এইবারে বলে দেওয়া যাক।
গোটা গোটা হরফে ঋজুরেখে লেখা থাক
বিশেষ লেফাফা জুড়ে,
যে অতিথি ঠাঁই নিলো জরায়ু অন্তঃপুরে
আগামী পৃথিবীর নতুন মানবী সে,
দেখি তার পরে মারে তাকে কোন বিষে।
ধমকিয়ে চমকিয়ে ঢাকা চাপা দিলে,
আসলে ডুবতে হয় স্বখাত সলিলে।
এই মীরজাফর আর নরেন গোঁসাইয়ের দেশে,
টাকা পেলে লোকে খুন করে অক্লেশে
সেখানে সবাই মোহন বা কানাইলাল হয়ে যাবে,
কি হিসাবে, সেটা কেউ ভাবে?
ভ্রূণ ছেলে নাকি মেয়ে, যন্ত্রে পড়ে তা ধরা,
নিয়মের হাতকড়া
কবে আর আটকেছে বলো অপরাধী?
যেখানে স্বয়ং গর্ভধারিণীটিও নয় প্রতিবাদী
সেখানে ইঙ্গিতে বলে দেওয়া খুব কি দুরূহ?
চোখে চোখে কথা শেষ, খুনের শুরুও।
যে দেশে পয়সা দিলে সব কেনা যায়,
অনায়াসে চাপা দিয়ে সব অন্যায়
মুখ পুঁছে মিশে যাওয়া যায় সামাজিক স্রোতে,
নিষেধকে কদলী দেখিয়ে বেঁকে আইন পেরোতে
পারে বহু শয়তানই।
পকেটে পয়সা হলে মেয়ে-ভ্রূণহানি
বাঁহাতের খেলা,
ঘটেছে, ঘটছে ঘটে প্রতি কোণ-গোপনে যেটা চার বেলা।
এবারে উল্টো গিয়ে মোটাদাগে বলা হোক
শোনো হে সমাজপতি, জননী জনক
এ নারীর গর্ভের ভ্রূণে আছে নারী,
যে পাখায় ভর করে সভ্যতা দেবে পাড়ি
আগামীর দিকে, সেটা ওর কাছে বন্ধক রেখে দেওয়া আছে,
সকলে নজর রেখো ও যাতে বাঁচে।
তবে টের পাওয়া যাবে কারা করে মেয়ে খুন আনাচেকানাচে।
খুব ভালো কবিতা।
?
Like!! I blog quite often and I genuinely thank you for your information. The article has truly peaked my interest.
These are actually great ideas in concerning blogging.
I really like and appreciate your blog post.