাই করতে দিইনি। আমার এই জয়ে আমার ব্যতিব্যস্ত বাবা চটজলদি চেম্বারের পাশের এক দোকান থেকে এক খেলনা রেলগাড়ি কিনে এনেছিল। জয়ের ট্রফি পেয়ে হাঁ করেছিলাম একটাই শর্তে – মুখের ভেতর শুধু ওষুধ দিতে পারো, কিন্তু সেলাই নৈব নৈব চ।
তারপর থেকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে মোটেই যেতে চাইতাম না। দাঁতের যন্ত্রণা হলে কাঁদতাম। খুব স্নেহশীল এক ডাক্তারজেঠু ছিলো আমার। বাবা তাঁর কাছ থেকে ওষুধ এনে দিতো। দাঁতের ক্যাভিটি আর আমার এক অশান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছোটবেলাটা কেটেছে। সেজোমামা ছিলো দাঁতের ডাক্তার। মামাবাড়ি গেলে ছোটখাটো মেরামতির কাজ চলতো। কিন্তু মামার “তোর শুধু বিষদাঁতটা উপড়ে নেবো” আশ্বাসেও সাঁড়াশি যন্ত্র মুখে ঢোকাতে দিইনি।

আর সবাই জানে যন্ত্রণা বাড়ে রাতে। ওষুধে যখন যন্ত্রণা কমতো না, তখন বাবা সেই গভীর রাতে আমাকে কাঁধে নিয়ে ছাদে ঘুরতো। আকাশ ভর্তি তারার মাঝখানে শুকতারা, সাঁঝতারা চেনাতো, কালপুরুষ চেনাতো, লুব্ধক চেনাতো। ভোররাতের দিকে আকাশগঙ্গা চিনলাম। আর জানলাম আমার সমস্ত কষ্ট নেবার জন্য একটা কাঁধ আছে, বেশ চওড়া একটা কাঁধ।

মায়ের মৃত্যু যেনো আরও বাবার মূল্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলো। দেশের বাড়ি থেকে আমার কর্মস্থলে নিয়ে এলাম বাবাকে। বাবার বেশকিছু বাহানা তৈরি হলো – ইলেকট্রিকের মিটার দেখতে এসে লোক ফিরে যাবে, বাড়িতে দুজন কাজের লোকের মাইনে দিতে হবে, মঠের কিছু কাজ আছে। বাবা দেশের বাড়ির এক গৌড়ীয় মঠের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ঠিক হলো মাঝেমধ্যে দেশের বাড়ি যাবে। এরমধ্যে একজন বাবাকে ফোন করে জানালো বাগানে নাকি মরা বেড়াল পড়ে আছে। বাবা একেবারে অস্থির। লকডাউনে পুলিশি উৎপাতের ভয় দেখিয়েও বাবাকে আটকানো গেলোনা।

করোনা মহামারী, লকডাউন, পিপিই কিট, জনতা কারফিউ, সোশ্যালডিস্ট্যান্সিং, পরিযায়ী শ্রমিক ইত্যাদি শব্দগুলো আমাদের অভিধানে গত কয়েক মাস ধরে জায়গা করে নিচ্ছে। বয়স্কদের জন্য করোনা যে কতোটা মারাত্মক সেটাও বাবা বুঝেছিল। বুকে পেসমেকার বসানো – অধুনা বহুল প্রচারিত কোমরবিডিটি অঙ্কটার হিসাব বোঝার মতো শিক্ষা বাবার ছিল। ফলে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে দেশের বাড়ি গিয়েছিল বাবা।
লোক লাগানো হয়েছিল বাগানে। তাদের তদারকি করতে এবং তাদের সাথে হাতে-হাত লাগাতে নিজেও নেমে পড়েছিল সেখানে। পিছলে পড়ে হাতে লাগে। হিউমারাসের হেডে ক্র্যাক ধরা পড়ে। দুদিন বাদে জ্বর, নড়তেচড়তে কষ্ট। ব্যথার ওষুধ চললো – একটু উপশম হলো। কিন্তু পাঁচদিনের মাথায় কাশি। অ্যান্টিবায়োটিক, গরম জলে গার্গল, ভিটামিন। জ্বর, কাশি গেলো – কিন্তু ভয়ংকর দুর্বলতা। কৃষ্ণনগরে ফিরে যাওয়াই ভালো। নাতিনাতনির সাথে ক্যারামবোর্ডে বসলে শরীরমন চাঙা হয়ে যাবে। বিচক্ষণ পিতামহের মতো একটা প্রয়োজনীয় কথা বললো বাবা – “পড়ে যাওয়ার পর অনেকে মিলে তুলেছিল। আর এক্সরে করতে গিয়েও তো কারোর সংস্পর্শে করোনা হতে পারে। জ্বর আর কাশির অঙ্কটা মিলছে না। ওখানে যাওয়ার আগে কোভিড টেস্টটা করিয়ে নিই।”

বাবার কষা অঙ্কটাই মিললো। পজিটিভ আসার খবর পেতে আমার সিএমও স্যার ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যারের সহায়তায় বাবাকে এখানকার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে এলাম।

দুর্বলতা, দুর্বলতা আর দুর্বলতা। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক আছে। জ্বর নেই, কাশি নেই। কিছু খেতেও চাইছেনা। দুদিন পর,রবিবার। পিপিই কিট পরে ঢুকে বাবাকে জোর করে বাড়ি থেকে তৈরি করা মাছেরঝোল আর ভাত খাওয়ালাম। তিন-চার চামচ। কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়ে নিজের মুখে অক্সিজেনের মাস্ক টেনে নেয় বাবা।

সন্ধ্যাবেলায় ফোন -“দাদা, মেসোমশাইয়ের অক্সিজেন স্যাচুরেশন দ্রুত ফল করছে। তুমি একটু এসো।”
আটমাস নদিন, দ্বিতীয়বার আমার স্রষ্টার মৃত্যু দেখলাম। আকাশটা বড়ো নগ্ন হয়ে গেলো আমার কাছে। আজন্ম সস্নেহে আগলে রাখা ছায়া সরে গেলো মাথার ওপর থেকে।

গভীররাতে আকাশের দিকে তাকাই। কালপুরুষ, লুব্ধকের ভিড়ে বাবাকে খুঁজি। ছোটবেলার বিশ্বাস উপড়ে তুলে এনে ভাবি – ওখান থেকে বাবা আমায় দেখছে, মিটমিট একটা আলো জ্বালিয়ে।

————————- সমাপ্ত —————————–

PrevPreviousভাইরাসের নরক গুলজার- ৬
Nextবিস্মৃত ডাক্তার সুধাকর রাও, আমাদের বিবশ বিবেক এবং অতিমারিকালNext

7 Responses

  1. ঐন্দ্রিল says:
    October 28, 2020 at 11:27 am

    শ্রদ্ধা জানাই। সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আপনারা সকলে সুস্থ থাকুন। 🙏

    Reply
  2. শাশ্বত দত্ত says:
    October 28, 2020 at 12:00 pm

    ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি । আপনাদের জন্য রইলো গভীর সমবেদনা । ভগবান আপনাদের এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিক । সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন ।

    Reply
  3. Abhrajyoti Mitra says:
    October 28, 2020 at 12:07 pm

    কিছু বলার ভাষা নেই, চোখে জল চলে আসলো। কালের অমোঘ নিয়ম কে মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের সত্যিই কিছু করার নেই।
    ভালো থাকবেন ডাক্তার বাবু।

    Reply
  4. সুমিতা says:
    October 28, 2020 at 2:21 pm

    ওনার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি, আপনারা সাবধানে থাকুন, এর বেশি আর কি বা বলি !! এ অভাব কোনোদিন ই পুরন হবার নয়, স্মৃতি বয়ে বেড়ানো সারাজীবন।

    Reply
  5. আশিস, নবদ্বীপ says:
    October 28, 2020 at 3:09 pm

    আপনারা সকলে ভালো থাকুন।

    Reply
  6. Sukanta Mukherjee says:
    October 28, 2020 at 5:36 pm

    So sad, excellent bengali language this is a mind blowing article

    Reply
  7. Gautam Ganguly says:
    October 28, 2020 at 9:40 pm

    কিছু বলার কোন ভাষা জানানেই। মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গেলে মানুষ ভীষণ ভাবে অসহায় হয়ে যায়। এই দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অসম্ভব। ভগবানের কাছে পার্থনা ওনার আত্মর শান্তি দেন।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

করোনা এমন করো না

April 12, 2021 No Comments

করোনা এমন করো না এখন এ দেশে রাষ্ট্রের ভোট চলছে! করোনা এমন করো না বদ্যিরা ছাড়া তোমার কথা কে বলছে? করোনা এমন করো না সব

ধিক

April 12, 2021 No Comments

। ধিক!! আঠারোয় মেরে দিলে? ভোট বুঝি এমনই বালাই? যে ছেলেটা মরে গেলো আমারই রক্ত সে, পুত্র বা ভাই। বি জে পি করেই যদি, এ

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

April 12, 2021 No Comments

মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম

ভালো মন্দ

April 11, 2021 No Comments

দুই এক কুড়ি একুশ। এখন করোনাকাল- বাস ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। অথচ অফিস যেতেই হবে। আজও ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে কাকলি অপেক্ষা করছে। যদি কোনও রিজার্ভ অটো

বিষ

April 11, 2021 No Comments

আর্যতীর্থের কবিতা।

সাম্প্রতিক পোস্ট

করোনা এমন করো না

Smaran Mazumder April 12, 2021

ধিক

Arya Tirtha April 12, 2021

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

Dr. Aindril Bhowmik April 12, 2021

ভালো মন্দ

Dr. Dipankar Ghosh April 11, 2021

বিষ

Dr. Sumit Banerjee April 11, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

310829
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।