১। সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে?
এটা নির্ভর করছে কতদিনের অসুখ, কতোটা severe অসুখ, বাড়িতে কতজনের অসুখটা আছে, relapse হলে রুগী কতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা পাবেন আর রুগীর caregiver এর উপর।
Depression-এর ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ১ বছর, প্রথম episode-এর জন্য, relapse হলে ৫ বছর থেকে সারাজীবন পর্যন্ত!
২। সারাজীবন?????? ?????????
হ্যাঁ, সারাজীবন শুনেই এমন করার কিছু নেই… আপনার যদি থাইরয়েডের সমস্যা হতো, সারাজীবন ওষুধ খেতেন না? ডায়াবেটিস হলে কি করতেন? Hypertension?? চোখে যে চশমাটা পরেন সেটা কতদিন পরছেন??
একটু ভালো করে ভেবে দেখুন শুধু infection বা communicable disease ছাড়া বাকি সব non-communicable disease-এই আমরা সারাজীবন ওষুধ খাই কিন্তু শুধু মানসিক রোগের ক্ষেত্রেই এতো চিৎকার করি, কারণ সমস্যাটা ওষুধের নয়, সমস্যাটা সমাজের…. ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছি বললে মর্যাদা পাওয়া যায়, কিন্তু Psychiatrist-এর ওষুধ খাচ্ছি বললে লোকে বাঁকা চোখে তাকাবে!!
৩। মানসিক ওষুধগুলো addictive??
Addiction কি? কোনো ওষুধের “maladaptive” use যেটা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং আপনার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হচ্ছে জেনেও আপনি সেই drug টি ব্যবহার করতে থাকেন!
মানসিক ওষুধ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে আপনার ডাক্তার আপনাকে লিখে দেন এবং আপনি দিনের যেকোনো একটা সময় সেই ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকেন… এটা কোনোভাবেই addiction নয়! হ্যাঁ যদি আপনি প্রেসক্রিপশন বহির্ভূতভাবে এই ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সেটা addiction হতে পারে!
যেকোনো ওষুধ long-term ব্যবহার করাকে addiction বলে না, সেই যুক্তিতে Insulin addictive, সুগার বা প্রেসারের সমস্ত ওষুধ addictive!!
৪। Counselling না ওষুধ??
Counselling কখনোই ওষুধের বিকল্প নয়, পরিপূরক… আর counselling মানে কিন্তু গল্প করা বা শুধু কথা বলা না… একটা structured therapy সেটাও clinical psychologist-এর কাছে… যেখানে রুগীর co-operation লাগে…
Severe depression-এ রুগীর সেই motivation-ই থাকেনা যে সে এই therapy-তে participate করবে… আর সব therapy সবার জন্য নয়, therapy-ও longterm treatment! আপনি যদি ভাবেন যে therapy মানে কারোর একটা কাছে গিয়ে নিজের মনের frustration বের করে চলে আসাকে therapy বলে, তাহলে আপনি ভুল জানেন। ..Therapy মানে নিজের maladaptive thought-গুলো identify করে সেগুলো correct করা এবং এর মাধ্যমে behaviour-এ পরিবর্তন আনা!…… শুধু clinical psychologist-রাই therapy করেন… আর সেটা কিন্তু ৩/৬ মাসের কোর্স নয়!
আবার বলছি severe mental disorder-এর ক্ষেত্রে ওষুধের কোনো বিকল্প নেই, therapy পরিপূরক হতে পারে!
৫। আসলে এই অসুখগুলো situational crisis?
ধরুন একটা stressful situation-এ একটা মানুষের heart attack হলো, তাহলে কি বলবো heart attack একটা situational crisis??
যেকোনো অসুখেরই genetic basis-এর সাথে সাথে কিছু environmental factor থাকে… কিছু precipitating factor থাকে…. প্রত্যেকটা মানসিক অসুখের biological কারণ আছে… আর এই “life situation” গুলো এক একটা stressor বা precipitating factor-এর মতন বলা যেতে পারে আর কি!!
একটা গ্রুপের comment section এ ডিপ্রেশন নিয়ে ভুঁড়িভুঁড়ি ভুলভাল তথ্য দেখে এটা লিখতে হলো, জানি লিখে কোনো কাজ হয়না, তবুও বারবার লিখবো!!!